গত মধ্যরাতে বাউফল সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মোঃ সানজিদুর রহমান এর নেতৃত্বে সেনাক্যাম্পের সদস্যরা বাউফল থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে দাসপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শালীনতা হানির অপচেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত মো: ইসমাইলকে গাজা সেবনরত অবস্থায় নিজ বাড়িতে এবং তার স্বীকোরক্তি মোতাবেক গাজা সরবরহকারী মো: সাইফুল ইসলাম (২৮) কে তার বাড়ি থেকে চারটি দেশীয় অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ গ্রেফতার করে।
সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে,গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে দাসপাড়া ইউনিয়নে তিন নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: সাইফুল ইসলাম বাউফল সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন যে, ২২ সেপ্টম্বর সন্ধ্যার পরে তার ১৫ বছরের মেয়ে ,ছেলে হাফিজ চৌধুরী(১২) ও তার ভাইয়ের ছেলে এরিক চৌধুরী (১৭) মোটর সাইকেল যোগে নিকট আতœীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে স্থানীয় তুলতলায় পৌছলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকব্যবসায়ী মো: ইসমাইল ও ইউসুফ মৃধা তাদের পথরোধ করে।এ সময় তারা মেম্বার মো: সাইফুল ইসলামের মেয়ের গলায় থাকা সোনার চেইন ও সাইড পার্স নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মেয়েটি তাদের বাধা প্রদান করে।পরবর্তিতে মো: ইসমাইল ও ইউসুফ মৃধা তাদের হাতে থাকা জিআই পাইপ দ্বারা মেয়েটিকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
অভিযোগকারী মো: সাইফুল ইসলাম তার মেয়ের উপর এ ধরনের অনাকাংখিত আক্রমন শালীনতা হানির অপচেষ্টার বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সুবিচার কামনা করে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিক্তিতে মধ্যরাতেই বাউফল ক্যাম্পের ক্যাম্প অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মোঃ সানজিদুর রহমান এর নেতৃত্বে সেনাক্যাম্পের সদস্যরা বাউফল থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে দাসপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মো: ইসমাইলকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় নিজ বাড়িতে এবং তার স্বীকোরক্তি মোতাবেক গাঁজা সরবরহকারী মো: সাইফুল ইসলাম (২৮) কে তার বাড়ি থেকে চারটি দেশীয় অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ গ্রেফতার করে।
আঘাত প্রাপ্ত মেয়েটি বর্তমানে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।অভিযুক্ত ইসমাইল এবং সাইফুল ইসলামকে সেনা ক্যাম্প থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাউফল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন জানান,ইতোমধ্যে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।