তামাক কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে
০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
মানুষের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে প্রতিটি রাষ্ট্রই সংবিধান প্রণয়ন করে, যাকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব-কর্তব্যতন্ত্র ও নাগরিকদের অধিকারতন্ত্রও বলা যায়। প্রত্যেক দেশের সংবিধান, সেই দেশের প্রধান আইন হিসেবে বিবেচিত হয়। নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় তেমন একটি সংবিধান বাংলাদেশেরও রয়েছে। এছাড়াও মানুষের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে রয়েছে দ-বিধি ১৮৬০, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এবং এছাড়াও রয়েছে রাষ্ট্রের প্রচলিত বেশ কিছু আইন। এইসব আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার ও বিজ্ঞ আদালতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপরাধীকে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের রয়েছে বিজ্ঞ ফৌজদারী আদালত ও ট্রাইব্যুনাল। দ-বিধি ১৮৬০ এর ২ ধারায় ফৌজদারী আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ার প্রয়োগ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই ধারা অনুসারে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ভিতরে দ-বিধিতে উল্লেখিত যেকোনো অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার বাংলাদেশের ফৌজদারী আদালতের রয়েছে। সে ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হোক বা বিদেশি বা অন্য দেশের নাগরিক হোক না কেন, সে যদি দ-বিধি ১৮৬০ এ উল্লেখিত কোনো অপরাধ করে তার ক্ষেত্রে দ-বিধি প্রযোজ্য হবে এবং তার বিচার ও শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার বাংলাদেশের ফৌজদারী আদালতের থাকবে।
১৮৬০ সালের দ-বিধির ২৬৯ এবং ২৭৮ ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, অবহেলা করে এমন কোনো কাজ করে এবং যা সে জানে বা বিশ্বাস করার কারণ আছে, উক্ত কাজ যা জীবনের জন্য বিপজ্জনক রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং বায়ু মন্ডল ও পরিবেশকে দূষিত করে জনস্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলা উভয়ই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দ-বিধির ১০৭ ধারায় বর্ণিত আছে, প্ররোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং ধারা ২৯৯ ও ৩০০ মতে, নিরপরাধ মানুষ হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৭ম কলামের অপরাধগুলো দ-বিধি ১৮৬০ এর অধীন উল্লেখিত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা আছে।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধূমপানের ফলে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস, রাস্তা ও পরিবহনে ধূমপানের সময় ধোঁয়ার অংশবিশেষ যখন চারপাশের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ অনৈচ্ছিকভাবে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। তামাক কোম্পানি প্ররোচনার মাধ্যমে মানুষের শরীরে রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, তামাক চাষ করতে কৃষি জমিতে ধান, গম, খাদ্য শস্য উৎপাদনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এবং তামাক শুকানোর জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করতে বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে। আবার তামাক শুকানোর চুল্লিতে গাছপালা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তামাক কোম্পানি কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের মাধ্যমে বায়ু মন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে হুমকিতে ফেলছে, যা জলবায়ু বিপর্যয়কে তরান্বিত করে চলছে। এবার বুঝতে পারা যায় কি তামাক কোম্পানি কোন ফৌজদারী অপরাধ করেছে?
ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর দ্বিতীয় তফসিলে ৬ষ্ঠ কলামে অপরাধ আপসযোগ্য বা মীমাংসাযোগ্য কিনা তার বর্ণনা দেওয়া আছে এবং কতিপয় ফৌজদারী অপরাধের আপস-মীমাংসা হতে পারে, ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৩৪৫ ধারায় বলা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, এগুলো কোনোভাবেই আপসযোগ্য অপরাধ নয়। ‘নিরপরাধ মানুষের লাশের সারি আর কত দীর্ঘ হলে, তামাক কোম্পানি শাস্তির আওতায় আসবে এবং ব্যবসা বন্ধ করা হবে’, এটাই এখন বড় প্রশ্ন? তামাক কোম্পানির অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে দ-বিধি, ১৮৬০ এর ধারা ২৯৯, ৩০০, ১০৭, ২৬৯ ও ২৭৮ ধারাগুলো প্রযোজ্য বটে। বর্ণিত ধারাগুলো দেখে সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে দেখলেই পরিষ্কার বোঝা যায়, তামাক কোম্পানি এই সবগুলো অপরাধ করেছে। তাই বাংলাদেশের ফৌজদারী আদালত তামাক কোম্পানির বিরুদ্ধে উল্লেখিত ধারাগুলো প্রয়োগ করে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে।
তারপরও প্রমাণের ভার বিষয়ে সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এর ১০১ থেকে ১০৬ ধারায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। তাই বায়ু মন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি ও মানুষের মৃত্যুর জন্য তামাক কোম্পানির দায় এবং মৃত্যু ঘটানোর (প্ররোচনা দেওয়া) অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এর ১০১ থেকে ১০৬ ধারা সাপেক্ষে উক্ত আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞদের মতামত বিজ্ঞ আদালতের গ্রহণ করা প্রাসঙ্গিক। উপরিক্ত প্রতিটি বিষয়ই দ-বিধি, ১৮৬০ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য উপরিক্ত বিষয় আমলে নিয়ে তামাক কোম্পানিকে ক্রিমিনাল লাইবেলিটির দায়ে ও অপরাধে দায়ী করা যায়। ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৩৫২ ধারায় বর্ণিত আছে, উন্মুক্ত আদালতে (Open Court) বিচার কার্যক্রম যেমন- বিচার, শুনানি, চার্জ গঠন, সাক্ষ্য গ্রহণ ইত্যাদি পরিচালনা করার সময় জনগণের উপস্থিতি থাকার অধিকার থাকবে।
এছাড়াও Mohammad Eusof Babu Vs. State [4CLR (AD)2016 p.70] মামলায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেয় যে, Corporate Criminal Responsibility অর্থাৎ অপরাধের জন্য কোম্পানিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে; ১৯১৫ সালে কমন ল’য়ের এই ধারণা ইংল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইংল্যান্ডের কোর্ট অব আপিল রায় দেন যে, The Board of Directors are the brain of the compaû which is the bodz and the compaû can and does act through them. অর্থাৎ কোম্পানি অপরাধ করতে পারে এবং কোম্পানির অপরাধ করলে তার Managemen তথা ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ব্যক্তিবর্গ সাজা ভোগ করবে। Alter ego নীতির উপর এই Corporate Criminal Liability (‘করপোরেট ক্রিমিনাল লায়াবিলিটি’) প্রতিষ্ঠিত হয়। Alter ego নীতির অর্থ হলো management is the compaû’s brain. সুতরাং কোম্পানি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্যদের mens rea এবং mens rea কে কোম্পানির সবmens rea এবং mens rea হিসেবে ধরে নিতে হবে। Ignorance of the lwa is no excuse কমন’ল লিগ্যাল সিস্টেম এটা বলা হয়েছে। এছাড়াও ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৭৬ এবং ৭৯ ধারা বর্ণিত আছে, আইন জানি না, এটা ফৌজদারী অপরাধের দায় হতে অব্যাহতি পাওয়ার কোনো অজুহাত হতে পারে না। প্ররোচনার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের অপমৃত্যু, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি যদি তামাক কোম্পানির অজ্ঞাতসারেও ঘটে, তাহলেও ফৌজদারী অপরাধের দায় এড়াতে পারে না। কারণ, রাইল্যান্ডস বনাম ফ্লেচার মামলায় ১৮৬৫ সালে ইংল্যান্ডের আদালত রায় প্রদান করে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বিবাদীর ইচ্ছা না থাকলেও তাকে ঘটনার জন্য Strict Liability বা কঠোর দায়বদ্ধতার দায়ে দায়ী করা যায়।
বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করা বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। তামাকজাত পণ্য জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের জীবনকে হুমকিতে ফেলছে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জীবনের জন্য হুমকির বিষয়ের এই তথ্য বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসছে। তামাক ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে এবং তামাক ব্যবসা সম্প্রসারণ করা যাবে, এ রকম কোনো প্রকার কথা বা নিশ্চয়তা তো দূরে থাক উল্লেখ পর্যন্ত নেই বাংলাদেশ সংবিধানে। বরং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ এবং ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন এবং রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন। তাই ড. মোহিউদ্দিন ফারুক বনাম বাংলাদেশ এবং অন্যান্য মামলায় (১৭ ডিএলআর ১৯৯৭, এডি, ১) সুপ্রীম কোর্ট বলেছেন, জীবনের অধিকারের সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ, নির্মল বাতাস এবং সুপেয় পানি প্রাপ্তির অধিকারকে যুক্ত করেন, যা ছাড়া জীবনের অধিকার লঙ্ঘন হতে পারে।
জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনায় মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়। সেরা জীব হিসেবে মানুষের আচরণ হতে হবে দায়িত্বশীল ও প্রকৃতিবান্ধব। থাইল্যান্ড সরকার যেখানে ২০০৭ সালে থেকে কুইবুরি জাতীয় উদ্যানে প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতি সংরক্ষণ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, নিরপরাধ মানুষের জীবন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য চরম হুমকিতে ফেলার পরও তামাক কোম্পানির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের সংবিধানসহ রাষ্ট্রের প্রচলিত অনেক আইন থাকার পরও প্রচলিত আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব ও আন্তরিকতা না থাকায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এর সাথে যুক্ত হচ্ছে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ। যদিও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা-২ খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষির প্রসার; লক্ষ্যমাত্রা-৩ সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ; লক্ষ্যমাত্রা-১৩ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণ, লক্ষ্যমাত্রা-১৪ টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার, লক্ষ্যমাত্রা-১৫ টেকসই বন ব্যবস্থাপনা, মরুকরণ রোধ এবং জীববৈচিত্র্য হ্রাস প্রতিরোধ এর উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। তাই মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ ও জলবায়ু বিপর্যয় রোধে তামাক কোম্পানিকে বাংলাদেশ সংবিধান; দ-বিধি ১৮৬০; ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর আইনের আওতায় এনে উন্মুক্ত আদালতে (Open Court) বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
লেখক: আইনজীবী
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘণকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫০
আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!
ঘুস নেওয়ার অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ
তালাক নিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চান বাশার আল-আসাদের স্ত্রী
গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে