চাঁদপুরে অতিবৃষ্টি ও পানিবদ্ধতায় ১৯২টি গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ এএম | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ এএম

চাঁদপুরে অতিবৃষ্টি ও পানিবদ্ধতায় ছয়টি উপজেলার সব ১৯২টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার কচুয়া, শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় ১৯২ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৪টি কালভার্ট। এতে সম্ভাব্য ক্ষতি প্রায় ৪০ কোটি টাকা। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
শাহরাস্তি, কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলা ঘুরে দেখা-গেছে, অধিকাংশ গ্রামীণ পাকা সড়কে পানি উঠেছে। এখন পানি কমলেও সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন ভেসে উঠছে। বহু স্থানে পাকা অংশ পানিতে ভেসে-গেছে।
চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তৈরি হয়েছে পানিবদ্ধতা। যে কারণে এই তিন উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ পাকা সড়ক পানির নিচে প্রায় ১ মাস। সড়কের ওপর দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ায় এবং যানবাহন চলতে গিয়ে সড়কগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সড়কগুলোর পাশের মাটি নরম হয়ে ভেঙে পড়ছে। কিছু স্থানে সড়কের পাশে থাকা বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। এতে সড়কের পাশে বড় গর্ত সৃষ্ট হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা-গেছে, অতিবৃষ্টি ও পানিবদ্ধতায় সদরে ১২টি, হাই-মচরে ১০টি, হাজীগঞ্জ ৪৫টি, কচুয়ায় ২২টি, শাহরাস্তিতে ৫৩টি এবং ফরিদগঞ্জে ৫০টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৬ উপজেলায় কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৪টি।
কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়নের পিপলকরা গ্রামের কৃষক শহীদ উল্লাহ বলেন, বানের পানিতে সড়কের পাশাপাশি আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গর্ত হওয়ার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
শাহরাস্তি উপজেলার উনকিলা গ্রামের মনির হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় বানের পানিতে বহু সড়ক তলিয়েছে। এসব সড়ক ভেঙে এখন বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তবে কিছু সড়ক আগ থেকে ভাঙা ছিল। এখন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের ঢালীরঘাট-ফরক্কাবাদ সড়কের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম খান বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সড়ক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমিন মাটি নরম হয়ে বড় বড় গাছ উল্টে পড়েছে। একটি গাছ উল্টে আমার বসত-ঘরের ওপরে পড়ে। প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও গাছটি কেউ কেটে অপসারণ করেনি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানিকরাজ গ্রামের মোক্তার হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কের পাশের অংশগুলো বেশি ভেঙেছে। কিছু এলাকায় গাছ উল্টে সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান কবির বলেন, বানের পানি এখনো পুরো নামেনি, পানিবদ্ধতাও রয়েছে। আমরা গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্টের ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করিনি। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছি। এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। একই সাথে আমরা এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও কালভার্ট মেরামতের সম্ভাব্য ব্যয় (প্রাক্কলন) তৈরি করছি। কিছু স্থানে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপে বসার পরামর্শ জাতিসংঘ মহাসচিবের

‘যেখানে হাত দেই কেবল মুজিব, হাসিনা আর নৌকার ছড়াছড়ি’

‘ফ্যাসিস্টের সমর্থকে ভর্তি বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো’

দেশের ৭৪ উপজেলাকে দুর্গম ঘোষণা ইসির

জামায়াত সেই শিশুর পরিবারের দায়িত্ব নিলো

চার রাষ্ট্রপ্রধানের বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি

উপদেষ্টা মাহফুজের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য কাম্য নয় : হেফাজতে ইসলাম

ছাগলনাইয়ায় এক পল্লী চিকিৎসকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ পরিবারের

অসুস্থতার মাঝেও দায়িত্বে অবিচল পোপ ফ্রান্সিস

ছাত্রদের ডাকে সার্বিয়ায় রাজধানীতে লাখো জনতা

প্রতারণার অভিযোগ আদালতে শাহরুখ-অজয়-টাইগার, সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

চাপাতি হাতে ভাইরাল আদাবরের সেই কিশোরসহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

কেলোগকে ইউক্রেনের বিশেষ দূত হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প

আজ বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় বাংলাদেশ ১৫তম

গুতেরেসের সঙ্গে কেন বৈঠক, আমি ঠিক বুঝিনি : মির্জা ফখরুল

চীনে প্রশিক্ষণ মহড়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা, নিহত ২৩

ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গাজায় ৩ সাংবাদিকসহ নিহত অন্তত ১২

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাত, নিহত ৩১

ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু