অবশেষে বিটি মাটেই হচ্ছে কেরাণীগঞ্জে সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা

কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা

১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম

নানান জল্পনা কল্পনা এড়িয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠিন জবাব দিয়ে অবশেষে কেরানীগঞ্জের বিটি মাঠেই হচ্ছে কেরানীগঞ্জের সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা। যুগ যুগ ধরে এই মাঠে বাঙালি সংস্কৃতির বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে এই মাঠে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহনকারী বৈশাখী মেলা আয়োজন খেকে বিরত ছিলো । ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতনের পর, মুক্ত বাতাসে মুক্ত কন্ঠে পাখির মত ডানা মেলে ছুটে চলবে ছোট ছোট সোনামোনিরা,দলে দলে গ্রামীণ সাজে লোকজনের ঢল নামবে বিটি মাঠে বিনেদোন পেতে, এমন ভাবনা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু গয়েস্বর চন্দ্র রায়ের।

তার মতে প্রাচীন কাল থেকেই এই মাঠে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে ঘুড়ি উৎসব,বৈশাখী মেলাসহ গ্রামীণ সাংস্কৃতিক উৎসব পালন করা হতো। কালের বিবর্তনে পরিকল্পিতভাবে সেগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর দেশ এখন মুক্ত। জনগণ এখন স্বাধীন। এদিকে মাঠটিকে কেন্দ্র করে কিছু আওয়ামী দোসর দালল সাংবাদিক ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক বাংলার ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলাকে ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করতে ছিল। পরিশেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কঠিন সিদ্ধান্তে ধামাচাপায় পড়ে সকল ষড়যন্ত্র। তিনি শনিবার মাঠ পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন কাফনের কাপড় পরার প্রয়োজন হলেও বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবেই। তার এমন বক্তব্যে দুমড়ে মুচড়ে যায় সকল ষড়যন্ত্রিকারীদের নীল নকশা।

আজ রবিবার তিনি ঢাকা ডিসি অফিস কর্তৃক মেলা অনুমোদনের একটি চিঠি পান। এতে করে এলাকা স্বস্তি এবং জনগণের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , মাঠটি অক্ষত রেখে মূল মাঠের বাহিরে রঙবেরঙের কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী স্টল। প্রধান ফটকে ডেকোরেশন সম্মিলিত নির্মাণ করা হচ্ছে বিশাল বৈশাখী গেট। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিন শাখা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট রিপন রায় চৌধুরী বলেন,বাংলার সংস্কৃতি পহেলা বৈশা ধরে রাখতে দাদার এই বিশেষ আয়োজন। কিছ অসাধু আওয়ামী লীগের দালাল সাংবাদিক ও একটি কুচক্রী মহল বাংলার সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে চক্রান্তে মেতেছিল।

সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে, অবশেষে বিটির মাঠেই বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখা বিএনপির সদস্য ওমর শাহনেওয়াজ বলেন, একটি কুচক্রী মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে এই মেলা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা এই মেলা বন্ধ করতে পারেনি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে সুন্দরভাবে এই বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখার শ্রমিক দলের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শাহীন বলেন, প্রটীনকাল থেকে এই বিটি মাঠে ঘুড়ি উৎসবসহ বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হত। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে এতদিন এই মেলা বন্ধ ছিল। এটা একটা জাতীয় উৎসব দলবল নির্বিশেষে আমরা এটা প্রাণের উৎসব মনে করি।

বিভাগ : বাংলাদেশ