ভৈরবে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত খামারি মৌয়ালরা
০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলায় এখন চলছে সরিষার মৌসুম। হলদে ফুলে ঢেকে গেছে ফসলে মাঠ। আর এই ফুল থেকে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত খামারি মৌয়ালরা। বছরের এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন তারা।
ফলে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ রোগ নিরাময়কারী এই মধু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করছে খামারি মৌয়ালরা।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ব্যাপক হারে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। ফলে নীল আকাশের নিচে এখন ফসলের মাঠে হলুদ গালিচায় অপরুপ দৃশ্য। প্রকৃতির এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খামারি মৌয়ালরা জমির পাশে পোষা মৌমাছি নিয়ে শত শত বক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন।
ডিসেম্বরের থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুরো ৩ মাস খামারি মৌয়ালরা মধু সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকেন। এক একজন ক্ষুদ্র চাষী ৩০ থেকে ৫০ টিরও বেশি বক্স নিয়ে মৌমাছি পালনের পাশাপাশি মধু আহরণ করছেন। সপ্তাহে প্রতিটি বক্স থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি আর মাসে ১৫ থেকে ১৭ কেজি মধু সংগ্রহ হয়। চলতি মাসে ১৬০০ কেজি মধু সংগ্রহ হবে বলে আশাবাদী চাষীরা।
এছাড়া কেউ কেউ এক'শ থেকে দেড়'শ বক্স নিয়ে মধু আহরণ করছেন। প্রতি কেজি মধু ৬শত থেকে ৮০০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাদের এ মধুচাষ দেখতে আশপাশের অনেকে ছুটে আসছে। তাছাড়া সরিষা মৌসুমের মধুর গুণাগুণ অটুট থাকায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এতে একদিকে যেমন সুস্বাদু ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন মধু পাওয়া যায়। অন্যদিকে, তেমনি মৌমাছির মাধ্যমে ফসলের পরাগায়নের ফলে জমিতে অধিক ফলন উৎপাদন হয়।
খামারি মৌয়াল সুরত আলী, আরমান, রায়হান, সাইফুল, সাইমনের সাথে ইনকিলাবের সাথে কথা হলে তারা জানান, মধু ছাড়াও মূল্যবান ফলেন ও রয়েল জেলি সংগ্রহ করে অধিক দামে বাজারে বিক্রি করতে পারেন তারা। সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মধু, ফলেন ও রয়েল জেলি সংগ্রহ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন তারা। সেই সাথে অধিক পরিমাণে লাভবান হবেন খামারি মৌয়ালরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলি বেগম ইনকিলাবকে বলেন, আগা নগর ইউনিয়নে নবীপুর বলকে ১০৭ টি বক্স স্থাপন করেছেন। এতে একদিকে যেমন সরিষা ফুল থেকে সু-স্বাদু ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন মধু পাওয়া যায়। তেমনি অন্যদিকে মৌমাছির মাধ্যমে ফসলের পরাগায়নের ফলে জমিতে সরিষার অধিক ফলন উৎপাদন হয়। যদি এই অপার সুযোগটি কাজে যুব সমাজ লাগাতে পারে, তাহলে সমাজে বেকারত্বের হার দিন দিন কমে আসবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চকরিয়ায় মহেশখালীর কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
ঠোঁট মোটা করতে লাগালেন মরিচ, ভাইরাল ইনফ্লুয়েন্সার
টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
সীমান্তাঞ্চলে কৃষিতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিচ্ছে ‘আনারস চাষ’
মাগুরায় শহীদ রাব্বির কন্যা শিশুর দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
নোয়াখালীতে চাঁদাবাজির অডিও ক্লিপ ফাঁস, যুবদল নেতা বহিষ্কার
কুলাউড়ায় টিলা কাটা ও বালু উত্তোলনের দায়ে আটক-১
ইউক্রেনের ঘাঁটি কুরাখোভ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে : মস্কো
আদমদীঘিতে মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ , সিউলে ব্লিংকেনের উপস্থিতির মাঝে উত্তেজনা বৃদ্ধি
ভারতেও ছড়াল এইচএমপিভি ভাইরাস, আক্রান্ত ২ শিশু
ফুলকপি উৎপাদন খরচ ১৫ টাকা বিক্রি ৫ টাকা: মাঠেই কেটে ফেলে রাখছে চাষিরা
ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতি খালেদা জিয়ার যে মহানুভবতায় বিস্মিত আসিফ নজরুল
পঞ্চগড়ে শিবিরের নেতৃত্বে জুলফিকার-রাশেদ
নির্মাণের ৩৬ বছরে মেরামত হয়নি ভোলা বাস টার্মিনাল
সুবিধা বঞ্চিত গরীব অসহায়দের মাঝে এডভোকেট ফরহাদ ইকবালের শীতবস্ত্র বিতরণ
মুজিব ছিল ভারতীয় নকশা বাস্তবায়নের মূল খেলোয়াড়: মেজর ডালিম বীর উত্তম
মাসুদ-বাবরের রেকর্ড জুটি
ছাত্রলীগের শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি সোহাগ বেপারী গ্রেপ্তার
বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ : ডেইলি মেইল