বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি কমেছে, বেড়েছে ভিয়েতনাম-ভারত থেকে
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ এএম | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ এএম
বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি গত ১০ মাসে হ্রাস পেয়েছে। জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। একই সময়ে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলসের (ওটিইএক্সএ) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৪ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকৃত পোশাকের অর্থমূল্য ছিল ৬১৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের একই সময় যা ছিল ৬৩৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসেবে চলতি বছরের ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত ভিয়েতনাম থেকে ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ২২২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। এ হিসেবে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির অর্থমূল্য আলোচ্য ১০ মাসে ছিল ৪০৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৩৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ হিসাবে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
চলতি বছর ১০ মাসে গোটা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থমূল্য বিবেচনায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা চীন থেকে আমদানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। চীন ও ভিয়েতনামের পরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, কম্বোডিয়া, হন্ডুরাস ও পাকিস্তান। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মেক্সিকো থেকে কমেছে ৯ দশমিক ১৬ ও হন্ডুরাস থেকে কমেছে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। কম্বোডিয়া ও পাকিস্তান থেকে বেড়েছে যথাক্রমে ১২ দশমিক ৯১ ও ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
ওটিইএক্সএ বছরভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পোশাকের অর্থমূল্য ছিল ৯৭২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ডলার। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৭২৮ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারে। এ হিসেবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পোশাকের অর্থমূল্য কমে যায় ২৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি আমদানি করা পোশাক পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মেন অ্যান্ড বয়েজ ওভেন ট্রাউজার, উইমেন অ্যান্ড গালর্স ওভেন ট্রাউজার, মেন অ্যান্ড বয়েজ ওভেন শার্টস পোশাক, কটন নিটেড সোয়েটার ও কটন নিটেড টি-শার্টস। বাংলাদেশের পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত এ পণ্যগুলোর মূল্য ন্যূনতম ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এমবাপ্পের জোড়া গোলে জিতে শীর্ষে রিয়াল
ব্রাইটনের বিপক্ষেও বিপর্যস্ত ইউনাইটেড
‘ন্যায়বিচারকে হত্যা’ করা হয়েছে: পিটিআই
নতুন ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচন ইরানের
রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করছে অনেক আফ্রিকান সেনা
পাওয়ার প্ল্যান্টের ৩৬০ মেট্রিকটন তেল ডাকাতি
বাংলাদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুত রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি কিছু সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন: প্রেস সচিব
এবার ওলমোর ইনজুরি দুঃসংবাদ বার্সার
কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ইমন ও আলামিন
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান
বিয়ের ওপর কর বাতিলের দাবি
শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল
নামাজের প্রথম কাতারে জামাত পড়াবস্থায় অজু ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে।
কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ দখল করে নিতে পারে ভারত: শুভেন্দু অধিকারী
নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর নদীতে পাওয়া গেল স্কুল ছাত্রের লাশ
বিএনপি : দেশবাদ যার রাজনীতির মূল কথা
পাহাড়ি উপজাতিরা আদিবাসী নয়
সংস্কার প্রতিবেদন : জাতির নতুন অধ্যায়ে অভিযাত্রা
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগে জোর দিতে হবে