ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য মহাসড়কে- দুর্গন্ধে ভোগান্তি পথচারীদের

২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য অপসারণের নির্ধারিত জায়গা না থাকায় মহাসড়কে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এতে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মশা-মাছি ও পোকামাকড়ের উপদ্রবে পরিবেশ দূষণে পড়েছে পৌরবাসীসহ সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে পথচারী ও পৌর নাগরিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা। দীর্ঘ ২৭ বছরের এমন পৌরসভাটি ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। পৌরসভার বয়স ২৭ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নির্মাণ করতে পারেনি বর্জ্য শোধনাগার। ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় একেক সময় একেক জায়গায় ময়লা ফেলা হচ্ছে। সর্বশেষ মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে পৌরসভার কাছাকাছি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দত্তপাড়া এলাকায়। খোলা জায়গা ও মহাসড়কের পাশে হওয়ায় প্রতিদিন দুর্গন্ধে চরম বিড়ম্বনায় যাত্রী-চালকসহ সাধারণ পথচারী। স্থানীয়দের দাবি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যেনো খোলা জায়গায় ময়লা আর না ফেলে বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করে।

এদিকে আওয়ামী সরকারের আমলে এটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে ঘোষিত হলেও বর্জ্য অপসারণের নির্ধারিত কোন জায়গার ব্যবস্থাপনা করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। পরে দীর্ঘদিন যাবত পৌর কতৃপক্ষ ময়লা অপসারণের স্থান নির্দারণ করতে না পারায় অবশেষে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে সড়কের পাশে ময়লা ফেলানোয় দুর্গন্ধে পথচারী, ছাত্র-ছাত্রীসহ পৌরবাসী নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে রাস্তার পাশ থেকে ময়লা অপসারণের দাবি জানান চলাচলকারী ও সাধারণ মানুষ। প্রথম শ্রেণীর একটি পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলানোর একটা নির্ধারিত জায়গা না থাকায় সাবেক দুই মেয়রকেই দায়ি করছেন পৌর বাসিন্দারা।

এবিষয়ে পৌর বাসিন্দা এডভোকেট সারোয়ার জাহান বলেন, ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা এলাকাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় মহাসড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে। ফলে অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে জমি ক্রয় করে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এই সমস্যা থেকে উত্তোলন হওয়া খুবই কঠিন হবে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া তাসনিম মুনমুন জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এই সব ময়লার ভাগাড় থেকেই মশা-মাছির জন্ম হয়। তাছাড়া যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকলে বায়ুবাহিত রোগ বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া হতে পারে। অচিরেই এর সমস্যার সমাধান না হলে পৌরবাসী বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বর্তমানে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন বলেন, শিগগির এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে স্থানীয়দের সচেতন করা হবে। এ ছাড়া একটি ডাম্পিং জোন তৈরির জন্য শিগগিরই পৌরসভায় একটি বাজেট আসবে বলেও জানান তিনি।

বিভাগ : বাংলাদেশ