সীমান্তাঞ্চলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়!
১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় সর্বত্রই শীতে জবুথবু অবস্থা। গত ৫/৭ দিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় সীমান্তাঞ্চলে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন নিন্ম ও নিম্ম-মধ্য আয়ের ক্রেতারা। শীত বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষই বেশী। তাই উষ্ণতা পেতে তারা বাধ্য হয়েই ঝুঁকেছেন পুরাতন কাপড়ের দিকে। বিভিন্ন হাট-বাজারে পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা এখন বেশ জমজমাট। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন কাপড় বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। বিশেষ করে এর সিংহভাগ ক্রেতাই হচ্ছেন নিম্ম আয়ের মানুষ। বিভিন্ন রিকশা বা ভ্যানচালক ও বিভিন্ন শ্রমিকরা দেদার এই কাপড় কিনে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন। গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলে,বিশেষ করে ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীতে পুরাতন জ্যাকেটসহ শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় এসব ক্রেতাদের এসব গরম কাপড় কিনতে দেখা গেছে ভীর।
পুরাতন কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। বেচাকেনা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধির কারণে বেশ স্বস্তিতে আছেন তারা। ফুটপাতের এসব দোকানে নিম্ম আয়ের মানুষ কিছুটা সস্তায় কিনছেন পুরনো কাপড়। বিভিন্ন স্থানে পুরাতন কাপড়ের মধ্যে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, গরম টুপি, ছোট ও বড়দের ব্লেজার, বিভিন্ন ডিজাইনের মাফলার বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ধরনের পুরাতন জ্যাকেট, ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোটা গেঞ্জি, সোয়েটার ও চাদর পাওয়া যায় ১০০ থেকে ৩৫০
টাকার মধ্যেই। ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের ভাম্যমান বিক্রেতা খলিলুর রহমান বলেন, এই পুরাতন কাপড়গুলো কম দামে পাওয়া যায় বলেই কাস্টমার পাওয়া যায়। বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, বিভিন্ন নিন্ম আয়ের মানুষ, রিকশা- ভ্যানচালক যাদের আয় কম তারাই এসব গরম কাপড় কেনেন বেশী। এসব পুরনো গরম কাপড় বেশ আরামদায়ক বলেও জানান তিনি। ক্রেতা বন্দভাট পাড়া গ্রামের রুস্তম আলী বলেন, ১৯০ টাকায় কিনেছেন একটি লম্বা জ্যাকেটের আদলে গরম কাপড়। তিনি বলেন, সারা দিন অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তাতে নতুন কাপড় কিনতে ১-২ হাজার টাকা কোথায় পাবো।
তাই পুরাতন কাপড়ই কিনলাম। শীত কমানো দরকার তাই কিনলাম। বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, এসব পোশাক কিনতে প্রতি পিস খরচ হয় মানভেদে ১৫০ থেকে ২২০ টাকা। আমরা প্রতিটি কাপড়ে ২০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত লাভ করি। অনেক সময় পুরাতন কাপড় কিনে ওয়াশ করতে হয় বলেও জানান তিনি।
‘ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চল হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বেশী।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে: ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ফরিদপুরে প্রিন্সিপালের ওপর অতর্কিত হামলা
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নে ১৭ সদস্যের কমিটি গঠিত
‘সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পুলিশের প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ফিরে আসবে’
অসহায় শীতার্তদের মাঝে রূপালী ব্যাংকের কম্বল বিতরণ
জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই: ফখরুল ইসলাম
মীরসরাইয়ে অবৈধ বেহুন্দি ও মশারি জাল জব্দ
গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমের চিত্র প্রদর্শনী করছে তরুণ কলাম লেখক ফোরাম
মারা গেলেন আসামি ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ এসআই মেহেদী
নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ১৩ হত্যার নির্দেশদাতা নাসিমের খুঁটির জোর কোথায়?
যে কারণে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে মানা করেছিলেন ড. ইউনূস
মানিকগঞ্জে এলজিইডির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
বাংলাদেশে কখনো স্বৈরাচারের শাসন জনগণ মেনে নিবেনা: আমিনুল হক
প্রতিনিয়ত মোশাররফ করিমের থেকে শিখি: মম
অবৈধ ৭টি কয়লা তৈরির চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন