যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাপা বাজারে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। ধর্ষণের ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে ধর্ষণকারীরা।

মনিরামপুর থানায় ঘটনার রাতেই ওই ছাত্রীর দাদি বাদী হয়ে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলার পর আজ শনিবার ভোররাতে থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঝিকরগাছা উপজেলার খোষালনগর গ্রামের কার্তিক বিশ্বাসের ছেলে প্রান্ত বিশ্বাস (২২), মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের ফজর গাজীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২০) ও একই উপজেলার কোমলপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে শাওন হোসেন (১৯)।

মামলার বিবরনে বলা হয়, আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসেন। আসার পর থেকেই ঐ স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময় নানা প্রলোভন ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরই জের ধওে কৌশলে গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় উপজেলার ঝাঁপা বাজারের একটি ঘরে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আসেন।

রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগীকে জোর করে সিগারেট খাওয়ায় আশরাফুল । একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর ঘুমের ভাব এলে সে ও তার বন্ধুরা মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে ছাত্রীকে। এ সময় ওই ধর্ষনের ঘটনা ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে ধারণ করা ভিডিও ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের মোবাইলে পাঠিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়।

টাকা না দেওয়ায় ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। রাতেই ছাত্র্র্র্র্র্র্রীর দাদি বাদি হয়ে মনিরামপুর থানায় একটি গনধর্ষন পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।

মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস ও এসআই আতিকুজ্জামানসহ পুলিশের একটি দল আজ শনিবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেন।

মনিরামপুর থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, পুলিশের একটি দল আজ শনিবার ভোর রাতে থানার বিভিণœ স্থানে অভিযান চালিয়ে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।