মুখোমুখি রাজনীতির গন্তব্য কোথায়
০৯ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৮ পিএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে অরাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ ‘পয়েন্ট অফ নো রিটান’-এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে ক্ষমতাশীল শাসকগোষ্ঠী কোনো ছাড় না দেওয়ার নীতি গ্রহণ করে বর্তমান সরকার ও সংবিধানের আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রকাশ্যেব ঘোষণা দিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। সরকার নির্বাচনের আগে পছন্দের কর্মকর্তাদের দিয়ে মাঠ প্রশাসন সাজাচ্ছে। ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসন, ডিসি, ইউএনও থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে বদলি ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সরকার ব্যাপক প্রশাসনিক রদবদল করে আস্থাবাজনদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানোর কাজ করে যাচ্ছে। গত ৩ মাসের ব্যবধানে ৪ জন বিভাগীয় কমিশনার ও ৩১ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) জেলায় নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে অন্ততপক্ষে ৮৫ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনে ১৬ জন ডিআইজি, ৩৪ জন অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ২৪ জেলার এসপি পদে রদবদল করা হয়েছে। পাশাপাশি সংগঠন হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মসূচীর সাথে সমন্বয় রেখে পালটাপালটি কর্মসূচী পালন করে আসছে।
অপরদিকে, বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন মাঠের বিরোধীদলগুলো নির্বাচনকালীণ তত্ত¡াবধায়ক সারকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দাবী করে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। গত ১২ জুলাই থেকে এই সরকারের পদত্যাগের দাবীতে এক দফার আন্দোলনে ধারাবাহিক বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। আন্দোলনের এই কর্মসূচিতে বিএনপি ছাড়াও যুগপৎভাবে অংশ নিচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, এলডিপি, লেবারপার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ বিরোধী বিভিন্ন জোট। এই দল ও জোট নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে একই কর্মসূচি পালন করেছে। এই অবস্থায় দেশের বৃহৎ দুই বৃহৎ দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিপরীতমুখী অনড় অবস্থান নিয়ে রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি অবস্থন স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। সা¤প্রতিক সময়ে দুই দলের কর্মসূচির কারণে সহিংস ঘটনা ঘটার অশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক এই উত্তেজনার মধ্যেই গত ২৮ জুলাই বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের করে বিএনপি। একই দিন আওয়ামী লীগ বাতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করে। যদিও শান্তি সমাবেশ শেষে অশান্তি সৃষ্টির ফলে এক জন মারা যায় এবং ৪ জন আহত হয়। ২৮ জুলাই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক দফা দাবীতে আয়োজিত বিএনপি’র মহাসমাবেশ থেকে দলটির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো সময় আছে, ভালো চাইলে এখনই পদত্যাগ করুন। এক দফা মেনে নিন। না হলে ফয়সালা হবে রাজপথে।’ অপরদিকে, একই দিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ওবায়দুল কাদের কলেছেন ‘চোখ রাঙাবেন না আমাদের শিকড় গভীরে, যতদিন জনগণ চাইবে ততদিন ক্ষমতায় থাকবো। রাস্তা বন্ধ করলে বিএনপি’র চলার পথও বন্ধ করে দেব।’ একই সঙ্গে বিএনপি মহাসমাবেশ থেকে ঢাকার সব প্রবেশপথে ৫ ঘন্টার অবস্থন কর্মসূচীর ঘোষণা দিলে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ শান্তি সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেয়। পরে ২৯ তারিখের কর্মসূচিতে রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ একই সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধোলাইখাল, উত্তরা, মাতুয়াইল এবং গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপিনেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ধোলাইখালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে। পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় আটক করে পরে ছেড়ে দেয়। গাবতলি অবস্থান কর্মসূচি থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহŸায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হলে আমান অসুস্থ অনুভব করার করণে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয় এবং তাঁকেও ছেড়ে দেয়া হয়। আমানউল্লাহ হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফল ও ফুল প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ডিবি কার্যালয়ে দুপুরে লান্স করানো হয় এবং এই দৃশ্য প্রচারিত হয়। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হইচই পড়ে যায়।
ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি’র সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩টি মামলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানার এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৬২৭ জন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১২টি মামলার বাদী পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানায় ২টি, উত্তরা পূর্ব থানায় ৩টি, বিমানবন্দর থানায় ১টি, যাত্রাবাড়ী থানায় ২টি, বংশাল থানায় ১টি, সূত্রাপুর থানায় ১টি, ডেমরা থানায় ১টি, দারুসসালাম থানায় ১টি, কদমতলী থানায় ১টি মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, জখম ও হত্যার হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহন চলাচলে বাধা, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ করা হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক এই সংঘাতময় পরিস্থিতি দেশের গÐি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থান করে নিয়েছে। ২৯ জুলাই বিএনপি’র রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচীর সংঘর্ষের ঘটনা আলজাজিরা সহ বিদেশী মিডিয়া গুলো গুরুত্ব সহকারে প্রচার করেছে।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক এই পরিস্থিতির প্রভাব আন্তর্জাতিন অঙ্গনে পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্বের পরাশক্তিসমূহ বাংলাদেশ ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের নিকট প্রতিবেশী ভারত, রাশিয়া, গণচীন ও ইরান প্রকাশ্য বর্তামান সরকারের পক্ষ অবলম্বন করে বক্তব্য- ববৃতি প্রদান করেছে। যদিও ভারত এই সময়ে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মত হস্তক্ষেপ করছে বলে মনে হচ্ছে না। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের দেশে সকলের কাছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে তাকিদ দিচ্ছে। ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে সরকারের কাছে তাদের মনোভাব প্রকাশ করেছে। গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। নতুন ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী, নতুন যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, ইউরোপিয় ইউনিয়ন সহ পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কার এবং শান্তিরক্ষা মিশনে র্যাবসহ মানবাধিকার হরণকারীদের নিষিদ্ধ করতে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ডকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা বলেছেন, বাংলাদেশে সরকারের সন্ত্রাস, নির্যাতন ও বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য আপনাকে চিঠি লিখছি। একই চিঠিতে তারা বাংলাদেশে জাতিসংঘের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা নিতে আহবান জানিয়েছেন। ২৭ জুলাই লেখা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন কংগ্রেসম্যান বব গুড, অ্যানা পলিনা-লুনা, র্যালফ নরম্যান, টম পেরি, যশ ব্রেচেন, এন্ড্রু ক্লেড, এইলি ক্রেইন, পল এ গসার, রনি এল জ্যাকসন, ব্রইন বেবিন, করি মিলস, ডাগ লামাফা, র্যান্ডি ওয়েবার ও গেøন গ্রোথম্যান। চিঠিতে বলা হয়, অ্যামনেস্টিইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াাচ, ফ্রিডম হাউস এবং রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসহ বিপুল সংখ্যক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথিভুক্ত করেছে। যার মধ্যে ভয়ভীতি, হামলা, মিথ্যা কারাদন্ড, নির্যাতন, গুম এবং এমনকি বিচারবহির্ভ‚ত হত্যাকাÐ রয়েছে।
বস্তুত স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদেরকে নির্বিগ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করে সংবিধানে তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই তত্ত¡াবধায়ক ব্যবস্থা বিএনপি বিতর্কিত করেছে এমন অভিযোগে আওয়ামী লীগ আন্দোলন গড়ে তুলে। এই অবস্থায় ২০০৭ সালে এক-এগারোর পালাবদল ঘটে এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তত্ত¡াবধায়ক ব্যবস্থাই বাতিল করে দেয়। যদিও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান সংশোধনী কমিটি তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়। উচ্চ আদালতে শীর্ষ আইনজীবীদের অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে এক-দুজন বাদে সবাই তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংসদ চাইলে আরো দুটি নির্বাচন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বরে মদ দেয়া হয়। কিন্তু সব কিছুকে অগ্রাহ্য করে একক সিদ্ধান্তে সরকার তত্ত¡াবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেয়।
সংবিধান থেকে তত্ত¡াবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দুটি নির্বাচন নিয়েই প্রবল বিতর্ক হয়। এবারও নির্বাচন সামনে রেখে উন্নয়ন সহযোগিরা সোচ্চার হয়েছে। তারা সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের তাকিদ দিয়ে আসছে। কেবল বিদেশিরা নয়, দেশের মানুষও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। এই অবস্থায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তত্ত¡াবধারক সরকার ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থান দেশবাসীর মাঝে এক ধরনের অস্থিরতা ও দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা কাম্য নয়। সুষ্ঠু ভোট দাবি করা কোনো অপরাধ নয়। বরং নীতি নৈতিকতার বিষয়। নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান উপাদান। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের মূল চালিকাশক্তি বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের শাসন সর্বোপরি একজন মানুষ একটি দেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজের অভিব্যক্তি অনুযায়ী মতপ্রকাশের সক্ষমতা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনে স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ করা।
লেখক: আইনজীবী।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আসাদের পতন, নিজের বেঁচে থাকার গল্প বললেন এক সিরিয়ান শরণার্থী
গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক
বঙ্গতে আসছে 'ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ'
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন
পানামা খাল দখলের হুমকি ট্রাম্পের, ভর্ৎসনা পানামার প্রেসিডেন্টের
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
পাবনা-৩ এলাকায় অ্যাডভোকেট রবিউলের গণসংযোগ ও কম্বল বিতরণ
পান্থকুঞ্জ ও আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়
জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭
রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ
ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা
উপদেষ্টা হাসান আরিফকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন
ডলার বাজারে অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষকর্মী নিতে আগ্রহী লিবিয়া