দেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিকে সঙ্কট হিসেবে আখ্যায়িত করে এই সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাক বাজেট আলোচনা ২০২৪-২০২৫: বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা জানান ডেপুটি গভর্নর।

ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ। এর সঙ্গে রয়েছে রিজার্ভ পরিস্থিতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্বের প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী রক্ষণশীল সুদহার প্রণয়ন করেছে। এর ফলে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক পরে সুদের হার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, এর উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেয়া। আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সুদহার বাড়ানো হয়নি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, এনবিআরের নেয়া নীতির কারণে দেশ মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন দেশে ফোরহুইল ড্রাইভ গাড়ি ও লিফট উৎপাদনের ব্যাপারেও একই ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি এসব পণ্য রফতানির ক্ষেত্রেও এনবিআর সহায়তা দিচ্ছে। পাশাপাশি দেশে যেন হেভি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে ওঠে সে ব্যাপারে কাজ করছে এনবিআর। তিনি বলেন, এনবিআর দেশের ট্যাক্স বনাম জিডিপি রেশিও বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এজন্য সবাইকে দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ড. এম মাসরুর রিয়াজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।#