ঢাকার ধামরাইয়ে বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে ফ্রেম হাউজ ফুটওয়্যার লিমিটেড নামের একটি জুতা তৈরির কারখানার শ্রমিকর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বেতনের দাবীতে এ আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা।

আজ শনিবার থানা বাসস্ট্যান্ডে কারখার সামনে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করে বেলা ১২ টাকা পর্যন্ত । মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পর্যন্ত যানযট লেগে যায়।

পরে শিল্প পুলিশের একটি দল আন্দোলনরত শ্রমিকদের মহাসড়কের মাঝের লেন থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেন। পরে শ্রমিকরা মহাসড়কের লোকাল লেন বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করছেন। এতেও লোকাল লেনের দুই পাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় । এতে দুর্ভোগ পড়ে হাজার হাজার যাত্রী।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাছে থেকে জানা যায়, সরকার ঘোষিত বেতন আমাদের দেওয়া হয় না। বার বার মালিক পক্ষ বেতন বৃদ্ধির আশ্বস্ত করলে ও অবশেষে করেন না।

শ্রমিকরা আরো বলেন, জানুয়ারি মাস থেকে আমাদেরকে সরকার ঘোষিত বেতন দিবেন কিন্তু জানুয়ারি মাস শেষ হয়ে ফেব্রুয়ারী মাসও চলে যাচ্ছে কিন্তু এর কোন ব্যবস্থা করেননি মালিকপক্ষ । এমনকি আমাদের যে বেতন দেওয়া হয় তা প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে দেওয়ার কথা কিন্তু ওই বেতনও পরিশোধ করেন ১৫ তারিখের দিকে।

নাসিমা নামে এক নারী অপারেটর বলেন, সঠিক সময়ে বেতন দেয় না। হেলপারের বেতন ৭ হাজার একশত টাকা এবং অপারেটরের বেতন ১০ হাজার টাকা। কার্ড আটকিয়ে রেখে অতিরিক্ত কাজ করানো হয়। অথচ ১ মিনিট দেরি হলে আমাদের বেতন কাটা হয়। সরকারের বিধিমালা অনুযায়ী আমাদের সঠিক বেতন দিতে হবে।

সুমি আক্তার বলেন, মালিকপক্ষ আমাদের মানুষ মনে করে না। দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি অথচ আমাদের বেতন অনেক কম। সরকারের কোন নীতিমালা না মেনে আমাদের বাধ্য করা হয় কাজের জন্য। এমনকি কার্ড আটকিয়ে কাজ করানো হয়।

হাসান মাহমুদ নামে এক শ্রমিক বলেন, আমাদের বেতন সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী দিতে হবে। মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে। নাস্তার মান অনেক খারাপ। ৭ হাজার ১ শত বেতন দিয়ে আমাদের কি হয়। আমাদের দাবী না মানলে আন্দোলন চলবেই।

শিল্প পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাছের জনি বলেন, সরকার ঘোষিত বেতন ভাতার দাবীতে শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। আমরা এসে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে এনেছি। প্রায় এক মাস ধরে মালিকপক্ষের সাথে কথা বলছে।কিন্তু এখনো তারা সেই কাজের বাস্তবায়ন করেন নি। মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে।

মালিক পক্ষ বলেছেন, শ্রমিক বেতন অবশ্যই বাড়ানো হবে আগামী মাস থেকে। তবে আজ সাধারণ ছুটি ও ঘোষণা করেন মালিক পক্ষ।