অসময় ভাঙনের কবলে দৌলতদিয়া ৬নং ফেরি ঘাট, কোন ব্যবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ
০৭ মে ২০২৪, ১২:১৭ পিএম | আপডেট: ০৭ মে ২০২৪, ১২:১৭ পিএম
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন নতুন করে ভাঙন দেখা দিলো তখন সবাইকে অনুরোধ করলাম কিছু জিওব্যাগ ফেলার জন্য। কিন্তু কেউই আমাদের কোন কথাই শুনলো না ও আমাদের শত অনুরোধেও কাজ হলো না। আজকে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে গেলো। এখন দোকান বাড়ি ভাঙার পথে, বড় বড় ভাঙন চাপ নিচ্ছে। আমাদের কথা কেউ শোনে না। গত কয়েক দশকে আমরা সবাই ৪-৫ বার করে নদী ভাঙনে ভাঙতে ভাঙতে এখন নিঃস্ব। যাওয়ার কোন জায়গা নেই কান্নাজরিত কন্ঠে কথা বললেন ৬ নম্বর ফিরিঘাট এলাকার অসহয় মোস্তফা শেখ।
এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করে ৪-৫শ ছাত্র ছাত্রী সহ স্থানীয় দেরশত পরিবারের মানুষ। এদের অধিকাংশ লোক কয়েক ভাঙা দিয়ে এখানে এসেছে তারা সহায় সম্বলহীন। নদীতে সব চলে গেছে। অনেকেই আশায় আছে ঘাটে মহা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তাদের জমির টাকা নিয়ে তারা অন্যত্র বাড়ি ঘর করবে। কিন্তু দিনের পর দিন কোন কাজ হচ্ছে না। শুধু প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি শুনতে শুনতে তারা আজ বড় অসহায় বলে জানান।
রবিবার (৬ মে) দুপুরে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটে বড় বড় ভাঙনের চাপ পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এলাকার চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি। ৫-৬ ফুট দুরেই একটি দোকান সরানোর কাজ করছে অনেকেই। ১০ গজ দুর থেকে প্রায় দের শতাধিক বাড়ি যারা আতংক নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে ভাঙন এলাকায়। পদ্মা পাড়ে দাড়ানো মুখ গুলো হাজারো দুঃচিন্তা নিয়ে আগামীর প্রহর গুনছে।
দোকান সরানোর কাজে ব্যাস্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, গত শুক্রবার যখন ভাঙন দেখা দিলো তখন বিআইডব্লিউটিএ সহ ইউএনও, চেয়ারম্যান সবাই এসে এখানে জিওব্যাগ ফেলানোর কথা বললো কিন্তু তারা ফেললো না! এখন দোকান পাঠ সহ আমাদের বাড়িঘর ভেঙে নিতে যাচ্ছে। তারা শুস্ক মৌসুমে কোন কিছুই করে না। স্রোতের সময় বস্তা ফেললে সেগুলো কোন কাজেই আসে না। এবং তার হিসাবও থাকে না।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, প্রয়োজনের সময় কোন কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ? তারা ৪-৫ দিন আগে যখন ভাঙন শুরু হলো তখন যদি পদক্ষেপ নিতো তাহলে আজ এই ভাঙনের মুখে পড়তে হতোনা। মৃত মানুষের সামনে খাবার নিয়ে রেখে দিলে যেমন লাভ নেই তেমনি ভেঙে নিয়ে যাওয়ার পর জিওব্যাগ ফেলে ও কোন লাভ নেই। দিনের পর দিন ঘাট ভেঙে যাচ্ছে শত-শত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ছে। সরকারের কোন প্রকল্প এখানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিএ'র আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা এই প্রকল্পের জন্য ফাইল ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। চেয়ারম্যান সাহেব দেশে ছিলেন না, আজ দেশে এসেছেন আমাদের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে ফান্ডের ব্যবস্থা করবো। জরুরি ফান্ডের ব্যাপারে বলেন, ২ বছর আগে আমরা জরুরি অবস্থায় কাজ করে সমন্বয় করে নিতাম কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত সেখানে কাজ করার। ইতিমধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথেই কথা বলেছি। ফান্ড পেলেই পরবর্তী কার্যক্রম খুব দ্রুত শুরু করা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুজুৎসু সম্পাদক নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে
কিরগিজস্তানে কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর মেলেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন বাতিল, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
টেকনাফে র্যাবের অভিযানে কোটি টাকার আইসসহ আটক-১
অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে চালকরা
রামপালে ভুল চিকিৎসায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রসূতি
হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির জন্য বিশেষ বৈঠকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ
নিজ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে ইউরোপ: রাশিয়া
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে সশস্ত্র বিক্ষোভের আশঙ্কা
মাগুরার শ্রীপুরে নবী করিম সা. সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে জনগনের বিক্ষোভ অভিযোগকারী আটক
মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচনে ৭৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ
আবারো পেছালো রূপপুর পরমাণু কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন
নেত্রকোণায় নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যক্রম শুরু
সিঙ্গাপুরে মাথাচাড়া করোনার! আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার
তিন জিম্মির পর গাজায় আরো এক জিম্মির লাশ উদ্ধার
ফের মাউন্ট ইবু থেকে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত, খালি করা হল সাতটি গ্রাম
কেন চীনকে ‘সোনার তরী’ ভাবছে রাশিয়া?
উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা তিন গুণ : টিআইবি
‘চ্যালেঞ্জের মুখে ব্র্যান্ড মোদি’