নিপুণ হাতে সুই সুতোয় কাজ করছে আটঘরিয়া লেপ-তোষকের কারিগররা
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা। তাই শীত নিবারনের জন্য উপজেলার বিভিন্ন বাজারের লেপ-তোষকের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে দম ফেলার সময় নেই কারি গরদের।
সরেজমিনে উপজেলা সদর দেবোত্তর, আটঘরিয়া, চাঁদভা, সড়াবাড়িয়া, খিদিরপুর, পারখিদিরপুর, রামচন্দ্রপুর,রামেশ্বরপুর, গোরড়ী,মতিঝিল, কয়রাবাড়ী, একদন্তসহ
বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মোকাবেলায় লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
দোকানিরা ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাচ্ছেন, নিচ্ছেন অর্ডার। কারিগররা তাদের নিপুণ হাতে সুই সুতো নিয়ে করছেন কাজ, তৈরি করছেন বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোষক-জাজিম।
কেউ নগদ টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছেন আগের তৈরি (রেডিমেড) লেপ-তোষক কেউ আবার নতুন করে বানানোর জন্য অর্ডার দিচ্ছেন কারিগরদের।
অনেকে আবার পুরোনো গুলোই মেরামত করাচ্ছেন। তবে তুলা, কাপড়, ফোমের দাম ও মজুরি গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
উপজেলার নওদা পাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম জানান, শীতের শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি কেজি তুলা ১০-১৫ টাকা এবং কাপড়ের দাম গজপ্রতি প্রায় ১৫-২০ টাকা বেড়েছে।
এ বছর আকার অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরিতে দাম ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। একটি লেপ তৈরি করতে মজুরি ৫০০ টাকা, তোষক ৫৫০ টাকা, বালিশ প্রতিটি ৫০ টাকা এবং জাজিম তৈরিতে ৩৫০০ টাকা হারে নেওয়া হচ্ছে। এই মজুরির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
লেপ বানানোর অর্ডার দিতে আসা রাধাকান্তপুর গ্রামের ক্রেতা রাজ্জাক, রবি,সামসুল,সনি বলেন, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার লেপ-তোষক বানানোর খরচও বেড়েছে।
গত সপ্তাহ থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছেন তারা। তবে এবারে লেপের জন্য তুলার দাম গত বছরের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
মাজপাড়া ইউনিয়নের কুমারগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ক্রেতা রুবেল আহমেদ বলেন, এবার শীতের তীব্রতা বেশি হতে পারে। তাই আগে থেকেই লেপ তৈরির জন্য দোকানে এসে অর্ডার দিচ্ছি।
আমি গরিব মানুষ। কম্বলের যে দাম সেটা কেনার সামর্থ্য নাই। এ কারণে কম দামী তুলা ও কাপড় দিয়ে অল্প টাকা মধ্যে লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।
দেবোত্তর বাজারের লেপ তোষকের দোকানদার রেজাউল করিম ও মোস্তফা কামাল বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। গত বছর তুলা ছিল ১০০ টাকা কেজি, এবছর বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি। মজুরি ১০০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসা ততটা ভালো হচ্ছে না। তবে প্রতিদিন ৩-৪ লেপ ও তোষক অডার পড়তেছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মি: পটুয়াখালী নামে পরিচিত ম্যারাথন দৌড়বিদ টুকু জামিলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ঢাকায় ফিরেছেন কলকাতা বিমানবন্দরে আটকা পড়া ২২০ বাংলাদেশি
এসএমএসে সাড়া না দিলে এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল করবে ইসি
সৈয়দপুরে ৬০ বছর বয়সী মাকে রাস্তায় ফেলে দিলেন স্বজনরা
রাজধানীর পুরানা পল্টনে ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
নেপালে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো আরো ৪ দেশ
সৌদি আরবে চালকবিহীন ট্রেন চালু
পঞ্চগড়ে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াল সেনাবাহিনী
পথে বসতে যাচ্ছে ভারতের মহাকাশ শিল্প!
কঠোর হস্তে সিন্ডিকেট ও বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের আহবান হাসনাতের
কালো গ্লাসের অন্তরে বন্ধী সাব্বিরের রঙিন স্বপ্ন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ শীতকালীন ঝড়ে পাঁচজনের মৃত্যু
নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ভারতে আটক ৯০ বাংলাদেশি জেলে-নাবিক দেশে ফিরছেন আজ
ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণা,নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় যারা
শিবির থাকায় সংলাপ বর্জন ছাত্রদলের
ব্রিটেনে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে ভিআইপি প্রটোকল
আইএস বিরোধী অভিযানে ইরাকে এক জোট সদস্য নিহত
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ, নয় বছরের অধ্যায়ের সমাপ্তি