নারায়ণগঞ্জ বন্দরে চায়না মালিকাধিন ডংজিং লংজি বিডি নামক ব্যাটারী তৈরি কারখানার নির্গত ধুঁয়ায় পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর বিক্ষোভে মালিক পক্ষের হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত। মদনপুর মদনগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত লক্ষণখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনায় দুপর দুই টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ ঘন্টা মদনপুর- মদনগঞ্জ সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নাসিক ২৬ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকায় অবস্থিত ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসীর অভিযোগ,লক্ষনখোলা ঘন বসতি একটি ব্যস্থতম এলাকা। এখানে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ সংলগ্ন চায়না মালিকাধিন ব্যাটারী তৈরীর কারখানা গড়ে উঠেছে । পুরাতন ব্যাটারী পোড়ানো বিষাক্ত বায়ূ দুষণে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পরিবেশ। তাই পরিবেশ দুষণের বিষয়টি একাধিক বার কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো কর্ণপাত করেনি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পায়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কারখানার বিষাক্ত ধুয়ায় ২৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এসময়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বমি করলে ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

দুপুরে কারখানা গেইটের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে ছাত্র- জনতা। এসময়ে কারখানার ভেতর থেকে কয়েকজন চায়না নাগরিক বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালায়। পরে এলাকাবাসী ও বিক্ষোভকারিরা কারখানার গেইট ভেঙ্গে ভাংচুর চালায়। এতে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে তিনজন চায়না নাগরিক সহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ও বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমিন আল জিহান, সেনাবাহিনীর মেজর আশরাফ ও বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দুষিত বাতাসে অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষোভে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। আমরা শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছিলেন। তবে চায়না নাগরিক ৩ জন আহত হওয়ার খবর এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি তারা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিয়েই কারখানা স্থাপন করেছে।