ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভোগান্তি চরমে
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২০ পিএম | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার জনগণের চিকিৎসা সেবার একমাত্র আশ্রয়স্থল হচ্ছে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট রোগীরা এবং তার স্বজনরা। ডাক্তারের অভাবে একদিকে যেমন রোগীরা কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না অন্যদিকে মেশিন নষ্ট থাকায় সার্জারী বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। কবে নাগাদ সেটা চালু হবে সেটাও অজানা। এমতাবস্থায় সমালোচনার মুখে পড়েছে স্বনামধন্য এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১২ সালে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও এই শয্যার বিপরীতে কখনই ডাক্তার বা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ১২ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিপরীতে আছেন ৫ জন এবং ১৫ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে আছেন মাত্র ২জন। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ৪৯ টি পদের বিপরীতে কর্মচারী আছেন মাত্র ২২ জন। ডাক্তার আর কর্মচারী সংকটে হাসপাতালে আগত রোগীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে তারপর লম্বা সময় অপেক্ষা করেও ডাক্তার দেখাতে পারছেনা অনেকে। প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন সন্তান সম্ভব মায়েরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে পারলেও তাদের প্রেসার বা ওজনটাও মাপা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অনেকে। অন্যদিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ডায়াথার্মি মেশিন নষ্ট থাকায় প্রায় মাসখানেক ধরে সিজারিয়ান সহ অন্যান্য সব ধরনের সার্জারী বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গরীব রোগীদের ক্লিনিকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। ফলে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কতদিনে এই মেশিন ঠিক হবে না নতুন মেশিন আসবে সেটা সবারই অজানা। ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি জেনারটর থাকলেও জ্বালানি তেল কেনার বরাদ্দ না থাকায় সেটাও চালু করা সম্ভব হয় না। ফলে এই প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্যান তো দুরের কথা একটা আলোরও ব্যবস্থা থাকছে না। ভ্যাপসা গরম আর অন্ধকারে চরম দুরাবস্থা বিরাজ করে রুগীদের ওয়ার্ড গুলোতে। এছাড়াও রোগীদের সাথে কর্তব্যরত নার্স দের দুর্ব্যবহারের অভিযোগও করেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
এব্যাপারে ঝিকরগাছা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবার সভাপতি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন, ঝিকরগাছা হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই, যারা আছেন তারাও সময়মত আসেননা আবার সময়ের আগেই বের হয়ে যান, হাসপাতালে আগত রুগী ও তাদের স্বজনদের বসার জায়গা নেই, মাথার উপর প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্যান নেই, বিদ্যুৎ চলে গেলে আলো জ্বলেনা, বাথরুম গুলো নোংরা এবং দুর্গন্ধময়, সেখানে কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়, হাসপাতাল চত্বর এবং এর আশেপাশের এলাকাও অপরিচ্ছন্ন। এছাড়াও আছে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের যন্ত্রণা। সব মিলিয়ে হাসপাতালটিতে এখন অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজমান। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে অতিদ্রুত এই সমস্যা গুলো সমাধান করতে হবে।
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রশিদুল আলম বলেন, বারবার চাহিদা দেওয়া স্বত্বেও এখানে ডাক্তার এবং কর্মচারী কোনোটাই দেওয়া হচ্ছে না। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও এখানে সবসময় ৮০ থেকে ৯০ জন রুগী ভর্তি থাকে। অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এতসংখ্যক রুগীকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ডায়াথার্মি মেশিনের জন্য আবেদন পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে আবারও সার্জারী বিভাগ চালু হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অবশেষে কুমিল্লার রসমালাই জিআই পণ্যের স্বীকৃতির তালিকায়
দৌলতপুরে অগ্নিকান্ডে ১৪ বিঘা জমির পানবরজ পুড়ে ছাই
বিজয়নগরে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম সহ গ্রেপ্তার ৩
স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেও তামাশায় রূপান্তরিত করেছে আওয়ামী লীগ : রিজভী
চিলমারীতে আনারস প্রতীক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা
খেলার শুরুর চার ওভার পর ফের বৃষ্টির হানা, ডিএল মেথডে এগিয়ে বাংলাদেশ
দেশে মুক্ত চিন্তার মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চলছে: মির্জা ফখরুল
চুয়াডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নের হুদাপাড়ায় আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হলো ৭ পরিবার
‘এনবিআরের অভিযান’ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাখ্যা
নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা
অস্ট্রেলিয়ার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
সৈয়দ আহমদ শহিদ বেরলভী (র.) ইসলামি আন্দোলনের আপোসহীন মডেল -আলহাজ হাফিজ সাব্বির আহমদ
নাইজারে মার্কিন বাহিনীর বিমান ঘাঁটিতে রুশ সেনা
২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার গান্ধী পরিবারের কোনো প্রার্থী নেই আমেথিতে
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ও ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের
বৃষ্টি বাঁধার আগে আউট লিটন,ধীরে শুরু বাংলাদেশের
আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্ত ও সহ্য করবো না
ট্রেনে কাল থেকে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া
মায়ের সাথে পাঁচ তারকা হোটেলে নৈশভোজের সুযোগ ফুডপ্যান্ডার ‘সেলেব্রে-ইট মাদার্স ডে’ ক্যাম্পেইন
“তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে” - মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন