ইংল্যান্ড ১(৫) : ১(৩) সুইজারল্যান্ড 

আসর জুড়ে বিবর্ণ ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালেও ছিল এলোমেলো।গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর উজ্জীবিত সুইজারল্যান্ড সময়ের ১৫ মিনিট পূর্বে পেয়ে যায় জালের দেখা। রাউন্ড অফ সিক্সটিনে শেষ মুহূর্তে ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন জুড বেলিংহ্যাম।এবার ইংলিশদের নায়ক বুকায়ো শাকা।৮০ তম মিনিটে সমতা ফেরানো গোলটি ছিল ম্যাচে ইংলিশদের প্রথম অন টার্গেট শট। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত আধ ঘন্টায়ও আর কোন দল গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।যেখানে পাঁচটি শটের সবকটি জালে জড়িয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে ইংলিশরা। 

ডুসেলডর্ফে শনিবার তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জিতে সাউথগেটের দল।

সুইসদের হয়ে ৭৫ তম মিনিটে গোল করেছিলেন ব্রিল এমবোলো।৫ মিনিট পরেই সমতা ফেরান বুকায়ো সাকা 

পেনাল্টি শুটআউট মানুয়েল আকনজির দুর্বল শট পিকফোর্ড টেকিয়ে দিলে হৃদয় ভাঙে সুইজারল্যান্ডের।

টানা দুটি ইউরোসহ এই নিয়ে পাঁচবার বড় টুর্নামেন্টের শেষ আট থেকে বিদায় নিল সুইজারল্যান্ড। 

তবে কোনোভাবেই ম্যাচে ইংলিশরা খেলে দেখে মনে হয়নি তারা ফেভারিট। প্রথমার্ধে গোলের কোন উল্লেখযোগ্য সুযোগই তৈরী করতে সাউথগেটের দল।সুইসদের ফুটবলও বিরতির আগে ছিল ম্যাড়মেড়ে।

৫১তম মিনিটে গোলপোস্টে ঢুকে সুইস ফরোয়ার্ড  এমবোলোর শট ম্যাচের প্রথম অন টার্গেট শট।সেই যাত্রায় ব্যর্থ হলেও এই মোনাকো তারকাই সুইসদের ৭৫ মিনিটে লিড এনে দেন।রুবেন ভারগাস বক্সের এক পাশ থেকে গোলমুখে পাস দিয়েছিলেন,যেটি রুখে দেওয়ার সুযোগ ছিল জন স্টোনসের। কিন্তু ইংলিশ সেন্টারব্যাক সেটিতে পা–টাই ছোঁয়াতে পেরেছেন, বলের গতিপথ বদলাতে পারেননি। গোলমুখে থাকা ব্রিল এমবোলো সুযোগ কাজে খুঁজে নেন জাল।

গোল হজমের পর নড়েচড়ে বসে ইংল্যান্ডে।পরের কয়েক মিনিটে কোল পালমার, এবেরেচি এজে ও লুক শকে বদলি হিসেবে নামান ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।আর তাতে আক্রমণে ধার বাড়ে।সাফল্যও আসে দ্রুত।৮০ তক মিনিটে ডেকলাইন রাইসের বাড়ানো বল ধরে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠিয়ে ইংলিশ শিবিরে স্বস্তি আনেন শাকা।১-১ সমতায় শেষ নির্ধারিত ৯০ মিনিট।

অতিরিক্ত আধঘন্টা ফের  এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিলছিল দুই দলের সামনেই।তবে সেটি কাজে লাগাতে পারেনি কোন দলই।টাইব্রেকারে আকাঞ্জির মিস ও পিকফোর্ডের সেভে শেষ পর্যন্ত গড়ে দেয় ব্যবধান।