খুলনায় পৌনে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
খুলনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা নম্বর ১২। তারিখ -২০-০৪-২০২৪। মামলার আসামিরা হচ্ছে -সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে, জেলার শীর্ষ চোরাকারবারি আলফেরদৌস আলফা (৫০), তার ভাই আব্দুল আলীম (৪৮), আলফার শ্যালক দাউদ আলী গাজীর ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে মিলন (৪২) ও আলম গাজীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৮)। এছাড়াও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে মামলায়। তবে, ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক মাসুম বিল্লাহ জেলে গেলেও অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে খূলনা জিরো পয়েন্ট এলাকায় এস আই প্রদীপ বৈদ্যসহ পুলিশের একটি দল চেকপোস্ট ডিউটিতে ছিলো। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরা গামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (নম্বর -
ঢাকা মেট্রো -ব -১৫-৯০৩৩) গাড়ীটি আসলে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। এরই মাঝে মাসুম বিল্লাহ গাড়ী থেকে নীচে নামলে তার গতিবিধি সন্দেহজনক হয়। পরে তার পায়ে পরিহিত দুইটি জুতায় কসটেপ দিয়ে মোড়ানো ১২ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন হয়েছে এক হাজার তিনশত নিরানব্বই দশমিক চুয়াত্তর গ্রাম। মূল্য ধরা হয়েছে এক কোটি চৌত্রিশ লাখ চল্লিশ হাজার তিনশত তিন টাকা।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, স্বর্ণসহ আটক মাসুম বিল্লাহ পুলিশের কাছে জানিয়েছে, সে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে চোরাকারবারি আলফেরদৌস আলফা, আলফার ভাই আব্দুল আলীম, আলফার শ্যালক আসাদুজ্জামান ওরফে মিলনসহ কয়েকজনের কাছ থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ
করে তারা একত্রে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) খুলনার লবনচরা থানার এসআই ও মামলার এজাহারকারী প্রদীপ বৈদ্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশ পুলিশ চোরাকারবারিসহ সকল অপরাধ দমনে তৎপর রয়েছে। মামলার অপর পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আসামিদের সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দুই নম্বর আসামি আলফার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়েরকৃত দুটি মামলা চলমান রয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা নম্বর ৫৮, তারিখ -৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ , অন্যটি মাদক মামলা। যার নম্বর ৮৬, তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২২। তিন নম্বর আসামি আলফার সহোদর আব্দুল আলীমের নামে দুটি মামলা রয়েছে সাতক্ষীরা সদর থানায়। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা নম্বর ৫৮, তারিখ -৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ও বর্ডার গার্ড বিজিবি সদস্য হত্যা মামলা নম্বর ৪৫, তারিখ -২০ নভেম্বর ২০০৯।
উল্লেখ্য,ওয়ান ইলেভেনের সময় আলফেরদৌস আলফা যৌথবাহিনীর হাতে মাদকসহ আটক হয় । এই মামলায় দ্রুত বিচার আইনে সাত বছর সাজা হয়। এছাড়া,তার নামে চোরাচালান ও ট্রান্সফরমার চুরিসহ আরো অনেক মামলা হয়েছিলো বিভিন্ন থানায়। পুলিশ সেসময় মোটা অংকের লেনদেনে মামলাগুলোর চুড়ান্ত রিপোর্ট দেয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ব্যাংক কী নিষিদ্ধ পল্লী: গয়েশ^র
তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রার সূর্য সারথি : তথ্য ও সম্প্রচার সচিব
পশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
কুড়িগ্রামে উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা-১৮ আসনকে স্মার্ট আসন হিসেবে গড়তে কাজ করে যাচ্ছি: খসরু চৌধুরী এমপি
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ভারত সরকার দায়ী : কর্নেল অলি
গাজায় ১০ দিন ধরে চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না
ইয়েমেনে তেলের ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধে নারীসহ ৫জনকে কুপিয়ে জখমঃ লুটপাটের অভিযোগ
দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: প্রেসিডেন্ট
দুঃস্বপ্নের আসর শেষে পেলেন নিষেধাজ্ঞাও
ট্রানজিট বাতিলের হুমকি দিন সীমান্ত হত্যা শূন্য হয়ে যাবে
সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে
নরসিংদীর চরাঞ্চলে বজ্রপাতে মা ছেলেসহ নিহত ৩
রাশিয়া ও ইরান একক ব্রিকস মুদ্রা তৈরির কাজ করছে: ইরান
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু
লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৩৮৪৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা প্রদান
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৪
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত