স্বাস্থ্যসেবা আরো গণমুখী করতে হবে
২২ জুলাই ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতার কারণে বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৩৫ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়। বাকি ৬৫ শতাংশের ভরসা বেসরকারি হাসপাতাল অথবা প্রাইভেট ক্লিনিক। চাহিদার তুলনায় সরকারি হাসপাতালে শয্যাসংকট ও জনবলের অপ্রতুলতার কারণে বাধ্য হয়ে রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে যেতে হচ্ছে। আর সেই সুযোগে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সংখ্যা। এসবের বেশিরভাগের চিকিৎসাসেবাও তেমন মানসম্মত নয়। শহরের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতাল বা গ্রামের যেকোনো চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা পেতেও রোগীদের হিমশিম খেতে হয়। সেখানকার স্বাস্থ্যসেবার মান অনেক ক্ষেত্রে সন্তোষজনক নয়। অভিজ্ঞ চিকিৎসক যারা রয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই পোস্টিং নিয়ে থাকেন ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে।
এ ছাড়া সেখানকার হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাব্যবস্থায় রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা। রোগীর অনুপাতে পর্যাপ্ত বেড নেই। হাসপাতালের বারান্দায়, মেঝেতে রোগীদের পড়ে থাকতে হয়। বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর দুঃখজনক ঘটনাও বিরল নয়। এ ক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসকের অবহেলারও দায় রয়েছে। যারা চিকিৎসা পেশাকে সেবার ব্রত হিসেবে নিতে পারেননি, তাদের দৃষ্টি রয়েছে অঢেল অর্থবিত্ত উপার্জনের দিকে। এ ধরনের চিকিৎসক সম্পৃক্ত থাকেন প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সঙ্গে। তাদের সহায়তায় দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক। তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে পাঠান প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে। রোগীদের প্যাথোলজিক্যাল টেস্টও করাতে হয় বাইরের ক্লিনিক থেকে। বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও অনেক রোগীই এ থেকে বঞ্চিত হন। রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ বাইরে বিক্রি হয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল নয়।
কিছুদিন আগে দেশের এক খ্যাতনামা শল্য চিকিৎসক অল্প বয়সের রোগীকে নিজ চেম্বারে অপারেশন করতে গিয়ে রক্তের নালি কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠে। ফলে রোগীর প্রবল রক্তক্ষরণে দিশেহারা হয়ে পড়ে রোগীর স্বজন। এমতাবস্থায় একজন জুনিয়র চিকিৎসক রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তরের পর অপারেশন করে রোগীকে সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুরো চিকিৎসাব্যবস্থাকে। একজন সিনিয়র ডাক্তার দুর্ঘটনার কোনো পূর্বপ্রস্তুতির পথ খোলা না রেখে কী করে কোনো অপারেশনে হাত দেন! চিকিৎসা দিতে গিয়ে কিছু ভুল চিকিৎসা হতেই পারে কিন্তু তা সামলানোর ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।
বাংলাদেশে চিকিৎসাব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি যতেœর অভাবে বিকল হয়ে পড়ে থাকে। বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি যোগ্য টেকনিশিয়ানের অভাবে ব্যবহারই করা যাচ্ছে না। এমনকি নতুন আমদানি করার পর যন্ত্রপাতি দক্ষ জনবলের অভাবে স্থাপন করা সম্ভবপর হয় না, এমন নজিরও রয়েছে। অথচ রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল গড়ে উঠেছে অনেক। সেখানে অনেক উন্নত মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। নিয়োজিত আছেন বহু দক্ষ চিকিৎসক। তবে ওইসব হাসপাতালে চিকিৎসার সেবামান নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। এমনিতে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর জটিল রোগ হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দেখা পাওয়া নিয়ে রয়েছে অনেক বিড়ম্বনা। অনেক ডাক্তারের দেখা পেতে অধীর অপেক্ষা করতে হয়। অনেক চিকিৎসকই টেলিফোনে রোগীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেন না। খুব সকাল বেলা সশরীরে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে নাম লেখাতে হয়। অনেক চিকিৎসকের সঙ্গে আবার নির্দিষ্ট দিনে ফোনে কনফার্ম করা ছাড়া তাদের দেখা মেলে না। এতসব ঝামেলা মিটিয়ে একজন রোগীকে ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর নামিদামি চিকিৎসকের কাছে যেতে কখনো দুই-তিন মাস লেগে যায়। একজন জরুরি রোগীর পক্ষে এতদিন অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আর ডাক্তারের ফি নেওয়ার ব্যাপারে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। একজন অধ্যাপক পর্যায়ের চিকিৎসক কখনো এক হাজার, কখনোবা দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নিয়ে থাকেন। ডাক্তারের এত বেশি দর্শনী মূল্য, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার উচ্চ ব্যয়ভার বহন করে গরিব মানুষের চিকিৎসা লাভ সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। করোনাকালে দেশের বর্তমান স্বাস্থ্যব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার নানা দিক দৃশ্যমান হয়েছে। করোনা সংক্রমণের সংকট সময়েও আক্রান্তদের জন্য দ্রুত পরীক্ষা নিশ্চিত করা যায়নি। অক্সিজেন, ভেন্টিলেশন, আইসিইউয়ের অভাবে করোনা রোগীর দুর্দশা, রোগভোগে মৃত্যুবরণের অসহায় চিত্র প্রত্যক্ষ করা গেছে। জীবন চলে গেছে অনেক মানুষের।
চিকিৎসকের কাছে মানুষ বড্ড অসহায়। জীবনের সংকটময় সময়ে মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিত্তহীন বা নি¤œবিত্ত মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালই ভরসা। তারা সেখানে ভিড় করে, নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়। সরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের আউটডোরে প্রায় বিনা দর্শনীতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র পেলেও ওষুধ কিনতে হয় বাইরের দোকান থেকে। এখন ওষুধের মূল্য হয়েছে আকাশছোঁয়া। রোগ নির্ণয়ের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরণাপন্ন হতে হয় বাইরের ল্যাবরেটরির কাছে। তাতেও রয়েছে অঢেল অর্থব্যয়। কখনো অপরিপক্ব বা ভুয়া চিকিৎসকের কবলে পড়ে রোগীকে অকালে প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটে। এসবের ব্যতিক্রম চিকিৎসক যারা রয়েছেন তাদের দিয়ে চলে এসব হাসপাতাল। বাংলাদেশে ওষুধের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে আইনকানুনের তেমন বাস্তব প্রয়োগ নেই। অনেক ওষুধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈধ লাইসেন্সও নেই। ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধপত্র বিক্রি হতে দেখা যায় বাজারে। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নকল ও ভেজাল ওষুধ, ইনজেকশন, মাদকসেবীদের বিষাক্ত রক্ত ব্যবহারের ঘটনাও আজ নতুন নয়। উন্নত বিশে^র মতো হাসপাতালে বা ওষুধের দোকানে নেই কোনো প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট। দেশের চিকিৎসার ওপর ভরসা রাখতে পারে না বলেই হয়তো বিত্তশালীরা সামান্য অসুস্থতাতেই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়।
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বেশকিছু সাফল্যও রয়েছে। আজ দেশে অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা হচ্ছে। হার্ট-সার্জারিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনের মতো কঠিন অপারেশনও সম্ভব করে তুলছেন এ দেশের চিকিৎসকরা। দেশের একজন খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ একটি বেসরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর দেহে দেশে প্রথম কৃত্রিম হৃৎপি- সংযোজন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই সফল প্রচেষ্টাকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ সাধুবাদ জানায়। তবে এ ধরনের চিকিৎসায় যে বিপুল অর্থব্যয় তা দেশের কম মানুষের পক্ষে জোগান দেওয়া সম্ভব। এ ব্যয়ভার কমিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে এমন চিকিৎসা পেতে পারে সেদিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রসূতি ও নবজাতকের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারের ফলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিনের সঠিক প্রয়োগে প্রসূতি ও নবজাতকের ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ উল্লেখযোগ্য হারে নেমে এসেছে। শিশুদের হেপাটাইটিস বি, হাম, কৃমি, পোলিওসহ নানা রোগের প্রতিষেধক ওষুধ খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ করতে দেশব্যাপী বাড়ানো হয়েছে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা। সাধারণ ও বিশেষায়িত নতুন হাসপাতালও স্থাপন হয়েছে। উপজেলায় নির্মিত হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে ইউনিয়নগুলোতে। সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোয় যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্লিনিকে সন্তান প্রসব কার্যক্রমও চালু হয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসচেতনতা, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উৎপাদনে বেশ কিছু উদ্যোগও লক্ষ করা গেছে। গ্রামাঞ্চলে প্রসূতিসেবাও বেশ উন্নত হতে চলেছে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের নিরলস প্রচেষ্টা দেশের জন্য আশার আলো দেখিয়েছে।
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থা রোধে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সেবার ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেসরকারি হাসপাতালের বেড সংখ্যা, যন্ত্রপাতি, লোকবল, সুযোগ-সুবিধাভেদে এ, বি, সি, ডি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা থাকবে। ফলে চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারী মানুষ আগে থেকেই নির্দিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে কী কী সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এবং তাতে চিকিৎসা বাবদ কত ব্যয় হবে তা জানতে পারবে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ফি নির্ধারণের বিষয়টি অর্ডিনেন্সে উল্লেখ রয়েছে, যা সরকার আইনে রূপান্তর করবে। এসবের বাস্তবায়ন হলে স্বাস্থ্যসেবার নামে বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিধিবহির্ভূত যে বাণিজ্য চলছে তা বন্ধ হবে, সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। কম ব্যয়ে মানুষ বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন।
এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে দুর্নীতি দূর করতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। কথায় কথায় অহেতুক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট, কর্মবিরতি বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসাব্যবস্থার সমস্যাগুলোকে দ্রুত দূর করে চিকিৎসকদের সেবা দানের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সর্বস্তরের চিকিৎসকগণকে তাদের মেধা ও মনন কাজে লাগিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। সব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা প্রদানে চিকিৎসকদের হতে হবে আন্তরিক। রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ ও সেবার মনোভাব নিয়ে দেশের সব চিকিৎসককে এগিয়ে আসতে হবে। একজন চিকিৎসক তৈরি করতে রাষ্ট্রের অঢেল অর্থ ব্যয় হয়। তাই রোগীর প্রতি, দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি একজন চিকিৎসকের দায়ভার অনেক। নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক ছাড়া কখনো মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা গড়ে উঠতে পারে না।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা