বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাবি শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী বিক্ষোভ
০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১৫ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা হাইকোর্ট কর্তৃক পুনর্বহালের আদেশসহ ৫৬ শতাংশ কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তারা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের মূল ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমবেত হতে দেখা যায় তাদের।
এসময় বিভিন্ন স্লোগান দেন- ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’।
এসময় তারা চারটি দাবি আদায় নিয়ে কথা বলেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকুরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে; কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। উল্লেখ্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, প্রতি জনশুমারির সাথে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়া ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিক মঈন বলেন, কোটার মতো একটি চরম বৈষম্য আমাদের ওপর পুনরায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বৈষম্য আমাদের পূর্বপুরুষরাও মানেননি, আমরাও মানব না। স্বাধীন দেশে বৈষম্যের শিকার হওয়া কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বৈষম্যের শিকারই যদি হব, তাহলে যারা আজ বৈষম্য তৈরি করছে তাদের পিতারাই কেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন? ৫৬ শতাংশ কোটা থাকলে মেধাবীদের রিকশা চালানো ছাড়া উপায় থাকবে না। সরকার তাহলে আমাদের রিকশা কিনে দিক, নয়তো কোটা সংস্কার করুক। কোটা সংস্কার না করে আমরা ঘরে ফিরব না।’
আন্দোলরত শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তৎপর ছিল, আছে এবং থাকবে। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারি চাকুরিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করার কোনো বিকল্প নেই। বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতির সংস্কারের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বদা সোচ্চার রয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অসাধারণ প্রত্যাবর্তনে তুরষ্ককে হারিয়ে সেমিতে নেদারল্যান্ডস
টাইব্রেকারে সুইসদের হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড
নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
পাঠদান অনুপযোগী শ্রেণিকক্ষ
ঈশ্বরদীতে শিশুর লাশ উদ্ধার
রাস্তাটি সংস্কার করুন
নকলের বিরোধিতা করায় কক্ষ প্রধানকে অব্যাহতি
প্রাকৃতিক রক্ষাব্যুহ সুন্দরবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
দোয়ারাবাজারে পানিতে ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু
প্রত্যয় পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবি কেন যৌক্তিক
গ্যাস সংকট ও জনদুর্ভোগ মোচনের উদ্যোগ নিতে হবে
পাঁচ মাসে চীনের সেবা খাতের বাণিজ্য বেড়েছে ১৬ শতাংশ
ইসরাইলি ইতিবাচক সাড়ায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদ
কেবল ঈশ্বরই আমাকে দমাতে পারেন, আর কেউ না : বাইডেন
গাজার শিশুদের জন্য ২০ লাখ ডলার সহায়তা অভিনেত্রীর
ক্ষমতার মোহে ক্ষমতাসীনরা জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে দিয়েছে- নজরুল ইসলাম খান
গ্রীষ্মের তাপদাহে জাপানে হিটস্ট্রোকের সতর্কতা জারি
হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে বন্যার প্রকোপ, আশ্রয়হীন ২০ হাজার
ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান সউদীর
গাজায় কোনো বিদেশি সৈন্য থাকতে দেয়া হবে না : হামাস