মধুখালিতে সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,ভাংচুর লুটপাট গৃহবধূকে ধর্ষনের চেষ্টা

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা

১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

মধুখালিতে সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা গৃহবধূ কে ধর্ষনের চেষ্টা, বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।
বিষয়টি সোমবার (১৪ অক্টোবর) সংবাদকর্মী মোঃ সামাদ খান।
ইনকিলাব কে নিশ্চিত করেন।
জানাযা,মোঃ সামাদ খান, "দৈনিক একুশের কন্ঠ " নামক একটি পত্রিকার, ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা।

তিনি ইনকিলাব কে, আরো বলেন, আমার সাবেক বড় বউ সরাসরি,, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত মর্মে আমি প্রমান পাই।

বিষয়টি তার গর্ভের সন্তান আমার বড় ছেলে মোঃ আবু হুরায়রা (১৩) আমাকে বলছে তার মা একজন মাদক কারবারি। এ বিষয় আমার ছেলে আমাকে প্রমান দিয়েছে।

এ কারনে (স্বামী সামাদ) বড় স্ত্রী রোজিনা বেগম(৩৫) কে তালাক দেন।
এই বিষয় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রোজিনা বেগমের সাথে আলাপ করলে, তিনি ইনকিলাব কে জানান, ওনার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং মনগড়া।

আমি কোন দিনই এই ব্যবসা করিনি। আমি আমার অধিকার ফেরত চাইতে নির্যাতিত হয়েছি। ঘটনার দিন ১৩ অক্টোবরও আমার উপর নির্যাতন করছন। এ কথা সামাদ অস্বীকার করছেন।

এই বিষয়, নির্যাতিত মোসাম্মদ লিজা আক্তার(১৯) এর সাথে কথা বললে, তিনি হাসপাতাল থেকে ইনকিলাব কে জানান, আমাকে আমার স্বামীর সাবেক স্ত্রী / বড় বউ ঈর্ষণীত হয়ে, দীর্ঘদিন যাবৎ আমার উপর অন্যায়ভাবে অত্যচার করছেন।

ঘটনার দিন ১৩ অক্টোবর, আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে, ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী সহ স্বামীর সাবেক বড় বউ গত রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত ৯ টায় ১৫/২০ জন লোক নিয়ে পলাতক স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঘরে শুয়ে পড়া অবস্থায় আমার স্বামীর আগের ঘরের ছোট মেয়ে মাইসা পূর্বের ন্যায় রাতে এসে আমাকে বলে মা আমি তোমার ঘরে আসবো।

মাইসা (৭) ও আবু হুরাইরা( ১৩) দু'জনই স্বামীর বড় ঘরের সন্তান হলেও ওরা দুইজনই আমার কাছে থাকে।

মাইসার কথা শুনে দরজা খুললে, পূর্বপরিপল্পিতভাবে দুরে দাড়িয়ে থাকা, সতীনের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে, হুরমুর করে ঘরে মধ্যে ডুকে বাসার সবকিছু ভাংচুর করে।

পড়ে তাদের ইচ্ছামত লুটপাট করে বহু মুল্যবান মালমাল নিয়ে যায়।
ঐ সময় সন্ত্রাসীদের৭/৮ জন লোক, আমার ভাড়া বাড়ীর অন্যরুমে পালিয়ে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আমার উপর পাশবিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত করে তুলে।

সন্ত্রাসীরা আমাকে ধর্ষন করার জন্য পুরো বিবস্ত্র করে ফেলে এবং আমার সমস্ত স্পর্শকাতর স্হানে প্রায় ৩০ মিনিট হায়ানার মত অত্যাচার চালায়।

বর্তমানে আমি চরম অসুস্থ, মধুখালি চিকিৎসা নিতে না পাড়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে উন্নত চিকিৎসা নিতে ফরিদপুরে স্হানান্তর করেন।

উল্লেখিত, বিষয় মধুখালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুজ্জামানের সাথে কথা বললে, তিনি ইনকিলাব কে জানান, বিষয় টি সামাদ আমাকে জানিয়েছে।

ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মুল বিষয় হলো,ঘটনাটি সম্পূর্ণই সামাদের পারিবারিক বিষয়। কে বা কাহারা হামলা করছে তা কেউ বলেনি। তবে আমার জানামতে তার নামেও মামলা আছে।

বিভাগ : বাংলাদেশ