বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, শহীদ জিয়ার পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তবে তিনি শক্ত হাতে দক্ষতা ও সফলতার সাথে সাথে সব সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সফল রাজনীতিবীদ ও রাষ্ট্র নায়কে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর সফলতার মূল ভিত্তি ছিল দেশপ্রেম,সততা,নিষ্ঠা এবং গণমুখী পদক্ষেপ ।তাঁর ওপর যখনই গুরুদায়িত্ব এসেছে,তখন তিনি দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এজন্যই তিনি সফল হয়েছেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স আজ সকালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত নিম গাছের চারা রোপন কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় টিসার্স লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর ভাইস চ্যান্সেলর ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর মনিটর কৃষিবিদ প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাব এর সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড. এ.কে.এম মাহবুবুর রশীদ গোলাপ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর শিক্ষা বৃওি প্রকল্প উপ- কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়ক কৃষিবিদ মনির উদ্দীন আহাম্মেদ, জিয়া পরিষদ, বাকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ প্রফেসর ড. সামছুল আলম ভূইয়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার, সোনালী দল এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আহমদ খায়রুল হাসান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর মনিটর সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম , জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কো- অর্ডিনেটর কৃষিবিদ ড.মো আকিকুল ইসলাম আকিক।
অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, শহীদ জিয়ার মিডলইস্ট ডিপ্লোমেসি বা মধ্যপ্রাচ্যে কূটনীতির প্রধান উপাদান ছিল নিম গাছ। সৌদী আরবের মরু অঞ্চলে নিম গাছ রোপন করে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছিলেন।মরু অঞ্চলে নিমগাছ রোপন করে তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। শহীদ জিয়ার নিম গাছ ডিপ্লোমেসি পরবর্তীতে সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বে কর্মসংস্থান ও ব্যাবসা বানিজ্য এবং সম্পর্ক উন্নয়নে নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ডুবন্ত দেশকে উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার মহাসড়কে টেনে মূল ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তাঁর অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। শুধু দেশেই নয় , বহির্বিশ্বেও তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতনের পর দেশ এক জটিল ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নানা সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে । সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জিয়াউর রহমানের মতো বিচক্ষণতা, দক্ষতা,সততার সাথে কাজ করতে হবে। বার বার তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।তিনি বলেন, সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অবাধ,
নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু,অংশগ্রহণ মূলক গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নাই। যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতের শাসন ফরিয়ে আনা যাবে,তত দ্রুত টেকসই সংস্কারের মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধান হবে। শিক্ষক ,কর্মকর্তা,কর্মচারী,ছাত্র,ছাত্রীদের প্রতি দেশের পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃস্টি রেখে গণতন্ত্রে উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান ।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এ কে এম ফজলুক হক ভূইয়া শহীদ জিয়ার স্মৃতি চারণ করে বলেন, জিয়াউর রহমানের ব্যাক্তিত্ব,বিচক্ষনতা,দেশপ্রেম সম্মোহনী শক্তির মতো কাজ করে। কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে শহীদ জিয়ার অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
এছাড়াও এমরান সালেহ প্রিন্স হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ায় তিনদিনব্যাপী জিয়া জন্মোৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ দুপুরে শহীদ জিয়ার জন্মর্বার্ষিকী উপলক্ষে হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে শহীদ জিয়ার ওপর রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা , মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে পবিত্র কোরআন বিতরণ, মহিলাদের ঘরোয়া খেলা, ধারা উচ্চ বিদ্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ , হালুয়াঘাট উত্তর বাজারে শহীদ জিয়ার প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন ।