জনদূর্ভোগের সাথে জলাবদ্ধতার কবলে নগরী

বরিশাল মহানগরীর ফুটপাত ও রাস্তার পাশেও অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছড়াছড়ি

Daily Inqilab বরিশাল ব্যুরো

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

দখলদারদের পেছনে লালনকারীদের হাত বদলের সাথে বরিশাল মহানগরীর ফুটপাতের পরে এখন মূল রাস্তা সহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোও দখল হতে শুরু করেছে। সরকার বদলেল সাথে ফুটপাত ও রাস্তা দখলবাজদের লালনকারীর পরিবর্তন ঘটলেও দখলমূক্ত হয়নি নগরী। নগরভবন থেকে অতি সম্প্রতি মাইকিং করে এসব দখলদারদের সতর্ক করে অবিলম্বে সিটি করপোরেশন সহ সরকারী যেকোন অবস্থান থেকে সরে যেতে বলা হলেও তা আমলে নিচ্ছে না কেউ। নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পথ খাবারের দোকান সহ বহুতল ভবন নির্মানের সরঞ্জামাদী রেখে সুস্থ নগরজীবনকে বিপন্ন করে তুললেও তা অপসারনে কঠোর হতে পারেনি নগরভবন সহ জেলা প্রশাসনও। ফুটপাত থেকে সড়কের অংশ দখলদারদের কাছে জিম্মী নগরবাসী।
নগরীর বেল’স পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন শতায়ু অঙ্গন এবং নবগ্রাম রোড-চৌমহনী লেকের পাড় থেকে শুরু করে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকাই ইতোমধ্যে পথ খাবারের দোকান সহ বিভিন্ন ধরনের দোকাপাটের দখলে চলে গেলেও তা পুনরুদ্ধারের কোন তৎপড়তা নেই নগর ভবনের। এমনকি সাবেক নগর পরিষদ নগরীর অভ্যন্তর থেকে চলে যাওয়া বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহানড়কের ওপর একটি পার্ক নির্মান করে নিজেরাই দখলদারীর ভ’মিকায় অবতীর্ণ হন। গত ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দিন সাবেক মেয়রের মা’এর নামে গড়ে তোলা সে পার্কটি ছাত্র-জনতা ভেঙে দিলেও এখন তার ভগ্নাবশেষ পড়ে অঅছে। ফলে দেশের ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়কটি দুখলমূক্ত হয়নি। আর তার পাশেই লেকের পাড়ে নির্মিত ওয়াকওয়ের পুরোটাই পথ খাবার সহ বিভিন্ন ভাসমান দোকানের পেটে চলে গেলেও নগর ভবন নিশ্চুপ। শুধুমাত্র বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী বরিশালে এলে এসব দখলদারদের আগেভাগে সরে যেতে বলা হত। প্রধানমন্ত্রী নগরীর সীমানা অতিক্রমে সাথেই দখলদাররা আবার পূর্ব অবস্থানে ফিরত। বিষয়টি নিয়ে দেশের জাতীয় ও স্থাণীয় গনমাধ্যমে একাধিকবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও নগর ভবন কখনো নড়েচরে বসারও তৎপড়তা দেখায়নি। এমনকি গত বছর নভেম্বরে বরিশালের ৫ম নগর পরিষদ দায়িত্ব গ্রহনের আগে আগে সদ্য বিদায়ী সিটি মেয়র ‘বরিশালকে তিলোত্তমা নগরী’ করা সহ ‘সব অব্যবস্থা অনিয়ম দুর করা’র অঙ্গিকার করলেও দায়িত্ব পালনের সাড়ে ৮ মাসে তেমন কিছুই চোখে পড়েনি নগরবাসীর।
অথচ এখনো পুরো নগরী যুড়ে দখরদারীত্বের হাত ধরেই বরিশাল মহানগরী জলাবদ্ধতার কবলে। চৌমহনী লেকের পশ্চিম-দক্ষিন কোনে পথ খাবারের দোকানগুলো লেকটির ড্রেনেজ ব্যবস্থাকেও বন্ধ করে দিয়েছে ময়লা আবর্জনা ফেলে। এরচেয়েও নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছে নগরীর নবগ্রাম রোডটি। এ সড়কের বটতলা বাজারের পশ্চিম পাশর্^ থেকে হাতেম আলী কলেজ পর্যন্ত পুরো সড়কের পাশে গত ৭-৮ বছরে নির্মিত ছোট-বড় বাড়ীগুলোর সব ইট,বালু খোয়া ও পাথর রাস্তার ওপরেই ফেলে রাখা হয়েছে। এমনকি বর্তমানে হাতেম আলী কলেজের গেটের সামনেই সড়কটির ওপর পাথর ও বালুর স্তুপ ফেলে একটি বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে। সাইড ড্রেনের পকেট নিয়ে মূল ড্রেনে পড়ছে সব নির্মান সামগ্রী। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই। অথচ এ সড়কটির পাশের ড্রেনটির ওপরই নগরীর পশ্চিম অংশের পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নির্ভরশীল হলেও তার তিন-চত’র্থাংশই ভড়াট হয়ে গেছে নির্মান সামগ্রীর বর্জ্য।ে
আর নবগ্রাম রোড-চৌমহনীর লেকটির ওয়াকওয়ে সহ পাশ^বর্তি মার্কাজ মসজিদ সহ এলাকাবাসীর ওজু গোসলের জন্য নির্মিত ঘাটলাটিও পর্যন্ত আটকে দিয়ে পথ খাবরের দোকানে সয়লাব হয়ে গেছে। পুরো বেল পার্কটির প্রবেস দ্বার সহ এখন মাঠের অভ্যন্তরেও খাবারের দোকানে জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নগর ভবনের তেমন কোন তৎপড়তাও লক্ষ্যনীয় নয়।
এব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, নগর ভবন থেকে রাস্তার পাশের সব অবৈধ স্থাপনা অপসারনে তৎপড়তা চলমান রয়েছে। আমরা বার বারই মাইকিং করে অবৈধ দখলদারদের সতর্ক করছি। মাঝে মাঝেই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট-এর তত্ববধানে উচ্ছদও চলছে। তার পরেও দখলদাররা বসে নেই বলেও জানান তিনি। ৯-৯-২০২৪.
=====================================
ছবির ক্যাপশন।।
ইনকিলাব/ নগরীর নবগ্রাম রোড চৌমহনী লেকের পাড়ের ওয়াকওয়ে দখল করে পথ খাবরের দোকানগুলোর বৈধতা কোথায় ?


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

জিমি কার্টারের প্রতি ৩০ দিনের শোকাবস্থা উপেক্ষা করে ট্রাম্পের পতাকা উত্তোলন

জিমি কার্টারের প্রতি ৩০ দিনের শোকাবস্থা উপেক্ষা করে ট্রাম্পের পতাকা উত্তোলন

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা-তারেকসহ সব আসামি খালাস

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা-তারেকসহ সব আসামি খালাস

টিউলিপের জায়গায় নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস

টিউলিপের জায়গায় নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস

পদত্যাগপত্রে টিউলিপ সিদ্দিক যা লিখেছেন

পদত্যাগপত্রে টিউলিপ সিদ্দিক যা লিখেছেন

টিউলিপের পদত্যাগ ইস্যুতে প্রেস উইংয়ের বিবৃতি

টিউলিপের পদত্যাগ ইস্যুতে প্রেস উইংয়ের বিবৃতি

আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৬ নম্বরে

আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৬ নম্বরে

মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে লাশ হলো "মা"!

মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে লাশ হলো "মা"!

মীরসরাইয়ে মুন্না খুনের ঘটনায়, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বহিষ্কার

মীরসরাইয়ে মুন্না খুনের ঘটনায়, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বহিষ্কার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেফতার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেফতার

আজ সারদায় ৪৮০ এসআইয়ের সমাপনী কুচকাওয়াজ

আজ সারদায় ৪৮০ এসআইয়ের সমাপনী কুচকাওয়াজ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি, মানবিক সংকট চরমে

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি, মানবিক সংকট চরমে

ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার

ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার

সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন রিসোর্ট পুড়ে ছাই

সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন রিসোর্ট পুড়ে ছাই

শুল্ক রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি

শুল্ক রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি

শুল্ক–কর বৃদ্ধির ফলে দেশের তামাক খাতে কী প্রভাব পড়বে

শুল্ক–কর বৃদ্ধির ফলে দেশের তামাক খাতে কী প্রভাব পড়বে

ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য

ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য

পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ

পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ

অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ

অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ

কারাগারে এস কে সুর

কারাগারে এস কে সুর

‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’

‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’