ইমরান খানের চোখে ১৯৭১ এবং ২০২৩ : দু’টিই পাকবাহিনীর ক্ষমতালিপ্সার এপিঠ আর ওপিঠ

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম

সম্ভবত মাস দুয়েক আগে আমি এই কলামে লিখেছিলাম যে, পাকিস্তানের জনগণ এবং সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সেখানে আমি বলেছিলাম যে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। সেই ইমরান খানকে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ এবং আসিফ আলী জারদারির পিপলস্ পার্টি (পিপিপি) রাজনীতির মাঠে বা রাজপথে মোকাবেলা করতে পারেনি। মোকাবেলা তো দূরের কথা, তারা রাজপথে নামতে সাহসই পায়নি। তাই তারা প্রথমে বেছে নিয়েছিল ইমরান খানকে গ্রেফতারের পথ। কিন্তু গ্রেফতার করার পর সারা পাকিস্তানে ঘটেছিল জনবিষ্ফোরণ। ফলে তিনদিনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুসলিম লীগ ও পিপিপি গোষ্ঠির সরকার ইমরান খানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তার মুক্তির পর এই বিষয়টি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সামনের নির্বাচনে ইমরান খান চারটি প্রদেশ থেকেই (যদি বেলুচিস্তান না হয় তাহলে তিন প্রদেশ থেকে) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাকিস্তানে ভবিষ্যৎ সরকার গঠন করবেন। বেলুচিস্তানের কথা আমি এজন্য বললাম যে, সেখানে বর্তমানে পিপিপি, মুসলিম লীগ বা ইমরান খানের পিটিআই- কোনো দলেরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাই। সেখানে চলছে আঞ্চলিক দলের শাসন। সেই আঞ্চলিক দলের সাথে বড় তিন দলের কোনো কোনোটির হয়তো সহযোগিতা রয়েছে। যাই হোক, বর্তমান শাসক গোষ্ঠির মাথা ব্যাথা, কীভাবে ইমরান খানকে আটকানো যায়। কোনো দিকেই কোনো উপায় না দেখে অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের কায়েমী স্বার্থবাদীদের সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সময় আমি ইনকিলাবের এই কলামে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে, যদি ইমরানকে মোকাবেলার জন্য সেনাবাহিনী নামানো হয় তাহলে সেটি হবে পাকিস্তানের জন্য একটি ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টির সূচনা। অবশেষে সেই অবাঞ্ছিত ঘটনাটিই ঘটলো। তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এর শেষ পরিণতি যে কী সেটা, আমরা তো দূরের কথা, পাকিস্তানের বর্তমান মিলিটারি নিয়ন্ত্রিত শাসক গোষ্ঠিও জানে না।

এর কারণ হলো এই যে, পাকিস্তানের বর্তমান ফেডারেল সরকার আর মাত্র সপ্তাহখানেকও নাই। খবর বেরিয়েছে যে, আগামী ৯ আগস্ট পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙ্গে যাবে। এই পার্লামেন্টের মেয়াদ সম্ভবত চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শেষ হবে। তাই ৯ আগস্ট হোক বা ১৫ আগস্ট হোক, এরমধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে যাবে। পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র মোতাবেক, এরপর আসবে একটি কেয়ারটেকার সরকার। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে সমস্ত ব্যাপারে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে। নাক গলাচ্ছে বললে বরং বিষয়টিকে হালকা করা হবে। আসলে মিলিটারি শাহবাজ শরীফের পুতুল সরকারকে সব ব্যাপারে ডিক্টেট করছে। তাই পাকিস্তানের পত্রপত্রিকাতেই এই মর্মে জল্পনা-কল্পনা চলছে যে, শাহবাজ শরীফ সরকারের বর্তমান অর্থমন্ত্রীকে কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বানানো হবে। সেক্ষেত্রে তিনি আর্মির হুকুম বরদার হবেন। যাই হোক, কে প্রধান উপদেষ্টা হন, আর কীভাবে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয় সেটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই পরিষ্কার হবে।
আমি কিছুক্ষণ আগেই বলেছি যে, পাকিস্তানের রাজনীতির গতিধারা আগামী মাসসমূহে কোন দিকে প্রবাহিত হবে সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এর কারণ রয়েছে দুটি। প্রথমটি হলো, কেয়ারটেকার সরকার কতখানি নিরপেক্ষ হবে। যদি নিরপেক্ষ হয় তাহলে এক রকম পরিস্থিতি হবে। আর যদি মিলিটারির পুতুল হয় তাহলে ভিন্ন রকম হবে। দ্বিতীয় কারণ হলো, ইমরান খানকে শাস্তি দিয়েছে লোয়ার কোর্ট অর্থাৎ নি¤œ আদালত। এখনো হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট বাকি। এমনও হতে পারে যে যখন এই লেখাটি ছাপা হবে তখন হয়তো নি¤œ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল হয়ে যাবে।

॥দুই॥
উচ্চ আদালত কী করবে সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তারা কি ন্যায়বিচার করবে? নাকি মিলিটারির ফরমায়েশ মোতাবেক রায় দেবে? ইতোমধ্যেই যে সব খবর পাওয়া যাচ্ছে সেসব খবরে দেখা যাচ্ছে যে, ইমরানকে তিন বছরের যে কারাদন্ড দিয়েছে সেই রায় অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই রায় সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের অতি পরিচিত সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক হামিদ মীর। হামিদ মীরের এই মর্মে সুখ্যাতি রয়েছে যে, তিনি একজন সত্যানুসন্ধানী সাংবাদিক। ইনিই সেই হামিদ মীর যিনি আমেরিকা কর্তৃক আফগানিস্তানে হামলার সময় দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে ওসামা বিন লাদেনের সাথে দেখা করেছিলেন। ফিরে এসে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত উর্দু দৈনিক ‘জং’ পত্রিকায় তার দুর্লভ অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন। হামিদ মীর বর্তমানে পাকিস্তানে অত্যন্ত পপুলার টেলিভিশন চ্যানেল ‘জিও নিউজের’ নির্বাহী সম্পাদক। গত ৫ আগস্ট জিও নিউজে তিনি লিখেছেন, ‘আজকের (শনিবার) এই রায় অপ্রত্যাশিত ছিল না। প্রত্যেক পাকিস্তানিই জানতো, রায় এটাই হবে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘মামলাটি এই আদালত থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তরের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন ইমরানের আইনজীবীরা। তবে মনে হচ্ছে, বিচারক রায় আগেই লিখে রেখেছিলেন। শনিবার কেবল মাত্র পড়ে শুনিয়েছেন।’ হামিদ মীর আরো বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতে এই রায় চ্যালেঞ্জ করা হবে এবং সম্ভবত ইমরান খান রেহাই পাবেন। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে দেশের আরেকজন প্রধানমন্ত্রী দ-িত হলেন।’ পাকিস্তানের আরেকজন প্রখ্যাত সাংবাদিক আনসার আব্বাসী বলেন, ‘এক্ষেত্রে ইমরানের জন্য সুবিধার বিষয় হলো, মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হয়নি। ফলে তিনি আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন।’

তবে এই মুহূর্তে পাকিস্তানে মজলুমদের একটি বড় ভরসাস্থল হলো পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বন্দিয়াল। মিলিটারি ও সিভিল ব্যুরোক্রাসির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার মতো মেরুদ- এখনো শক্ত করে রেখেছেন প্রধান বিচারপতি বন্দিয়াল এবং তার সহযোগী সাত বিচারপতি। গত ৪ আগস্ট পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরাতন কিন্তু সবচেয়ে জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ডনের অনলাইন সংস্করণে যে খবরটি ছাপা হয়েছে তার শিরোনাম হলো: Trial of civilians / Won’t allow Army to take unconstitutional steps: Pakistan CJ (Chief Justice). অর্থাৎ খবরে বলা হয়, ‘গতকাল (৩ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বন্দিয়াল বলেছেন যে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে কোনোরূপ শাসনতন্ত্রবহির্ভূত পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হবে না।’ বেসামরিক নাগরিকদেরকে মিলিটারি কোর্টে বিচারের ব্যাপারে শুনানিকালে ছয় বিচারপতি নিয়ে গঠিত বেঞ্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য এই শুনানি স্থগিত করেন। আগের দিন এই শীর্ষ আদালত এই বিচার করার জন্য পূর্ণ আদালত অর্থাৎ সাত সদস্য বিশিষ্ট আদালত গঠন করার জন্য সিনিয়র আইনজীবী যে আবেদন করেন, সেটি ৬ সদস্য বিশিষ্ট কোর্ট প্রত্যাখান করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, গত ৯ মে কয়েকটি মিলিটারি স্থাপনায় বিক্ষোভকারীদের হামলার ব্যাপারে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। কিন্তু একই নিঃশ্বাসে তিনি একথাও বলেন যে তাই বলে জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী তাদের অস্ত্র উঁচিয়ে ধরবে (Raise their weapons) সেটাও তিনি চান না। তিনি বলেন, ঐ দিন মিয়ানওয়ালি সেনা ছাউনিতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি অনভিপ্রেত। তারপরে তিনি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলেন, ‘যাই হোক, সেজন্য মিলিটারিকে কোনো অবৈধ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।’
এজন্যই প্রথমে বলেছি যে আগামীতে পাকিস্তানে কী ঘটবে সেটা এইমুহূর্তে আমরা কিছুই বলতে পারছি না। অস্ত্রের মুখে জনগণ হয়তো পিছু হটতে পারে। কিন্তু যদি এটি শেষ পর্যন্ত সামরিক বাহিনী বনাম বিচার বিভাগের মধ্যে বিরোধে পরিণত হয় তাহলে সেটি পাকিস্তানের জন্য হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, তেমন একটি অনভিপ্রেত অবস্থায় পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের সিংহভাগ বিচার বিভাগের পেছনে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে সেই বিরোধটি রূপ নেবে একদিকে সেনাবাহিনী ও কায়েমী স্বার্থবাদী রাজনৈতিক দল পিপিপি ও মুসলিম লীগ। অন্যদিকে জনগণ ও বিচার বিভাগ। পাকিস্তানের বৃহত্তর স্বার্থে কোনো অবস্থাতেই সেনাবাহিনীর উচিত হবে না এভাবে রাজনীতিকে প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

॥তিন॥
সেনাবাহিনীর এই ক্ষমতার লিপ্সাই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে বিভক্ত করেছে। একথা এখন আর শুধু আমরা বাংলাদেশিরাই বলছি না, একথা স্বয়ং ইমরান খানও বলেছেন। গত ১৬ মে খবরে প্রকাশ, গত ১৩ মে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সেদিনের পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে নির্যাতন চালিয়েছে, সেটি পাকিস্তানের জনগণকে বুঝতে হবে। আজ আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশে) কী ভয়াবহ নির্যাতন চলেছিল।’ ইমরান খানের মতো পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেন, ‘সেদিন যে দলটি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল সেই দলটির নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী করা উচিত ছিল (তিনি এখানে আওয়ামী লীগ এবং শেখ মুজিবের কথা বলছেন)।’

ইমরান খান আরো বলেন, ‘আমরা সেদিন পাকিস্তানের অর্ধেক অংশ হারিয়েছি। সেদিন পাকিস্তানের যে কতবড় ক্ষতি হয়েছে সেটি আজও আমরা অনেকে কল্পনাও করতে পারি না। কেন এমনটি ঘটেছিল? কারণ, হাতে গোনা মুষ্টিমেয় কয়েক ব্যক্তি রুদ্ধদ্বার কক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তারা জানে না যে, সারা বিশ^ তাদের এই অপকর্ম দেখছিল।’ সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের যে কতবড় ক্ষতি হয়েছে সেটি এই কোটারি পাকিস্তানের জনগণকে বুঝতেও দেয়নি। যখন হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট দাখিল করা হলো (তাও সেটি পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশ হারানোর ২৫ বছর পর), তখনও সেটি পাকিস্তানে প্রকাশ করা হয়নি। সেটি প্রকাশিত হয়েছে ভারতে। (এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বিচারপতি হামুদুর রহমান একজন বাঙ্গালী বা বংলদেশি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেননি।) আর ভারতে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকেই যতটুকু সম্ভব জানা গেছে। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশের) এই নিদারুণ দুঃখজনক ঘটনা পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্মকে তিনি জানাতে চান। এই মর্মন্তদ ঘটনা ঘটেছে তার জীবদ্দশায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি তখন পূর্ব পাকিস্তানে ১৯ বছরের নিচের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত টিমের জন্য ক্রিকেট খেলতে পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশে) যাই। পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) থেকে বেরিয়ে আসার সেটিই ছিল শেষ ফ্লাইট। আমরা জানতাম না সেখানে অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে কী ঘটছে। কারণ, এখন যেমন পাকিস্তানে (২০২৩) মিডিয়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত, সেদিনও (১৯৭১) মিডিয়া ছিল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। একমাত্র তফাৎ হলো এই যে, সেদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। কিন্তু আজ পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরও টুঁটি চেপে ধরেছে। কারণ হলো এই যে, গত ৯ মে পাকিস্তানে আসলে কী ঘটেছিল সেটি তারা তাদের মনমতো করে জনগণকে জানাতে চেয়েছে। তাই তারা ফেসবুক, টুইটার এবং ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ভাবতেও পারি না, আজ পাকিস্তানের অর্থনীতিতে কত বড় ধস নেমেছে। আসলে আমি যা বললাম সেদিন (১৯৭১) সেটিই ঘটেছিল পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশে)।’

আমি আর লেখা বাড়াবো না। ১৯৭১ সালের মহাবিপর্যয় থেকে পাকিস্তানের মিলিটারি এবং কায়েমী স্বার্থবাদীদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। অন্যথায় বর্তমান পাকিস্তানেও অনেক বড় দুর্যোগ ঘটবে।

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিহারীরা কেমন আছে
পিলখানা হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্ব্যর্থহীন উচ্চারণ
বিহারিরা কেমন আছে
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
আরও

আরও পড়ুন

হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!

হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!

প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি

প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি

শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু

শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু

হাসিনাকে ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হাসিনাকে ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

আসাদের পতন, নিজের বেঁচে থাকার গল্প বললেন এক সিরিয়ান শরণার্থী

আসাদের পতন, নিজের বেঁচে থাকার গল্প বললেন এক সিরিয়ান শরণার্থী

গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক

গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক

বঙ্গতে আসছে 'ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ'

বঙ্গতে আসছে 'ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ'

সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন

পানামা খাল দখলের হুমকি ট্রাম্পের, ভর্ৎসনা পানামার প্রেসিডেন্টের

পানামা খাল দখলের হুমকি ট্রাম্পের, ভর্ৎসনা পানামার প্রেসিডেন্টের

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা

পাবনা-৩ এলাকায় অ্যাডভোকেট রবিউলের গণসংযোগ ও কম্বল বিতরণ

পাবনা-৩ এলাকায় অ্যাডভোকেট রবিউলের গণসংযোগ ও কম্বল বিতরণ

পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়

নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়

জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া

জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া

স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু

গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু

নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭

নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭

রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ

রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ

ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা

ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা