জেলার সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের দিনমজুর পিতা -মাতারচতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে বাড়ির পাশে জসিম হাওলাদারের ছেলে মোঃ শফিক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে । এদিকে এই ধর্ষণের ঘটনাটিকে স্থানীয়ভাবে সালিশ-মীমাংসার কথা বলে কাল ক্ষেপণ করায় গতকাল ২৯ মার্চ রাতে নির্যাতিতার মা শাহনাজ বেগম পটুয়াখালী সদর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, নির্যাতিতার বাবা ও মা দিনমজুরী ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করায় ঘটনার দিন ২৩ মার্চ বেলা ১১ টায় মা মেয়েকে বাড়িতে রেখে নিকটবর্তী বাবার বাড়িতে যায়। মা বাড়িতে আসতে দেরি হওয়ায় নির্যাতিতা পাশের বাড়িতে পিয়াজ আনতে বাড়ির দরজার সামনে গিয়ে ওই বাড়ির মুরুব্বীকে দাদী বলে ডাক দেয়। এই সময় ওই বাড়ির ছেলে ধর্ষক শফিক দাদি বাড়ির মধ্যে আছে বলে মেয়েটিকে ঘরের মধ্যে নিয়ে দরজার আটকিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির ধরতে ধরতেই ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক শফিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে মেয়েটির মা ও বাবা ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ,মেম্বার ও চৌকিদারকে জানায়। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার জানান, আমি বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদার কে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। এ বিষয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চৌকিদার মোঃ মাসুদ। মোঃ মাসুদ আরো জানান এই নির্যাতনের বিষয়টি আমি ২৩ তারিখ রাতেই বিট অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম স্যারকে মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানান , নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে নিয়ে তার মা ও দাদা থানায় আসায় আমরা ২৯ তারিখ রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেয়েটির মা এর দায়েরকৃত একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছি। এদিকে আজ ৩০ শে মার্চ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রচেষ্টা চলছে।