এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। গত বৃহস্পতিবার (২২ ই ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌর এলাকার বাসিন্দা সাত বছরের ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
পেটে ব্যথায় চিৎকার শুরু করে শিশুটি। কেন জানতে চাইলে মাকে কোনো উত্তর দিতে পারেনি। মারধরের শিকার হতে হয় মায়ের। এক পর্যায়ে মা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ালেন। তাতে কোন কাজ হয়নি। কয়েকঘন্টা পর শিশুটির গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
এরপরই মা জানতে পারেন ঘটনা। তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক তার সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। জানানো হয় পুলিশকে। অভিযানে গ্রেপ্তার হয় ধর্ষক। প্রস্তুতি চলছে মামলা দায়েরের। শিশুটির বাবা রিকশা চালক ও মা গৃহপরিচারিকা। বাবা-মা বাসায় না থাকা সুযোগে মো. রিফাত (২৭) নামে এক যুবক তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পাশে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। আজ শুক্রবার বিকেলে পুলিশের অভিযানে মেড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় রিফাত।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গণশিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশুনা করে ভাড়া বাসায় ফিরে ওই শিশু। তখন তার বাবা-মা পেশাগত কাজে বাইরে ছিলো। সন্ধ্যায় প্রতিবেশি রিফাত ওই শিশুটিতে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। নিজ বাড়িতে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। মা বাসায় এলে শিশুটি পেটে ব্যথার কথা জানায়। কিন্তু কেন ব্যথা এ বিষয়ে সে কিছু বলছিলো না। এ অবস্থায় মা তাকে মারধরও করে। ব্যথা বন্ধ না হলে শিশুটিকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে শিশু ঘটনা খুলে বলে। আজ শুক্রবার সকালে শিশুটির গোপনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়। দুপুরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সদর থানা পুলিশ এলাকায় যান। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য শুনে বিকেলে অভিযুক্ত রিফাতকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. আইয়ুব আলী আজ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’