কুবিতে নিয়োগ পরীক্ষায় মুখোমুখি অবস্থানে প্রশাসন-শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা
০৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
নিয়োগ নীতিমালা বহির্ভূত অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিজ্ঞপ্তি বাতিল, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা এবং বর্তমান উপাচার্যের আমলে ইতিপূর্বে নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ী-করণে যত অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্য হয়েছে সেগুলোর নিষ্পত্তি করার পর নীতিমালা অনুসরণ করে পুনঃ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে যথাযথভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার দাবিতে মুখোমুখি অবস্থান করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০ টায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত হয়নি বিভাগীয় প্রধান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন।
বুধবার (৬ মার্চ) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান, বোর্ড সদস্যদের অনুপস্থিত ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অবস্থানের এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিভিন্ন 'অনিয়ম' উল্লেখ করে প্রশাসন বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। পরে বিষয়টি প্রশাসন আমলে না নিলে শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেন।
রেজিস্টার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সকাল সাড়ে ১০টায় বসার কথা ছিল। যেখানে যাচাই বাছাই করে ৩৫ জন পরীক্ষার্থীকে ডাকা হয়। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো নিয়োগ বোর্ড বসেনি। এতে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মখছেদুর রহমান ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার নিয়োগ বোর্ডে আসেনি।
নিয়োগ বোর্ডে না আসার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মখছেদুর রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়জন অধ্যাপক ১ম ও ২য় গ্রেডে আবেদন করেছে তাদের পদোন্নতি না দেওয়া এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে জ্যৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে যে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তার সমাধান না করে প্রফেসর নিয়োগের বোর্ড আয়োজন করা হয়েছে। একজন ডিন হিসেবে এসব আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি বোর্ডে যাইনি। এছাড়া আমি জানতে পেরেছি কিছু অছাত্র বোর্ড শুরু হওয়ার আগে উপাচার্যের দপ্তরে অবস্থান নিয়েছে। যারা গত ১৯ তারিখ শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে। নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে আমি সেখানে যাইনি।
শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল বলেন, ভিসির সাথে গতকালের দাবির প্রেক্ষিতে আলোচনা চলছে। আমাদের যে দাবি অর্থাৎ সকল অবৈধ পদোন্নতি ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ না করা পর্যন্ত আমরা কোন নতুন নিয়োগ দিতে দিবো না। আজকের যে নিয়োগ বোর্ড এটাও আমরা স্থগিত করতে অনুরোধ করবো।
এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে দপ্তরে গিয়ে কল দিলে প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কক্সবাজারে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাল- জামায়াত নেতৃবৃন্দ
হাবের বিতর্কিত কমিটিকে অবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে বৈষম্য বিরোধী হজ এজেন্সীর মালিকবৃন্দ
অপপ্রচারের প্রতিবাদ জামপুর বিএনপি নেতার
একদিনের ব্যবধানে বাড়ল সোনার দাম
জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩২ জনের জামিনের আদেশ বাতিল
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের রক্ষক ছিলেন দুদকের আবু বকর সিদ্দিক
চিরিরবন্দরে সম্প্রীতির ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
সোনালী অতীত ক্লাবের পদ ছাড়লেন গাফফার
পোশাক কারখানাগুলোতে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে -বিজিএমইএ
চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যায় জড়িত ৬ জন আটক
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুই শ’কোটি টাকা আত্মসাত
জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল আর নেই
শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে যুবদল-কৃষকদলের সংঘর্ষ
পোশাক কারখানাগুলোতে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে-বিজিএমইএ
চকরিয়ায় সেনা সদস্য তানজিম হত্যায় জড়িত ডাকাতদের স্বীকারোক্তি
বিআরটিএ-র সকল অভিযোগ দ্রুত সমাধান করা হবে ঃ গৌতম চন্দ্র পাল
বন্দিদশা থেকে মুক্তি চান শরীর গঠন বিদরা!
আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা জামায়াতের সাথে পূজা কমিটির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ভুঁইয়া পরিবারের
১৫তম বিসিএস ফোরামের আহবায়ক কমিটি গঠন