ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

সীমান্তাঞ্চলে আমনের ভালো ফলনেও দামে খুশি নন চাষি

Daily Inqilab গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চল থেকে স্টাফ রিপোর্টার

১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম

বন্যায় ক্ষতি হবার পরও গারো পাহাড় সীমান্তঞ্চলে মোটামুটি ভালোই হয়েছে আমন ধানের ফলন। কিন্তু দাম বিবেচনায় বদলায়নি কৃষকদের ভাগ্য। নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও গতবছরের দামেই বিক্রি হচ্ছে আমন ধান। এখনও গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলে মাঠে মাঠে আমন ধানকটা ও মাড়াই চলছে। তবে অধিকাংশ জমি থেকে ধান তুলে নিয়েছেন চাষিরা। নানা প্রতীক‚লতা কাটিয়ে সোনালি ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কেউ ঘোড়ার গাড়ি কেউবা মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন ধান। কোনো কোনো মাঠেই দেখা যাচ্ছে ধান মাড়াইয়ের ব্যস্ততা।

 

এবার ধান চাষের উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম না বাড়ায় আক্ষেপ থাকলেও ফলনে কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চাষিরা। এই মৌসুমে প্রতি বিঘায় রোপা ১৫ থেকে ১৮ মণ গড় ফলন হচ্ছে। বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মণ আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০- ৪০০ টাকায়। চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। চাষিরা বলছেন, গতবছরও ধানের দাম এমনই ছিল।

 

 

সীমান্তাঞ্চলের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার চাষিরা জানান, ফসল আবাদের প্রত্যেকটা পণ্যের দাম বেড়েছে। আবার বাজারে জিনিসের দামেও আগুন! ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। অথচ ধানের দাম একই রয়ে গেছে। সব বদলালেও আমাদের ভাগ্য বদলায়নি। ধান বিক্রি করতে আসা চাষিরা বলেন, ধান মাড়াইয়ে ব্যয় বেড়েছে। বেড়েছে শ্রমিক খরচ। প্রথম দিকে বৃষ্টির অভাবে অনেক ক্ষেতে সেচ দিতে হয়েছে। তার পর আবার ধান বিক্রির সময় ধলতা (অতিরিক্ত) দিতে হয়। লেবার বিলও বেড়েছে। ধানে সার কীটনাশক চারা ইত্যাদি খরচের পর, দামে লোকসানই গুনতে হচ্ছে।

 

তাছাড়া বন্যায় ও ধানের ক্ষতি হয়েছে। গতবছরের চেয়ে দাম না বাড়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এ মৌসুমে শেরপুর জেলায় ৯১ হাজার ৯-৪০ হেক্টর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এ মৌসুমে হাইব্রিড, স্বর্ণা এবং বিনা-১১ ও বিনা-১৭, তুলশিমালাসহ দেশীয় আরও কয়েকটি উন্নত জাতের রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে ৭০-৭৫ শতাংশ ধান কর্তন হয়েছে বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।

 

 

‘শেরপুর খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমন চাষে খরচ ও শ্রম উভয়ই কম। এছাড়া বন্যা ছাড়া পোকা বা রোগবালাইয়ে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হওয়ায় বন্যা সত্ত্বেও ফলন ভালোই হয়েছে। কৃষকরা লাভবানই হবেন।’
‘ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বন্যায় ক্ষতির পর ও যে ফলন হয়েছে তাতে কৃষকরা লাভবানই হবেন।’


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ফরিদপুরে প্রিন্সিপালের ওপর অতর্কিত হামলা
‘সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে’
অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ
আরও

আরও পড়ুন

ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন

ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন

গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

ফরিদপুরে প্রিন্সিপালের ওপর অতর্কিত হামলা

ফরিদপুরে প্রিন্সিপালের ওপর অতর্কিত হামলা

‘সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে’

‘সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে’

অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ

অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ

জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই: ফখরুল ইসলাম

জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই: ফখরুল ইসলাম

মীরসরাইয়ে অবৈধ বেহুন্দি ও মশারি জাল জব্দ

মীরসরাইয়ে অবৈধ বেহুন্দি ও মশারি জাল জব্দ

গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমের চিত্র প্রদর্শনী করছে তরুণ কলাম লেখক ফোরাম

গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমের চিত্র প্রদর্শনী করছে তরুণ কলাম লেখক ফোরাম

মারা গেলেন আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী

মারা গেলেন আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী

নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ১৩ হত্যার নির্দেশদাতা নাসিমের খুঁটির জোর কোথায়?

ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ১৩ হত্যার নির্দেশদাতা নাসিমের খুঁটির জোর কোথায়?

যে কারণে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন ড. ইউনূস

যে কারণে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন ড. ইউনূস

মানিকগঞ্জে এলজিইডির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

মানিকগঞ্জে এলজিইডির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের শাসন জনগণ মেনে নিবেনা: আমিনুল হক

বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের শাসন জনগণ মেনে নিবেনা: আমিনুল হক

প্রতিনিয়ত মোশাররফ করিমের থেকে শিখি: মম

প্রতিনিয়ত মোশাররফ করিমের থেকে শিখি: মম

অবৈধ ৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন

অবৈধ ৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন

ময়মনসিংহে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের লটারি অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের লটারি অনুষ্ঠিত

পাঠ্যবইয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর ভুল তারিখ সংশোধন, জড়িতদের শোকজ

পাঠ্যবইয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর ভুল তারিখ সংশোধন, জড়িতদের শোকজ

টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা

টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা

স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবারের বিপিএলকে জাঁকজমক করেছে: আশরাফুল

স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবারের বিপিএলকে জাঁকজমক করেছে: আশরাফুল