মূল্যস্ফীতি রোজার মাসে বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১২ পিএম | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
রোজার মাসে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যে লাগাম ছাড়িয়েছিল। প্রভাব পড়েছে মাস শেষের মূল্যস্ফীতিতে। মার্চ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৭। মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচকে এ তথ্য জানা গেছে। যদিও এই হিসাব নিয়ে ভিন্নমত আছে বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে বাস্তবে মূল্যস্ফীতি অনেক আগেই ডাবল ডিজিট ক্রস করেছে। মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮১ শতাংশের অর্থ হলো- ২০২৩ সালের মার্চে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল, এ বছরের মার্চে তা ১০৯ টাকা ৮১ পয়সায় কিনতে হয়েছে। বিবিএসের তথ্য বলছে, মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সকালে জট, বিকেলে ফাঁকাসকালে জট, বিকেলে ফাঁকা গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। মার্চে এসব পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৩। চলতি অর্থবছর সরকারের লক্ষ্যমাত্রা মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার। তবে সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। কিন্তু তাতেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বিবিএসের মার্চের তথ্য বলছে, গ্রামের তুলনায় শহরের মূল্যস্ফীতি বেশি। গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৮, যেখানে শহরের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শহরে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৮, গ্রামে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে তিন কারণে বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য, বাংলাদেশে এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। চলতি অর্থবছরও এ উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকবে। এ মূল্যস্ফীতি বাড়ার পেছনে তিনটি মূল কারণ থাকতে পারে বলে মনে করে তারা। এ তিনটি কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, বিদেশি মুদ্রার সংকটের কারণে আমদানি সংকোচন ও জ্বালানি সংকট বহাল থাকবে, যার কারণে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়তে পারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির রাশ আরও টেনে ধরা দরকার বলেও সংস্থাটি অভিমত দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের প্রধান আবদুল্লায়ে সেক বলেন, সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির এই ভঙ্গি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বিভাগ : অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স স্মার্ট প্লাজায় হাইসেন্স এসি, টিভিতে বিকাশ পেমেন্টে অতিরিক্ত ১,০০০ টাকা ছাড়
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে
বাগেরহাটে যুবলীগ নেতাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগ নেতা
ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা আনলো ভিভো ভি৩০ লাইট
সোনালী ব্যাংকের মুনাফা ৮৩ শতাংশ বেড়েছে
টেকসই রাজস্ব নিশ্চিতে করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতা
শপআপ-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করলেন মামুন রশীদ
১ বছরে আদানি গ্রিনের ২৫ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধি
উপজেলা নির্বাচনে ইভিএমে প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছে মতলব উত্তরবাসী
গোদাগাড়ীতে ৩ কেজি ৪শ’ গ্রাম হেরোইনসহ ২ জন গ্রেফতার
বজ্রপাতে নগরকান্দায় ২১ মাদ্রাসা ছাত্র আহতের ১১ জন এখনও হাসপাতালে
মেসিদের লিগকে যে পরামর্শ দিলেন ফিফা সভাপতি
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে একজন কেএনএফ সদস্য নিহত, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
স্কটল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে হুইল ও জোন্স
আগামীকাল হরিরামপুর উপজেলা ভোটগ্রহণ : ত্রিমুখী লড়াইেয়র সম্ভাবনা
সিরি-এ বর্ষসেরা মিডফিল্ডার ফার্গুসন
সোনার দাম এবার ভরিতে বাড়লো ৪৫০২ টাকা
বিএনপির সমাবেশ: সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত দেবে ডিএমপি
রাত পোহালেই ফরিদপুর ৩ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ পুতিনের, ছয় বছর ভোগ করবেন একচ্ছত্র ক্ষমতা