ঘরে ঘরে ঈদুল ফিতরের আনন্দের হাতছানি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে সারা দেশে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসায় কর্মরত ২ হাজার ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১ হাজার ১০ জন অফিস সহায়ক কর্মীসহ মোট ৩ হাজার ৩০ জন কর্মচারী বিগত তিন মাস যাবৎ বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এসব মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা অনাহার-অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছেন। মুদি দোকানের চাল-ডাল বাকিতে কিনে সংসারের ঘানি টানছেন এসব শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনেকেই ঋণ করে জীবিকা নির্বাহ করে মাদরাসায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দারুল আরকাম প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নান গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে ইবতেদায়ী মাদরাসা অংশটি বাদ দেওয়ার জন্য আপত্তি জানান, ফলে উল্লেখিত প্রকল্পটি ঝুলে গেছে। ফলে প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ার জটিলতায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়কদের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুস সবুর (উপসচিব) ইনকিলাবকে বলেন, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা থেকে ইবতেদায়ী শব্দ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ায় প্রকল্প অনুমোদনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, আমিও তিন মাস যাবৎ বেতন-ভাতা পাচ্ছি না।
বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। তারা আসন্ন ঈদে সেমাই-চিনি পর্যন্ত কিনতে পারছেন না।
বাংলাদেশ দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি জয়নুল আবেদীন আজ শনিবার ইনকিলাবকে জানান, দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রকল্প দীর্ঘ ৯ মাসেও পাশ না হওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির পর মাদরাসা খোলার পর প্রকল্প জটিলতার খবর প্রকাশিত হলে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিতে পারে।
তাই চলমান নাম, শ্রেণি ও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দ্রুত প্রকল্পটি অনুমোদন করে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহায়ক কর্মীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সরকারকে দ্রুত কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।