সাতকানিয়ায় এখনো বিদ্যুৎহীন অনেক এলাকা
০৮ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ০৮ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি হয়েছে। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরলেও কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ে কিছু এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেল হতেই সাতকানিয়ার আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা। পরে শুরু হয় কালবৈশাখীর তাণ্ডব। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাতে পিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও পল্লী বিদ্যুতের বেশিরভাগ গ্রাহক এখনো অন্ধকারে রয়েছেন।
সাতকানিয়ার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি ছিল না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ ওঠে। বিকাল হতেই আকাশে মেঘ জমতে থাকে। ৪টার দিকে আচমকা অন্ধকার নেমে আসে। হঠাৎ তীব্র বাতাস আর বজ্রপাত শুরু হয়। সঙ্গে বৃষ্টিপাতও বেড়ে যায়।
কেঁওচিয়ার বাসিন্দা তারেকুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন পর ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। এটি প্রশান্তির হলেও ঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে, বিদ্যুৎ নেই।
ইয়াসমিন আক্তার নামের এক গৃহিণী বলেন, ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ নেই। কখন আসবে তারও ঠিক নেই। এদিকে পানি শেষ। বিদ্যুৎ না এলে অন্ধকারে থাকতে হবে।
নয়াপাড়া এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, মাঠে ধান রয়েছে। বৃষ্টিতে পানি জমে গেছে। পানি না সরলে ধানে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে। কিছু ধান কাটা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকলেও কালবৈশাখী ঝড় ওপর দিয়ে যাওয়ায় ফসলের তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। এখন মাঠে ফসল রয়েছে শুধু ধান, পাশাপাশি কিছু সবজি। এখন ধান কাটার সময় হয়েছে। অনেক জায়গায় ধান কর্তন করে জমিতে রাখা হয়েছে। কৃষকদের লেবার সংকট ও পানির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সাতকানিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. ইব্রাহিম জানান, এ অঞ্চলে সোমবার বিকালে ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২৩টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ৬৩টি স্থানে তার ছিঁড়ে গিয়ে ৫৭টি মিটার নষ্ট হয়েছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আছড়ে পড়লো ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার
পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবে যুক্ত হলেন একদল নতুন সদস্য
কাল থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ
দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই : মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী
মিডিয়ার কন্ঠরোধ করে দেশকে বাকশালের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সরকার
ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ নিয়ে গবেষণা চলছে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বৈষম্য কমিয়ে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরিসহ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : ড. খলীকুজ্জমান
২৪ ঘন্টা থেকে সাত দিনের মধ্যে মৃত বীমা দাবি পরিশোধ করবে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানি
বেগম সুফিয়া কামাল এবং কবি ও সাহিত্য সমালোচক আবদুল কাদির নানাভাবে দেশের শিল্প-সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন : সেলিনা হোসেন
কোরবানির গোস্ত দিয়ে কোন অনুষ্ঠান করে টেবিল বসিয়ে টাকা বা উপহার নেওয়া প্রসঙ্গে।
শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল
কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন
বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট
সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা
খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী
স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান
রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক