জামায়াত নেতা ইসহাক খন্দকার

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দিকে আড় চোখে তাকালে ভারতের চোখ উপড়ে ফেলবো

Daily Inqilab নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা

২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম | আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম

জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মসলিসে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা আমীর ইসহাক খন্দকার বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দিকে আড় চোখে তাকালে ভারতের চোখ উপড়ে ফেলবো। আধিপত্যবাদি ভারতের আশ-পাশের দেশগুলোর কোনটির সাথে তাদের সু-সম্পর্ক নেই। তাদের পাশে চীন, মিয়ানমার এমনকি হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের সাথেও সু-সম্পর্ক নেই। পার্শ্ববর্তি ছোট দেশ মালদ্বীপও তাদেরকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের আধিপত্যবাদি নীতির কারণে। 
 
 
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ভেবেছিল, জুডিশিয়াল কিলিং করে এবং কারাগারে নির্যাতনে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরকে শেষ করা যাবে, কিন্তু তা হয়নি। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান দুই বার, শেখ মুজিব এক বার এবং সর্বশেষ তার কন্যা শেখ হাসিনা গত ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। এখন আইয়ুবও নেই, শেখ মুজিবও নেই। ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার পর ৩দিনের মাথায় ৫আগস্ট জামায়াতে ইসলামী বঙ্গ ভবনে, আর শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে গেছে। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে সিরাজপুর পিএল একাডেমী মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
 
 
সিরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোহাম্মদ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মু. ইকবাল হোসাইনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের সহ সেক্রেটারী ইসমাইল হোসেন মানিক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাওলানা মহি উদ্দিন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম ফয়সল, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী, এডভোকেট শংকর ভৌমিক, শহীদ আবদুর নুর রাসেলের পিতা সফি উল্যাহ প্রমূখ। সম্মেলনে শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে নির্যাতিতদের নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার। 
 
 
তিনি আরও বলেন, চট করে নাকি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে, এমন কথা শুনেছিলাম। আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। ২হাজার ছাত্র-জনতা হত্যা, ৩৫ হাজার গুলিবিদ্ধ আহতের বিচার হাসিনাকে কাশিমপুর কারাগারে রেখেই হবে। শেখ হাসিনার গুন্ডা বাহিনী- হেমলেট বাহিনী ছাত্রলীগকে অনেক অপকর্মের কারনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের অনেক অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ সব লীগকে নিষিদ্ধের দাবী উঠেছিল ১৮ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে। কিন্তু আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তুলেছে, কাদের সাথে আলোচনা করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তোমরা কারা? কাদের সাথে আলোচনা করবে? শহীদ পরিবারের মা-বাবাদের সাথে আলোচনা করেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি শাহাব উদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের দাবী উঠলেও আমাদের বন্ধুরা প্রশ্ন তোলে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে কথা বলে, সংবিধান বৈধ থাকলে এ সরকার বৈধ থাকে না। এখন তো সংবিধানই নেই, তোমরা কোন সংবিধানের কথা বলছো।
 

বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

তারেক রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না - ডা.মাজহার
গোয়ালন্দে ৫ জানুয়ারির জনসভা সফল করতে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফুলপুরে বিক্ষোভ
নকলায় গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ময়মনসিংহ যুব সমাজ কল্যাণ সংস্হার শীত বস্ত্র বিতরণ
ছাগলনাইয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
আরও

আরও পড়ুন

তারেক রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না - ডা.মাজহার

তারেক রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না - ডা.মাজহার

হাসান আরিফের প্রথম জানাজায় ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা

হাসান আরিফের প্রথম জানাজায় ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা

খুনিদের বিচার ও সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে

খুনিদের বিচার ও সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে

গোয়ালন্দে ৫ জানুয়ারির জনসভা সফল করতে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

গোয়ালন্দে ৫ জানুয়ারির জনসভা সফল করতে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমবে: রিজভী

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমবে: রিজভী

সাংবাদিক নির্যাতনে ডিএমসিআরসির উদ্বেগ

সাংবাদিক নির্যাতনে ডিএমসিআরসির উদ্বেগ

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফুলপুরে বিক্ষোভ

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফুলপুরে বিক্ষোভ

বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস বন্ধে কর্মহীন হাজারো মানুষ, রেমিট্যান্স হারাচ্ছে দেশ

বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস বন্ধে কর্মহীন হাজারো মানুষ, রেমিট্যান্স হারাচ্ছে দেশ

ভ্রমণকারীদের সচেতন হতে হবে

ভ্রমণকারীদের সচেতন হতে হবে

হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক

হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতির শোক

নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে নানা কথা

নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে নানা কথা

বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?

বিশ্ব ইজতেমার ভবিষ্যৎ কী?

তাবলিগ একটিই থাকবে : সাদকে নিষিদ্ধ করতে হবে

তাবলিগ একটিই থাকবে : সাদকে নিষিদ্ধ করতে হবে

ঈশ্বরদীতে বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে জখম : ৩৫ ঘরবাড়িতে আগুন

ঈশ্বরদীতে বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে জখম : ৩৫ ঘরবাড়িতে আগুন

ঝিকরগাছায় অভিনব কায়দায় ৩ লাখ টাকা ছিনতাই, আটক ১

ঝিকরগাছায় অভিনব কায়দায় ৩ লাখ টাকা ছিনতাই, আটক ১

আশাশুনিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দখল

আশাশুনিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দখল

লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত বৃদ্ধ কয়েদির মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত বৃদ্ধ কয়েদির মৃত্যু

শীতকাল আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত

শীতকাল আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত

পানির-ভারসাম্যতত্ত্ব, আসলনকল নির্ধারণী যন্ত্রের আবিষ্কারক মুসলিম মনীষী

পানির-ভারসাম্যতত্ত্ব, আসলনকল নির্ধারণী যন্ত্রের আবিষ্কারক মুসলিম মনীষী

কুকুরের কামড়ে আহত ১৪

কুকুরের কামড়ে আহত ১৪