মাতৃত্বকালীন ভাতা চেয়ারম্যান, মেম্বারের পকেটে
১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
মির্জাগঞ্জে প্রতারণার মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎের অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে। উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলু ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার নাসিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আবেদনের সাথে মাধবখালী ইউনিয়নের বাজিতা ৩য় খন্ড গ্রামের সুমাইয়া মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে মানসুরবাদ গ্রামের মোসাঃ খাইরুন্নাহার নামে দুই গর্ভবতী নারীর মোবাইল নম্বরের পরিবর্তে অন্য নম্বর দিয়ে মাসের পর মাস তাদের ভাতা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই দুই চেয়ারম্যান। যাতে সহযোগিতা করেন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রেবা বেগম, খাদিজা এবং মানসুরাবাদ গ্রামের সুলতানা জোমাদ্দার নামে এক ব্যক্তি।
এবিষয়ে গত ৮ নভেম্বর ভুক্তভোগীরা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী মোসাঃ সুমাইয়া বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করলেও দীর্ঘ মাস পার হওয়ার পরে দেখি আমার দেওয়া নম্বরে কোন টাকা আসছে না। এবিষয়ে চেয়ারম্যান লাভলু কাজী ও মহিলা মেম্বারের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, তোমার আবেদন পাশ হয়নি। পরে অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখি আমার ফোন নম্বর পরিবর্তে মহিলা মেম্বার রেবার নগদ নম্বর দেওয়া। অফিস থেকে বলে এই নম্বর টাকা চলে যায় এবং উত্তোলন করা হয়।
অন্য এক ভুক্তভোগী মানসুরাবাদ গ্রামের খাইরুন্নাহার একই অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাতা না আসায় অফিসে যেয়ে দেখি আমার নম্বর পরিবর্তন করে চেয়ারম্যান ও মহিলা মেম্বার সুলতানা জোমাদ্দারের নগদ নম্বর দিয়ে রেখেছে। ওই নম্বর থেকে তারা আমার ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।
সুলতানা জোমাদ্দার বলেন, আমার নম্বর কীভাবে আসছে তা তো জানি না। এবিষয়ে তো আবেদনকারী, চেয়ারম্যান মেম্বাররা বলতে পারে।
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বাশার নাসির বলেন, চেয়ারম্যান, মেম্বারদের দায়িত্ব হচ্ছে উপজেলা থেকে প্রেরিত আবেদন সুপারিশ করা। এখানে কীভাবে ফোন নম্বর পরিবর্তন হয়েছে তাতো বলতে পারি না। মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলু কে একাধিক বার ফোন করলেও সে রিসিভ করেনি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সুপারিশ করা হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ফরিদপুরে প্রিন্সিপালের ওপর অতর্কিত হামলা
‘সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে’
অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ
জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই: ফখরুল ইসলাম
মীরসরাইয়ে অবৈধ বেহুন্দি ও মশারি জাল জব্দ
গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমের চিত্র প্রদর্শনী করছে তরুণ কলাম লেখক ফোরাম
মারা গেলেন আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী
নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ১৩ হত্যার নির্দেশদাতা নাসিমের খুঁটির জোর কোথায়?
যে কারণে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন ড. ইউনূস
মানিকগঞ্জে এলজিইডির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের শাসন জনগণ মেনে নিবেনা: আমিনুল হক
প্রতিনিয়ত মোশাররফ করিমের থেকে শিখি: মম
অবৈধ ৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন
ময়মনসিংহে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের লটারি অনুষ্ঠিত
পাঠ্যবইয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর ভুল তারিখ সংশোধন, জড়িতদের শোকজ