ইসলামী ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট দীর্ঘস্থায়ী -মুডিস
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩১ এএম | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩১ এএম
বাংলাদেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দীর্ঘস্থায়ী। মুডি’স ইনভেস্টরস সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাহকের আমানত কমে যাওয়া এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া বেশিরভাগ সহায়তা ব্যবস্থা ব্যবহার করতে না পারার কারণেই এই পরিস্থিতি। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মুডিজের এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য উদ্ধৃত করে শরিয়াহভিত্তিক বা ইসলামী ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তারল্য ঘাটতির প্রভাব ব্যাংকগুলোর ঋণের মানকেও প্রভাবিত করতে পারে। এতে দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে পারে।
মুডি’স শীর্ষস্থানীয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিং এজেন্সী। আরেকটি শীর্ষস্থানীয় ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি হল ফিচ রেটিং। প্রতিষ্ঠানটি গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংকের মূল্যায়নও প্রকাশ করেছে। ফিচ রেটিং রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরে শরিয়াহ ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ বা ৯৮২ কোটি টাকা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও অতিরিক্ত তারল্য হ্রাসের একই তথ্য রয়েছে।
ফিচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর স্বল্পমেয়াদী তারল্য চ্যালেঞ্জ পরিমাপ করা হয় তারল্য কভারেজ অনুপাত বা এলসিআর হ্রাসের মাধ্যমে। ২০২২ সালের শেষ ছয় মাসে, শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলির এলসিআর ৮৭ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের শেষে, এই হার ছিল ১৮৮ দশমিক ৮।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত অনুপাত গত বছরের একই সময়ের ৯৪ শতাংশ থেকে চলতি বছরের জুনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ শতাংশে। মুডি’স প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণ-আমানতের অনুপাত এতটাই বেশি যে তারল্য সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠছে। দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোর তারল্য পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এসব ব্যাংকে তারল্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
মুডি’স অনুসারে, ২০২২ সালে, দেশের ১০টি ইসলামী ব্যাংক আইন অনুযায়ী তারল্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল; কিন্তু ছয় মাস পর দেখা যাচ্ছে, ১০টি ব্যাংকের মধ্যে ৪টি এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। ৬টি ব্যাংক নিয়মানুযায়ী তারল্য বজায় রাখতে সক্ষম হলেও তাদের অতিরিক্ত তারল্য ছিল কম।
দেশে ১০টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে। এগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ছয়টি ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব ব্যাংকে নানা অনিয়ম হয়েছে।
বিভাগ : ব্যবসা-বাণিজ্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ