গোপালগঞ্জে আইনজীবীর কক্ষে সালিশী চলাকালে হামলা ও মারপিটে মামা-ভাগ্নে আহত
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
গোপালগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলা মীমাংসাকালে স্ত্রীর পক্ষের লোকজনের হামলায় ও মারপিটের শিকার হয়েছেন মামা-ভাগ্নে।
রোববার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতি ভবনে অ্যাডভোকেটদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মাদারীপুর জেলার মোস্তফাপুরের অমল মালো (৫৫) ও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের দিগনগর গ্রামের শিবু মালো (৩০)। এরা দু’জন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
ওইদিন সন্ধ্যায় আহত অমল মালোকে গুরুতর অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী অমল মালো বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিকটিম শিবু মালোর চাচাতো ভাই পরিতোষ মালো বলেন, চার বছর আগে তার চাচাতো ভাই জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর গ্রামের জুরান মালোর ছেলে শিবু মালোর সাথে সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামের রঞ্জন বিশ^াসের মেয়ে শ্রাবনীর বিশ^াসের পারিবারিকভাবে সনাতন ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ি বিয়ে হয়। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ-বিবাদ দেখা দেয়। তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারন করে। চার মাস আগে স্বামী ও পরিবারের লোকজনদের না জানিয়ে শিবু মালোর স্ত্রী শ্রবনী বিশ^াস ঢাকায় চলে যায়। দশ দিন পরে শ্রবনী আবার ঢাকা থেকে তার বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জে চলে আসে।
এপরিস্থিতিতে শ্রাবনীর আত্মীয় সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কর ও মুকসুদপুরের বাটিকামারী ইউনিয়সের মেম্বার ও শিবু মালোর প্রতিবেশী ফায়েক সিকদার দু’পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ নেন।পরে শ্রাবনীকে বুঝিয়ে আবারও স্বামীর বাড়িয়ে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এর কয়েকদিন পরেই শ্রবনী তার বাবার বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় আবার চলে যায় এবং তার স্বামী শিবু মালোর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে আদালতে একটি যৌতুকের মামলা করে। মামলা শুনানীর দিন দুই পক্ষের আইনজীবীদের আপোষ মীমাংসা শর্তে আদালত তাকে জামিন দেয়। সেঅনুযায়ি রোববার বিকেলে আইনজীবী সমিতির ভবনের অ্যাডভোকেটদের কক্ষে দু’পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে আপোশ মীমাংসা শুরু হয়। আলোচনার এক পর্যায় বাটিকামারী ইউপি’র মেম্বার ফায়েক সিকদার ছেলের পক্ষে কথা বলতে গেলে মেয়ে পক্ষের লোকজন তাকে থামিয়ে দেন। এতে দু’পক্ষ কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়লে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায় শ্রাবনীর মামা কমল মালো ও মিন্টু মালোর নেতৃত্বে তাদের লোকজন শিবু মালো ও তার মামা আমর মালোকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে।
শ্রাবনী বিশ^াসের আত্মীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, অভিযোগ এখনও আমার হাতে এসে পৌছায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান