ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

অগ্নিকা- ও বিস্ফোরণ রোধে ব্যবস্থা নিন

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম

নিত্য দিনে মানুষের মৃত্যু, দেশ ও জনগণের সম্পদ নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অগ্নিকা- ও বিস্ফোরণ। গণমাধ্যমে প্রতিদিন এ ধরনের খবর উঠে আসে। এক বা দুই জনের অসতর্কতার কারণে হাজারো মানুষের মৃত্যু ও ক্ষতিসাধন হয়। নিজেদের কারণে সংগঠিত এই ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে ফিরে আসতে আমাদের একটু নজরদারি প্রয়োজন। অন্যথায়, আগুনের এই ক্ষতির শঙ্কা নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। গত ১৪ মার্চ ঢাকার তেজকুনিয়া পাড়ায় এক বস্তিতে আগুনের ঘটনায় অসংখ্য মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, গ্যাসের মাধ্যমেই এই বিস্ফোরণ বড় আকার রূপ নিয়েছে। ৭ মার্চ গুলিস্তানের সিদ্দিকীয়া বাজারের কুইন সেনেটারী মার্কেটের সাততলা ভবনের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবগত। জমে থাকা গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই ঘটনায় নিচতলা এবং দুতলা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শতাধিক আহত এবং অনেকেই মারা যায়। এর দুই দিন আগে গত ৫ মার্চ সাইন্স ল্যাব এলাকার তিন তলার একটি ভবনের বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ১৫ জন আহত এবং তিনজন মারা গিয়েছে। জানা গেছে, গ্যাস লাইন ছিদ্র হওয়ার পাশাপাশি অন্য কারণও ছিল এর পেছনে। বিশ্লেষকদের মতে, গ্যাসের সমস্যাজনিত কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে রাজধানী। এর আগে ৪ মার্চ গুলশানের এক বাসায় অগ্নিকা-ের ঘটনায় একজন নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং ফ্যাক্টরিসহ সবজায়গায় নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে। অথচ, সচেতনতা বাড়ালেই এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবন নির্মাণের নানা আইন লঙ্ঘন ও ত্রুটি বিচ্যুতি, গ্যাস লাইনের ছিদ্র এবং গ্যাস সিলিন্ডারের অসতর্কতাজনিত ব্যবহারের কারণেই এমন সমস্যা হচ্ছে। তাই, গ্যাসের চুলা ব্যবহারে সতর্কতা বাড়ানোর পাশাপাশি বৈদ্যুতিক পুরাতন লাইনগুলো পুনরায় সংস্কার করতে হবে। পুরো ঢাকা শহর নতুন করে তদারকি করা এবং নিজ নিজ রান্না ঘরের সিলিন্ডার, গ্যাস ও বৈদ্যুতিক লাইনগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অতএব, জনসচেতনতার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের নিকট এই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।

মিসবাহুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, দারুল হেদায়া ইসলামিক ইনস্টিটিউট বারিধারা ঢাকা


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান

তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান