চলে গেলেন রত্নাগর্ভা মায়ের শেষ সন্তান বীর উত্তম কমল সিদ্দিকী
০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১০ পিএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১০ পিএম

একাত্তরের রণাঙ্গনের অকুতোভয় যোদ্ধা মাসরুর-উল-হক সিদ্দিকী (কমল সিদ্দিকী) বীর উত্তম আর নেই।
৭ অক্টোবর ২৪ সোমবার প্রথম প্রহরে, ১২টা ৮ মিনিটে ঢাকার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মাসরুর-উল-হক সিদ্দিকী পরিচিত ছিলেন তার ডাক নাম ‘কমল সিদ্দিকী’ নামে। মুক্তি যুদ্ধের একেবারে শেষ দিকে ভাটিয়াপাড়ার যুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে তার একটি চোখ হারান।
কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সেই ঘটনা নিয়ে লেখেন কবিতা ‘কমলের চোখ’। তার আরেক বিখ্যাত কবিতা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’তেও এসেছে বন্ধু কমলের চোখ হারানোর প্রসঙ্গ। কবি লেখেন, ‘উত্ক্ষিপ্ত নক্ষত্রের মত কমলের চোখের কথা বলছি‘।
নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী গ্রামের জহুর আহমেদ ও ওয়াজেদা আহমেদের ছোট ছেলে মাসরুর-উল-হক সিদ্দিকী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই সাংস্কৃতিক আন্দোলনে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় তখনকার ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (ওয়াপদা, পরে ভাগ হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নামে আলাদা দপ্তর হয়) সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। চাকুরী জীবনে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অবসর গ্রহন করেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন প্রতিরোধ যুদ্ধে। পরে ভারতে গিয়ে তিন মাস বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কাজে যুক্ত থাকেন। এরপর ফের সশস্ত্র যুদ্ধে যোগ দেন।
প্রথম বাংলাদেশ ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়ে যশোর, নড়াইল ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে গেরিলাযুদ্ধে অংশ নেন কমল সিদ্দিকী।
৮ নম্বর সেক্টরের বয়রা সাব সেক্টরে রেইড, অ্যাম্বুশ ও গেরিলা যুদ্ধে তিনি বীরত্বের পরিচয় দেন। তার যুদ্ধকৌশলে নড়াইলে নবগঙ্গার পাড়ের যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে মুক্তিবাহিনী। ৭ ডিসেম্বর নড়াইল শহরে তিনিই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ায় অবস্থানরত পাকিস্তানিরা তখনও আত্মসমর্পণ করেনি। সেক্টর কমান্ডার আবুল মঞ্জুরের নির্দেশে ভাটিয়াপাড়াকে শত্রু-মুক্ত করতে যান কমল সিদ্দিকী।
১৮ বা ১৯ ডিসেম্বর ভাটিয়াপাড়ার যুদ্ধে তার চোখে গুলি লাগে। সেদিন যুদ্ধের পর আত্মসমর্পণ করে সেখানে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনারা।
পরে এক সাক্ষাৎকারে কমল সিদ্দিকী বলেছিলেন, “যুদ্ধ না করাটা অনেক নিরাপদ ছিল। কিন্তু আমি নিয়ত করে গেছি যুদ্ধ করব বলে।”
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা মাসরুর-উল-হক সিদ্দিকীকে বীর উত্তম খেতাব দেয় বাংলাদেশ সরকার।
তার বড় ভাই মেজর জেনারেল এম মজিদুল হক ছিলেন শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার সরকারের সংস্থাপনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
মাসরুর-উল-হক সিদ্দিকীর স্ত্রীর নাম সৈয়দা রোকেয়া সিদ্দিকী। দুই মেয়ে রয়েছে তাদের।
প্রয়াতের পরিবারের পক্ষে তার খালাত ভাই বিএনপি নেতা আহসান হাবীব কিশোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ালো বার্সা

নোয়াখালীর বিপণী-বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় হলেও মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

কোচ ছাঁটাই করল লাইপজিগ

কলাপাড়ায় ঈদের চাঁদ উৎসব

পেকুয়ায় জামায়াতের শিক্ষা বৈঠকে রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যের আহ্বান

আওয়ামী লীগ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তার কোনো ক্ষমা নেই: খোকন

যেভাবে একটি অন্যায়ের সম্মিলিত প্রতিবাদ হলো

শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাশসহ তার বাহিনীর ১০ জন গ্রেফতার, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

শেষ মুর্হুতের কেনাকাটায় সিলেট নগরীর রাজপথ থেকে শপিংমলে ক্রেতারা

জাতীয় ঈদগাহে আসবেন না প্রেসিডেন্ট, ঈদের নামাজ পড়বেন বঙ্গভবনে

৩৯২টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সিলেট মহানগরীতে, প্রধান জামাত শাহী ঈদগাহ ময়দানে

শহীদ মীর মুগ্ধের বাসায় জামায়াত আমীর

ডিএসই, সিএসই এবং পিএসএক্স’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

সিলেটে চা বাগানের ভেতরে ৩ ট্রাক ভর্তি ৪৬৭ বস্তা ভারতীয় চিনি রেখে পালালো চালক

অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে: রিজভী

অসৎ ব্যবসার অহংকার সিলেটের হরিপুরের সেই "বুঙ্গার বাজার" গুড়িয়ে দিয়েছে যৌথবাহিনী

লন্ডনে ঈদের নামাজ আদায় করলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ-র নিরাপত্তায় ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশী বন্দুক উদ্ধার

আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে চাই : ধর্ম উপদেষ্টা