পেকুয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ কলেজ ভবনে পাঠদান, চরম আতঙ্কে শিক্ষক -শিক্ষার্থী -ঝুঁকি এড়াতে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম
কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত "পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ"র চারতলা বিশিষ্ট মৌলভী ছাঈদুল হক ছাত্রবাসের পুরনো জরাজীর্ণ ভবনটি যেনো দেখার কে নেই। পুরো ভবনের অনেক স্থানে ভিন্ন ভিন্ন ফাটল ধরেছে। ক্লাস রুমের ভিতরে বিম এবং ছাদের প্লাস্টার ধসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় বড় দূর্ঘটনার আশঙ্কা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিচ তলায় ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়ালে ঝুলানো লাল ব্যানারে লেখা সতর্কবার্তা। তাতে লেখা আছে, ছাত্রাবাসটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসিক ছাত্রদের ছাত্রাবাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন ও চলাচল সীমিতকরণ করতে বলা হলো।
অন্যদিকে ভবনের চাপে বেলকুনির গ্রিলগুলো বাঁকা হয়ে গেছে। তৃতীয়তলার একটি অংশের ছাদ ভেঙে রড় বের হয়ে গেছে। চতুর্থতলায় গিয়ে দেখা যায় মূল ফটকের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের ৩ টি পিলারের ঢালাই খুলে রড বের হয়ে আছে।
কলেজসূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে নির্মিত চতুর্থ তলাবিশিষ্ট পুরনো ভবনটিতে প্রথম তলায় শ্রেণিকক্ষ ও হলরুম। আরেকটি ভবন আছে চতুর্থতলাবিশিষ্ট যার মধ্যে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থতলায় ক্লাসরুম। প্রথম তলায় অধ্যক্ষ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে অত্র প্রতিষ্ঠানটিতে।
ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শিক্ষক জাগির হাওলাদার ও আবুল কাশেম বলেন,ছাত্রাবাস প্রায় বছর ধরে বন্ধ, আমরা কয়েকজন শিক্ষক আমাদের বাড়ি দূরে হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে। ভবনটির প্রতিটি রুমের অবস্থাই বেহাল।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদানরত শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের কলেজের ক্লাসরুমগুলো ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝে মধ্যেই প্লাস্টার ধসে গায়ের ওপর টাস করে পড়ে। ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। ফলে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনায় বিঘ্নিত ঘটছে। নতুন ভবন নির্মাণ করলে আমরা লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পেতাম।
কলেজের ছাত্রী জেসমিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করার সময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়। ভবনটি খুব বেশি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। মনে হয় এই বুঝি মাথার ওপর ছাদ ভেঙ্গে পড়ে। প্রতিটি সময় ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলছে আমাদের পাঠদান কার্যক্রম।
সাকিব নামে একজন ছাত্রের অভিভাবক বলেন, আমাদের ছেলে সন্তানদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে ওই কলেজ ভবনে পড়া লেখা করতে হচ্চে। জীর্ণদশা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ছেলেকে কলেজে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকি।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের কলেজের বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭শত এবং শিক্ষার হার ৯০% উপরে। কলেজটিতে অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। নানা সমস্যার মধ্যে জরাজীর্ণ ভবন। সংস্কারের জন্য বর্তমান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী জনাব মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য ছৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বরাবরে কলেজের ভবনসহ নানা সমস্যার বিষয়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন ও পরামর্শ করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে না ইউক্রেন
গাজা-লেবাননে নিহত আরো ২২২
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় রায়হানের দোষ স্বীকার
গণহত্যাকারী কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না: আসাদুজ্জামান রিপন
ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা জন্য আমাদের লড়াই চলছে : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ইনসি ইকো প্লাস সিমেন্ট নিয়ে এলো বাংলাদেশের সমূদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের উপযোগী করে দীর্ঘস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের সমাধান
হাত-পা ও চোখ বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানো হয় --- আবু বাকের
দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠে" প্রকাশকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফরিদপুর সাংবাদিক জোটের প্রতিবাদ সভা
ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার
শ্রীলঙ্কার চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে কি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ?
ফুটবলের মাঠে চমক দেখাতে চান তাবিথ আউয়াল
এবার ফাঁস হলো রাবি শিবির সভাপতির পরিচয়
নদী দখলকারীদের উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে - পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম কারাগারে
স্বৈরাচারের পতন হলেও দোসররা এখনো রয়ে গেছে : তারেক রহমান
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক গ্রেফতার
‘অধ্যাপক’ হিসেবে পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৯২২ জন
ঢাবিতে মতবিনিময় সভায় যৌন নিপীড়ক শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা হিজাব পরতে পারবেন