হিজরি নববর্ষের তাৎপর্য
১৯ জুলাই ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
হিজরি নববর্ষ মুসলিম জাতির এক জাতীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব। মুসলমানদের নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, লাইলাতুল ক্বদর, লাইলাতুল বরাত, ঈদে মিলাদুন্নবি, ঈদুর ফিতর, ঈদুল আযহাসহ ধর্মীয় বিষয়াবলির জন্য হিজরি সনের হিসাব অপরিহার্য। মহানবি হজরত মুহম্মদ (স.)Ñএর হিজরতের বছরকে ইসলামি সন গণনার প্রথম বছর ধরা হয়েছে বলে এটি হিজরি সন নামে পরিচিত। হিজরি সন চান্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষÑ উভয় হিসেবে গণনা করা হয়। সৌর হিসাবে ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ দিনে মাস ও ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনে বছর ধরা হয়। অপরদিকে চান্দ্র হিসাবে ২৯, ৩০ দিনে মাস ও ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে বছর ধরা হয়। ইসলামি শরিয়াহ্র ফিক্হ শাস্ত্র মতে, মাস বলতে চান্দ্রমাস এবং বছর বলতে চান্দ্রবর্ষকেই বোঝায়।
আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টির পর পরই বারো মাসের গণনা পদ্ধতি নির্ধারিত হয়। এ মর্মে মহান আল্লাহ্ আল কুরআনে ইরশাদ করেন: ‘তিনিই সূর্যকে দীপ্তিময় ও চাঁদকে আলোকময় করেছেন এবং তার জন্য কক্ষপথ নির্দিষ্ট করেছেন, যাতে তোমরা বছর গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পারো।’ (সুরা ইউনুস: ৫)
মুসলিম উম্মাহ্র নিকট হিজরি সন-তারিখের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। হিজরি সনের সাথে মুসলিম উম্মাহ্র ইতিহাস-ঐতিহ্য, তাহজিব-তামুদ্দুন ও অভ্যাস-প্রথার ভিত্তিমূল অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ হিজরি সন এমন একটি ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয় যার সাথে জড়িত রয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (স.)-এর প্রিয় জন্মভূমি মক্কা নগরী ত্যাগ করে দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মদিনা শরিফ গমনের ঐতিহাসিক ঘটনা। মহানবি (স.) ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর মোতাবেক ২৭ সফর মক্কা মুকাররমা থেকে মদিনার (ইয়াসরিব) উদ্দেশ্যে হিজরতের নিয়তে যাত্রা শুরু করেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ৬২২ খ্রি. মোতাবেক ১২ রবিউল আউয়াল মদিনা মুনাওরায় পৌঁছেন। এ ঐতিহাসিক হিজরতকে স্মরণীয় করে রাখার স্মৃতি বহন করে চলেছে হিজরি সন।
ঐতিহাসিকদের মতে, হিজরতের পূতঃপবিত্র ও পূণ্যময় ঘটনাকে স্মরণীয় ও তাৎপর্যমণ্ডিত করে রাখার জন্য দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা.) হিজরি নববর্ষের গোড়াপত্তন করেন। তিনিই সর্বপ্রথম মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র চান্দ্রমাসের পঞ্জিকা প্রণয়ন করেন এবং তাঁর খিলাফতকালে হিজরতের ১৭তম বর্ষে হিজরী সন গণনা শুরু করেন।
প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়, বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন গণনা শুরু করতো। যেমন, হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সম্প্রদায়ের লোকেরা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করার দিন থেকে সন গণনা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে বায়তুল্লাহ্ নির্মাণের পর তা বিলুপ্ত হয়ে নতুন করে আবার সন গণনা শুরু হয়। এক সময় এসে এই সন গণনা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ইসলামের আগমনের পূর্বে সর্বশেষ আবরাহার হস্তিবাহিনী পবিত্র কাবা ধ্বংস করতে এসে আবাবিল পাখির পাথরবৃষ্টির মাধ্যমে নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যায়। তৎকালীন আরবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন গণনা শুরু হয়। তাছাড়া মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) এর সময়ে ইতোমধ্যে নামকৃত মাসসহ একটি আরবীয় চন্দ্র পঞ্জিকা ছিল। সেই সময় পঞ্জিকার বছর সংখ্যা দ্বারা নির্দেশিত করা হতো। উদাহরণস্বরূপ মুহম্মদ (স.) এবং আম্মার ইবনে ইয়াসির (৫৭০ খ্রি.) এর জন্মসালকে প্রাক-ইসলামি মক্কায় বলা হতো ‘হস্তিবর্ষ’। হিজরতের প্রথম বর্ষ (৬২২-২৩ খ্রি.) পঞ্জিকায় পরিচিত ছিল ‘ভ্রমণের অনুমতি’ হিসেবে।
খুলাফায়ে রাশেদিনের শাসনামলে মদিনাকেন্দ্রিক ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে প্রায়শঃই দাফতরিক তথ্য-উপাত্তের নথিপত্র ও দিন-ক্ষণের হিসাব রাখতে গিয়ে বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নরগণ বিপাকে ও অসুবিধায় পড়েন, যদিও রাসূলুল্লাহ্ (স.)-এর সময়ে ও তাঁর পূর্বে রোমান, পারসিয়ান ও অন্যান্য জাতির মধ্যে তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা প্রচলিত ছিল। যেহেতু তখন আরবদের মধ্যে কোনো নির্ধারিত বর্ষগণনা পদ্ধতি বা বর্ষপঞ্জি ছিল না বা ব্যাপকাকারে কোনো বর্ষপঞ্জি বা সন তারিখের ব্যবহার ছিল না, বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ঘটনার উপর নির্ভর করে দিন-তারিখ, মাস, বছর গণনা করা হতো। ঐতিহাসিকদের মতে, আনুমানিক ৪২৪১ খ্রিস্টপূর্বে বর্ষগণনার সূচনা হয় প্রাচীন মিশরে মতান্তরে প্রাচীন ব্যাবিলনে। তখন হিজরি সনের মতো চান্দ্রমাস অনুসারে সময়ের হিসাব করা হতো। পরবর্তীতে বর্ষ পরিক্রমায় সৌর বছর গণনার পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়।
মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.)-এর জীবদ্দশায় এবং ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা.)-এর খিলাফতকালেও মুসলিমদের নব উদ্ভাবিত কোনো সনের ব্যবহার শুরু হয়নি। দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা.)-এর খিলাফতকাল ছিল ইসলামের বিজয় ও সম্প্রসারণের স্বর্ণযুগ। এ সময়ে ইসলামি সাম্রাজ্য আরব বিশ্বের সীমানা পেরিয়ে সুদূর রোম ও পারস্য পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। হিজরতের ১৭ বছর পরে প্রখ্যাত সাহাবি হযরত আবু মুসা আশআরী (রা.) ইরাক এবং কুফার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমতাবস্থায় একদা হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রা.) খলিফা উমর (রা.)-এর নিকট এই মর্মে পত্র প্রেরণ করেন যে, হে আমিরুল মু’মিনিন! আপনার পক্ষ থেকে পরামর্শ কিংবা নির্দেশ সংবলিত যেসব চিঠি আমাদের নিকট পৌঁছে তাতে দিন, তারিখ, মাস, বছর ইত্যাদি উল্লেখ না থাকায় কোন চিঠি কোন সময়ে পাঠানো তা নিরূপণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এমতাবস্থায় আপনার নির্দেশ রাজ্যে জারি করতে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অতএব, সময়ক্রম নির্ধারণের জন্য সাল গণনার ব্যবস্থা করুন।
হযরত আবু মুসা আশআরী (রা.)-এর চিঠি পেয়ে হযরত উমর (রা.) এ মর্মে জরুরি পরামর্শ সভা (মজলিসে শুরা) আহ্বান করেন যে, অনতিবিলম্বে নামভিত্তিক বছর গণনা ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে একটি নতুন সংখ্যাভিত্তিক বছর গণনা ব্যবস্থার প্রচলন করে একটি ইসলামি সন-তারিখ প্রবর্তন করতে হবে। উক্ত পরামর্শ সভায় হযরত উসমান (রা.), হযরত আলী (রা.)সহ শীর্ষস্থানীয় সাহাবায়ে কিরাম, আলেম-উলামা এবং হযরত উমর (রা.)-এর প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত সকলের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে এ সভায় হযরত উমর (রা.) ইসলামি সন প্রবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন উমর (রা.) সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন তিনি একটি পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। সভায় হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাছ (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (স.)-এর ওফাতের বছর থেকে সাল গণনার প্রস্তাব দেন। হযরত তালহা (রা.) নবুয়তের বছর থেকে সাল গণনার অভিমত ব্যক্ত করেন। হযরত আলী (রা.) হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব দেন। তারপর তাঁরা সবাই হযরত আলী (রা.)-এর প্রস্তাবে ঐক্যমত পোষণ করেন, যা বর্তমানে প্রায় ১৪৫ কোটি মুসলমানের কাছে হিজরি সন বলে পরিগণিত।
নবী (স.) এর হিজরতের সন থেকে সন গণনা চূড়ান্ত হওয়ার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হলো, হিজরতকে মূল্যায়ন করা হয় ‘আল ফারকু বাইনাল হাক্কি ওয়ার বাতিল’ অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী বিষয় হিসেবে। নবী (স.) মদিনায় হিজরত করার মাধ্যমে ইসলাম প্রসার লাভ করে, মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকে, মুসলিমদের শক্তিমত্তা বাড়তে থাকে, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, ইসলাম বিজয়ী শক্তিতে পরিণত হয় এবং ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া মহান আল্লাহ্ রাসূল (স.) এর হিজরতের কথা গুরুত্বের সাথে কুরআনে উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া, প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আজান, নামাজ, জুমআর নামাজ, ঈদ উৎসবসহ সবকিছুই হিজরতের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এসব তাৎপর্যের দিকে লক্ষ করেই মুসলমানদের সন গণনা হিজরত থেকেই শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
উপমহাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর (রা.) কর্তৃক হিজরি সন প্রবর্তিত হওয়ার এক বছর পরই আরব বণিকদের আগমনের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসার ও হিজরি সনের প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীতে পঞ্চদশ শতাব্দীর দিকে দেশের বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপনার গায়ে লেখা খোদিত শিলালিপিতে আরবি হরফে হিজরি সনের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে, তুর্কি বীর ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি বঙ্গ বিজয়ের পর থেকে পরবর্তী ৬ শত বছর মুসলমানদের দৈনন্দিন কাজে সন তারিখ গণনায় প্রথমেই হিজরি সন ব্যবহার করা হতো। তার পরে বাংলা ইংরেজিকে উল্লেখ করা হতো। যদিও এখন আর এ দেশে হিজরি সনের ব্যবহার নেই বললেই চলে।
হিজরি সনের প্রথম মাস মুর্হরম এবং এটি একটি তাৎপর্যমণ্ডিত ও বরকতময় মাস। ইসলামের ইতিহাসে এ মাসটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমাময়। পবিত্র কুরআনে এ মাসকে ‘শাহ্রুল হারাম’ বা সম্মানিত মাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আর হাদিস শরিফে ‘শাহ্রুল্লাহ্’ বা আল্লাহর মাস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর এ মাসেই রয়েছে অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ দিবস ‘আশুরা’। ইসলামি ভাষ্য মতে, এ আশুরা দিবসে পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরো ঘটনা সংঘটিত হবে। মুর্হরম মাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিধায় এ মাসে ইবাদত-বন্দেগী করার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। আর এ মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নফল রোযা, যার স্থান রমযানের ফরয রোযার পরেই।
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও সহকারী অধ্যাপক, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, শেরপুর
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার