নীতির পরিবর্তন না করে বারবার নেতার পরিবর্তন করে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়
২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য দেশের নীতির সংস্কার প্রয়োজন। আর কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে রয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ নীতি যা বাস্তবায় ছাড়া দেশের সর্বস্তরের বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়। নীতির পরিবর্তন না করে বারবার নেতার পরিবর্তন করে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল ফরিদী।
আজ শুক্রবার ৩টায় ফেনী সমিতি অডিটোরিয়ামে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা আমীর, মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) এর রাজনৈতিক দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এইচ এম আবু বকর সিদ্দিক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এম এইচ মোস্তফা। ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুফতী শওকত উসমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ্ তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, ইসলামী যুব আন্দোলান বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী মুহাম্মদ মারুফ শেখ। বক্তব্য রাখেন মুহাম্মাদ তসলিম উদ্দিন রুবেল, কে এম নাসির উদ্দিন, মুহাম্মাদ রায়হানুল ইসলাম, মুহাম্মাদ শাহ পরান, মুহাম্মাদ কাওছার আহমেদ, মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান হিমেল, মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সা'দ, মুহাম্মাদ মহাসিন হাওলাদার, মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, মুহাম্মাদ আবুল কাশেম, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মুহাম্মাদ আব্দুল গফুর, মুহাম্মাদ কাউসার ফরাজী, মুফতী ইউসুফ নুর প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী বলেন, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীতি ও আদর্শের পরিবর্তনের বিকল্প নাই। আর এমন নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সকল সহযোগী সংগঠন নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নৈতিকতা সম্পন্ন উত্তম চরিত্রবান ও দেশপ্রেমিক যুব সমাজ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনো নিছক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য আন্দোলন করে না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকে ইসলামের সু-মহান নীতির ভিত্তিতে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে।
ইসলাম ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, যারা এমন অপপ্রচার করে বেড়ায় তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ইসলাম ক্ষমতায় গেলে দেশ সন্ত্রাসবাদ ও তথাকথিত জঙ্গিবাদ মুক্ত হবে। দেশের মানুষ জান-মালের নিরাপত্তা সহকারে নির্বিঘেœ জীবন যাপন করতে পারবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো তন্ত্রমন্ত্র নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুরআন ও সুন্নাহর নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ "শুধু নেতা নয় নীতিরও পরিবর্তন চাই" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) জীবন সম্পর্কে বলেন, মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) ১৯৩৫ সালে বরিশাল জেলার চরমোনাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পিতার নিকট প্রাথমিক শিক্ষা ও নিজ গ্রাম চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া বরিশালে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৭ সালে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন। মাওলানা ফজলুল করিম (রহ.) এর দীর্ঘ ৭১ বছরের কর্মময় ও সংগ্রামী জীবন এক বিস্ময়কর উপখ্যান। তিনি পথভোলা মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধি ও নৈতিক সমৃদ্ধির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা যেমন চালিয়েছেন তেমনি শিরক বিদআতের মোকাবেলা করেছেন। তিনি গণমানুষের মুক্তির এবং অধিকার আদায়ের জন্যে রাজপথে আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে ধর্মীয় পন্ডিত, দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ। প্রচলিত ভোগের রাজনীতির বিপরীতে তিনি ত্যাগের রাজনীতি করে গেছেন আমরণ।
তিনি আরও বলেন, তার পুরোটা জীবন কোরআনের নীতিকে সামনে রেখেই রাজনৈতিক অঙ্গনে কাজ করে গেছেন। প্রচলিত তন্ত্রমন্ত্রের বিপরীতে ছিলেন অটল। জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগে দিকভ্রান্ত মানুষ কুরআনের পরশে আল্লাহর বিধানের আলোকে জীবনের দিশা খুঁজে পেয়েছে। শান্তি ফিরে পেয়েছে অনেক ভূখ-, তেমনই দেশের মানুষ কুরআনের পথে ফিরে আসলে বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন ও বসবাসযোগ্য নিরাপদ রাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) বাংলাদেশের অন্যতম শ্রদ্ধাভাজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব এবং পীর ছিলেন। তিনি ইসলামি চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর অসাধারণ আত্মত্যাগ, ধর্মীয় অনুশাসন প্রচার এবং সমাজ সংস্কারের প্রচেষ্টার কারণে তিনি বাংলাদেশের সকল দল-মতের মানুষের মধ্যে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষকর্মী নিতে আগ্রহী লিবিয়া
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের
দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে বিপদের ফাঁদে পর্যটকরা
ঢাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ
হিরো নয় কারিনার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি
রাওয়ার নেতৃত্বে আবদুল হক ও ইরশাদ সাঈদ
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত
গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার
সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান
বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা
ভারতে পণ আইন নিয়ে বিতর্ক, এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ঘিরে আলোড়ন
ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে ছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ
এক্সপ্রেসওয়েতে কভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
ব্রাজিলে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত
চুয়াডাঙ্গার রামদিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজনকে হত্যা, আহত ৫
চীনের নতুন বাঁধ প্রকল্পে তিব্বতিদের প্রতিবাদ, দমন-পীড়ন ও গ্রেফতার