লেজুড়বৃত্তি ও বর্তমান ছাত্ররাজনীতি
০১ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
অতি সম্প্রতি লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির অভিযোগ এনে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একযোগে সবাই পদত্যাগ করে। তাই দলীয় লেজুড়বৃত্তিক কর্মকা- তথা বর্তমান ছাত্র রাজনীতি আবারো আলোচনার তুঙ্গে। কিন্তু কী এই লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি? লেজুড়বৃত্তিক মানে মূল দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সহযোগী সংগঠনসমূহ যা যা করার তাই করে। লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি ভিন্নমতকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ভয়াল থাবায় বিপন্ন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর উত্থান এবং উত্তাপের দায় কি আদৌ এড়াতে পারে মূল রাজনৈতিক দলসমূহ? নির্বাচন কমিশন খাতা-কলমে ছাত্র সংগঠনকে মূল দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে বাদ দিতে পারলেও কার্যত তা বাদ যায়নি। এজন্য দায়ী দুটি রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারকরা। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫ ধারার (২)(ক)-তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগকে স্ব স্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ তারা ছাত্রলীগকে অঙ্গসংগঠন থেকে বাদ দিলেও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন হিসেবে রেখে দিয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের গঠনতন্ত্রের ধারা ১০ পড়লেই দেখা যায় কীভাবে অঙ্গ সংগঠন থেকে বাদ দিয়ে ছাত্রদলকে নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচিতে বিশ্বাসী হিসেবে সহযোগী সংগঠন হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ (লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য) এর ১নং ধারায় দলীয় দাসত্ব ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে স্বাধীন ধারায় ছাত্র রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি ও ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে। অথচ চাঁদাবজি, টেন্ডারবাজি, বদলি বাণিজ্য, ক্ষমতার লড়াই ও হল দখলসহ অপরাধের সব শাখায়ই রয়েছে ছাত্রনেতাদের অবাধ বিচরণ। অপরাধের বৃত্তে বন্দি এখন ছাত্র রাজনীতি। স্বার্থ নিয়ে অন্তর্কলহ আর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে তারা। আর এর শিকার হচ্ছে একের পর এক সাধারণ শিক্ষার্থী। আজকের এই কলুষিত লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি একদিনে তৈরি হয়নি। এর বর্তমান অবস্থা অনেকগুলো প্রেক্ষাপট, ঘটনা এবং অভ্যুত্থানের সমষ্টি। দুর্বৃত্তায়িত ও লেজুড়বৃত্তির কারণেই ছাত্ররাজনীতির এ হাল। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে এগিয়ে আসতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিনির্ধারকদের। প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠন করে গণতান্ত্রিক বিকাশ ঘটাতে হবে এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চর্চা করে শিখবে। এখনই উপযুক্ত সময় প্রতিটি ক্যাম্পাস থেকে দাবি উঠুক, ছাত্র সংসদের।
তামান্না আক্তার
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘণকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫০
আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!
ঘুস নেওয়ার অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ
তালাক নিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চান বাশার আল-আসাদের স্ত্রী
গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে