বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চাপের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী প্রশাসন। এ সংকট কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে গত সপ্তাহে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগের পর এবার ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টর ও শিক্ষার্থীদের হলে প্রভোস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বুধবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক অফিস আদেশের মাধ্যমে মোট ৮টি পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করা হয়।

অফিস আদেশ ও রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, নতুন ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক হিসেবে গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. এছাক মিয়া, প্রক্টর হিসেবে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মো. মোখলেসুর রহমানকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ছাত্রদের আবাসিক হলগুলোর মধ্যে শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট হিসেবে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতেখার আহমদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. জামাল উদ্দিন এবং সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট হিসেবে রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট হিসেবে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. দিলারা রহমান, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. সাবিহা আফরিন এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট হিসেবে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. সালমা আখতারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রেজিস্ট্রার সূত্র জানায়, অফিস আদেশ অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলেই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্ব স্ব পদে দায়িত্বপালন করবেন। এছাড়া দায়িত্ব পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং এ আদেশ যোগদানের দিন থেকে কার্যকর হবে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।