আমাদের চেতনার প্রাণপুরুষ আল্লামা ফুলতলী (র.)
০১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫১ পিএম | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫১ পিএম

আল্লামা ফুলতলী (র.) আমাদের চেতনার এমন প্রাণপুরুষ, যার কথা সবসময়, বিশেষতঃ পবিত্র দিনগুলোতে বেশিই মনে পড়ে। ঈদের দিন তিনি ঈদগাহে চলে যেতেন খুব সকালে। নামাজ শেষে সবাইকে নিয়ে আল্লাহর দরবারে হৃদয়ের সবটুকু আকুতি জানিয়ে দোয়া করতেন। তন্মধ্যে একটি দোয়া বেশি মনে পড়ে 'হে আল্লাহ, আমাদেরকে যেভাবে ঈদের ময়দানে এনে খুশি করেছো আমাদের মুর্দেগানকে ক্ষমা করে সেভাবে খুশি করে দিও'।
মনে হচ্ছে সেদিন, কিন্তু দেখতে দেখতে তাঁর ইন্তেকালের ১৭ টি বৎসর পেরিয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্ম তাঁর সম্পর্কে, তাঁর খিদমাত সম্পর্কে এতটা জানে না। এই সময়ে তাঁর মতো নির্ভীক, দৃঢ়চেতা, সৎসাহসী ও দ্বীন দরদী মানুষ উম্মাহর জন্য খুবই প্রয়োজন ছিলো।
তিনি জীবনভর ইলমে কিরাতের খিদমাতে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, এমনকি রক্ত পর্যন্ত দিয়েছিলেন। শত ব্যস্ততা স্বত্ত্বেও ইলমে হাদীসের খিদমাতে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছিলেন। মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, রক্ষণাবেক্ষণ, ইয়াতীম-অসহায়কে লালনপালন, মানুষকে মূল্যায়ন ও অকৃত্রিম মুহাব্বাত, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা, পরিবারকে সময় দান এমনকি ক্ষেত-খামারের ব্যাপারেও তিনি সবসময় খোঁজখবর রাখতেন। একজন মানুষ এত এত বিষয় সামাল দিতেন কিভাবে?
আমি দেখেছি পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে অনেক লম্বা সফর করে আসার পর তাকে দেখে খোঁজ নিয়ে তারপর নিজের ঘরে যেতেন। শুক্রবার থেকে রবিবার সাক্ষাতপ্রার্থীকে সাক্ষাৎ দেওয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক বিচার আচার করতেন। মেহমানদারীতে তিনি ছিলেন অনন্য, ঘরে যাই থাকুক খাবার সময় আসলে তিনি মেহমানদারি করতেন। সপ্তাহের অন্যদিন গুলোতে বিভিন্ন জায়গায় সফর করতেন। মানুষের মাঝে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের মুহাব্বাতকে জাগ্রত করতেন, ইসলামের সঠিক আকিদা বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতেন। তাঁর এক বিশেষ পরিচয় ছিলো, তিনি ছিলেন দিনের বেলা আল্লাহর পথে মর্দে মুজাহিদ আর রাতের বেলা তাহাজ্জুদগুজার একজন আবিদ বান্দাহ।
বর্তমান প্রজন্মকে তাঁর ত্যাগ ও খিদমাত সম্পর্কে জানাতে হবে এই লক্ষ্যে যে, তিনি শুধু খানকার পীরই ছিলেন না বরং জীবনের সকল ক্ষেত্রে ছিলেন সফল একজন মানুষ। আর এই সফলতার পিছনে রয়েছে আল্লাহর পথে কুরবানী ও ত্যাগের বহু নজরানা। যেদিকেই খিদমাত শুরু করেছেন আল্লাহর মেহেরবানিতে সেদিকেই ফুল ফুটেছে, সোনা ফলেছে, আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহর মেহেরবানিতে যার ওসীলায় আমার জীবনের পথচলা, দ্বীনী খিদমাতে শরীক হওয়ার সুযোগ লাভ এবং মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান পাওয়া তাঁকে ভুলি কেমন করে?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের চেতনার প্রাণপুরুষ, আমাদের রাহবার, ক্ষণজন্মা মনীষী শামসুল উলামা হযরত আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) এর দরজা বুলন্দ করে দিন এবং তাঁর খিদমাতগুলোকে ছড়িয়ে দিন পৃথিবীর কোণায় কোণায়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

নামেই সিলেট ‘ওয়াসা’ ৩ বছরেও কার্যক্রমহীন: সিলেটের বিষয়ে উদাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও

গাজা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক!

রাউজানে বিশেষ অভিযানে অস্ত্র সহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

লিভারপুলের অপ্রত্যাশিত হারে টিকে থাকল আর্সেনাল

সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপি’র মতামত ইতিবাচক

হাসিনাকে ফেরাতে সব প্রক্রিয়াই অনুসরণ করবে দুদক

ঈশ্বরগঞ্জে ভাড়া-নৈরাজ্য ঠেকাতে ১৩ যানবাহন ডাম্পিং-জেল-জরিমানা

কিশোরগঞ্জ শহরে ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী ফ্যানস এর আয়োজনে বিশাল ঈদ শোভাযাত্রার আয়োজন

বন্দরে দুর্বৃত্তদের অস্ত্রঘাতে সন্ত্রাসী রনী নিহত

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদ ও ইসরাইলি পণ্য বয়কটে উত্তরায় মশাল মিছিল

অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও লাইসেন্স না থাকায় দুই হোটেলকে জরিমানা

সিরাজদিখানে নিখোঁজের ৫ দিন পর অটো চালকের লাশ উদ্ধার

নদীতে অভিযানের জেরে ভাসমান জেলে পাড়াতে হামলার অভিযোগ, শিশুসহ আহত ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদী থেকে গলিত লাশ উদ্ধার

গাজাবাসীর হরতালে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের পূর্ণ সমর্থন

ঈদ পূর্ণমিলনীতে শেখ হাসিনার সেই নিষ্ঠুর শাসনের স্মৃতিচারণে আবেগাপ্লুত সিলেট ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

কসবায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আহত ২৫

প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিমত সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপি’র মতামত ইতিবাচক

“তারেক রহমান জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছেন”

সরাইলে তিন মাতালকে কারাদণ্ড