প্রকৌশলী-ডাক্তারদের বিসিএস আগ্রহ : কারণ ও ফলাফল
১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
সম্প্রতি প্রকাশিত ৪১তম বিসিএসের ফলাফল বিবেচনা করলে দেখা যায় যারা মেডিকেল বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে তাদের মধ্যে বিসিএসের প্রশাসন, পুলিশ, ফরেন ক্যাডারে যোগদানের প্রবণতা বেশি অনেক বেড়েছে। যদিও এতে রাষ্ট্রীয় কোনো নীতির ব্যত্যয় ঘটেনি তবে সঙ্গতির অভাব রয়েছে বলে মনে হয়েছে। সঙ্গতির অভাব বলতে বুঝানো হয়েছে, প্রার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে তার চাকরির ভিন্নতা বা অসামঞ্জস্যতা।
আমরা যদি বিগত পাঁচ-ছয়টি বিসিএসের ফলাফল বিশ্লেষণ করি, তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। ১৪ আগস্ট ২০২৩ প্রথম আলো (ইংলিশ) এর তথ্য মতে, ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ, প্রশাসন ও ফরেন ক্যাডারে ৫৭ জন, ৩৬তম বিসিএসে ৪৭ জন, ৩৭তম বিসিএসে ৭৭ জন, ৩৮তম বিসিএসে ৯৮ জন এবং ৪০তম বিসিএসে ১০২ জন যোগদান করেছে, যারা মেডিকেল এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ছিল। ৪০তম বিসিএসে শুধু প্রশাসনে যোগদান করেছে ৫৫ জন বুয়েট শিক্ষার্থী। সর্বশেষ ৪১তম বিসিএসে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮৫-র অধিক এবং অন্যান্য ক্যাডার সংখ্যা হিসাব করলে সে সংখ্যা প্রায় ১৩০-এর কাছাকাছি। আমরা যদি আরো ভালোভাবে লক্ষ করি, বিগত ৫টি বিসিএসে মোট ৩৮৭ জন ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার প্রার্থী বিসিএসে প্রশাসন, পুলিশ, ফরেন ক্যাডারে যোগদান করেছেন এবং ৪১তম বিসিএসসহ হিসাব করলে এর সংখ্যা প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি।
এ পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে যে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারদের বিসিএসের এসব ক্যাডারে যোগদানের প্রবণতা দিন কে দিন তীব্রতর হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই প্রবণতা তৈরি হলো? এর পেছনের কারণগুলো কী কী? এ প্রশ্ন অনুসন্ধান করার কারণ হচ্ছে, সঙ্গতির অভাব। যাহোক, আমার কাছে মনে হয়, এই প্রবণতার পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি: সামাজিকভাবেই মানুষ বেসরকারি চাকরির চেয়ে সরকারি চাকরিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে, যার পেছনে অনেক যৌক্তিক কারণ আছে। আর সে সরকারি চাকরি যদি হয় বিসিএস পুলিশ, প্রশাসন ও ফরেন ক্যাডার তাহলে তার কদর সমাজে অনেকগুণ বেশি। বর্তমান সময়ে, মা-বাবা ও পরিবার সবাই চায় তার ছেলেমেয়ে বিসিএস দেবে, পুলিশ ও প্রশাসনে চাকরি করবে। পরিবার ও সমাজ যেভাবে পুলিশ, ফরেন, প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করা ছেলেমেয়েদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে অন্য চাকরিতে থাকা মানুষদের সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। আমার পরিচিত অনেকের মুখে এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাগুলো শুনেছি। এমন অনেকেই আছে, যারা হয়তো বিসিএসে আসতে চায় না। কিন্তু পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে তাদের বিসিএসের পেছনে দৌড়াতে হয়। অন্যান্য প্রার্থীর মতো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারও এ রেসের বাইরে নয়। প্রশ্ন ওঠে, পুলিশ, প্রশাসন এবং ফরেন ক্যাডারে যারা চাকরি করে তাদের সমাজ যেভাবে ট্রিট করে, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারদের ওভাবে সমাজ ট্রিট করে কি? করে না। তাই তারাও সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতির পেছনে ছোটা শুরু করে।
অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা: সরকারি চাকরিতে বিশেষ করে বিসিএসের প্রশাসন, পুলিশ, ফরেন ক্যাডারের ক্ষেত্রে যে সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় সেটা অন্য কোনো চাকরিতে দেওয়া হয় না। নির্ধারিত বেতনের বাইরে আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা; যেমন- গাড়ি, বাড়ি, গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য মাসিক টাকা, ব্যক্তিগত সহকারী, বিভিন্ন ভাতা, আলাদা অফিস, সময়মতো পদোন্নতি, স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে পড়ার সুযোগ, অবসরের পর পেনশন ভাতা ইত্যাদি। একই সাথে এই ক্যাডারগুলোতে চাকরি করলে সরকারের উঁচু পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ আসে, যা তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করে, যেখানে একজন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার এর অনেক কিছুই পায় না। যেমন একজন ডাক্তারকে নিয়োগ পাওয়ার পর পদোন্নতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় অনেক বছর। কিন্তু তার সমসাময়িক বিসিএস প্রশাসন, পুলিশ বা ফরেন ক্যাডারে যোগদান করা ব্যক্তি খুব সহজে পদোন্নতি পেয়ে যায়।
চাকরির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা: বাংলাদেশের সম্ভবত অন্যান্য চাকরির তুলনায় সরকারি চাকরির নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি। চাকরির নিরাপত্তা একজন চাকরিপ্রার্থীকে শুধু আকৃষ্টই করে না বরং এটা তার পরিবার ও সমাজকেও প্রভাবিত করে। বেসরকারি বা কর্পোরেট চাকরিতে প্রার্থীর চাকরি জীবন অনেকটাই তার ব্যক্তিগত কর্মক্ষমতার উপর নির্ভর করে। যদি কোনো কারণে পারফরম্যান্স খারাপ হয় তাহলে চাকরি চলে যাওয়ার ভয় থাকে। অনেক সময় বসের সাথে সম্পর্ক খারাপ হলে অথবা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, যেটা করোনা মহামারীর সময় আমরা অহরহ দেখেছি। আর এর কোনটাই সরকারি চাকরিরতে সাধারণত হয় না। উদাহরণস্বরূপ এমন অনেককে দেখা গিয়েছে, যারা বেসরকারি চাকরিতে ভালো স্যালারি ছেড়ে তুলনামূলক অনেক কম সেলারি কিন্তু সরকারি চাকরিতে জয়েন করেছে। আর স্বভাবতই, প্রত্যেক প্রার্থী একটা নিরাপদ চাকরিজীবন নিশ্চিত করতে চায়। অন্যান্য প্রার্থীর মতো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারও এর বাইরে নয়।
ক্ষমতা পাওয়া ও ব্যবহারের ইচ্ছা: বাংলাদেশের সরকারি চাকরি বিশেষ করে পুলিশ, প্রশাসন ও ফরেন ক্যাডারে যারা যোগদান করে তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করার সুযোগ রাষ্ট্রীয়ভাবে আছে, যেহেতু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে এ তিনটি ক্যাডারের সংশ্লিষ্টতা প্রবল। ফলে এই তিন ক্যাডারের চাকরিজীবীদের চাকরিকালীন এবং পরবর্তী সময়ে তার ও তার পরিবারের প্রয়োজনে তাদের চাকরির পাওয়ার ব্যবহার করতে পারে এবং তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুবিধা ভোগ করতে পারে। স্বভাবতই মানুষ ক্ষমতা ব্যবহার করতে চায় এবং সেটা যদি নিজের হাতে পাওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারও এই পেশায় আসতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। যদিও এমন অনেকে আছে, যারা তাদের নিজস্ব একাডেমিক লাইনে ভালো ফলাফল করে কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছে। কিন্তু তার চেয়ে কম ফলাফল করে যারা বিসিএস প্রশাসন, পুলিশ অথবা ফরেন ক্যাডার জয়েন করেছে তারা পরবর্তী সময়ে ওই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর ক্ষমতার চর্চা করছে, যা পরবর্তী জেনারেশনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এবং বিসিএসের প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ তৈরি করে, যাতে করে সেও পরবর্তীতে এই ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে।
নিজেকে প্রমাণ করা: যদিও আমরা সবাই জানি, একজন ছেলে অথবা মেয়ে যখন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছায় তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালিয়ে যায় সেটা কতটা কঠিন, কতটা পরিশ্রমের। কিন্তু বর্তমানে সামাজিকভাবে নিজেকে মেধাবী হিসেবে প্রমাণ করার অন্যতম মানদ- হয়েছে বিসিএস ক্যাডার হওয়া। বিসিএস ক্যাডার হওয়া মানেই ছেলেটা ভালো করেছে, ভালো পড়াশোনা করেছে, ভালো ক্যারিয়ার গড়েছে, ভালো ভবিষ্যৎ গড়েছেÑ এমনটাই মনে করা হয়। তবে এটাও সত্য যে, বিশেষ করে পুলিশ, প্রশাসন ও ফরেন ক্যাডারে যোগদান করতে গেলে বাস্তবিকভাবেই নিরলস পরিশ্রম করতে হয় একজন প্রার্থীকে। পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্র এমনকি নিজ প্রতিষ্ঠানও তাই মনে করে, সম্ভবত এটাও একটা কারণ হতে পারে যে প্রার্থী নিজেকে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের কাছে মেধাবী হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। ফলে একজন মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীকেও বারবার বিসিএসে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর পেছনে রাষ্ট্র যে পরিমাণ অর্থ খরচ করে এবং উদ্দেশ্য থাকে একজন ভালো ডাক্তার, ভালো ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করা এবং তাদেরকে পরবর্তী জীবনে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করা, এই উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। তথ্য বলছে, রাষ্ট্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্টুডেন্টের পেছনে প্রায় তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং মেডিকেলের একজন স্টুডেন্টের পেছনে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে যখন এ ধরনের মেডিকেল বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিসিএসের প্রশাসন, পুলিশ বা ফরেন ক্যাডারে যোগদান করে, তখন রাষ্ট্র আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনিভাবে সঠিক মানুষ থেকে সঠিক সেবা নিতেও ব্যর্থ হয়, যার একটা দীর্ঘ মেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবও আছে সমাজের উপর। একই সাথে, ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বিসিএসের চাকরিতে আসার সুযোগ থাকলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। বিসিএস ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চাকরির বাজার প্রসারিত করলেও এর প্রভাবে সংকুচিত হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাকরির পাওয়ার সুযোগ। বিসিএসের চাকরির সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অনেক বেশি সংগতিপূর্ণ। বিসিএসের চাকরির সঙ্গে তাই চাকরি ও চাকরি প্রার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ মেলবন্ধন প্রয়োজন, যাতে করে রাষ্ট্র তার বিভিন্ন সেক্টরে উপযুক্ত প্রার্থীকে সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় নিয়োগ দিতে পারে এবং যোগ্য প্রার্থীরও যোগ্য জায়গার জন্য নিজেদেরকে প্রমাণ করার সুযোগ তৈরি হয়। এতে করে রাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদী লাভবান হবে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, লোক প্রশাসন বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সৈয়দপুরে সাদপন্থি তাবলীগ জামায়াতের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ
স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা ফুয়াদ হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তার কারাগারে
বাংলাদেশে আইওটি ইকোসিস্টেম উন্মোচন করেছে ওয়ানপ্লাস
শীতার্তদের মাঝে উষ্ণতা ছড়ালো ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সড়কে ছয় লেনের কাজ এগিয়ে চলছে গাড়ি চলবে ১০০ কি.মি গতিতে
আটঘরিয়ায় ঘন কুয়াশায় বিনা চাষে রসুনের জমি পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত কৃষক
সীমান্তে বিজিবির গুলি ১৬ বস্তা ভারতীয় ফেনসিডিল ফেলে পালালো চোরাকারবারীরা
সখিপুরে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু
রামগড়ে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা
আমতলীর ইউএনও’র বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন
নবীনগর ও কসবায় বিভিন্ন রকমের মাদকসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার
মণিপুর গৃহযুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে মিয়ানমার, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে
চাঁদপুর মেঘনায় জাহাজে মিলল ৫ জনের মরদেহ
বরিশালে মাহমুদিয়া মাদ্রাসার ৭৮তম মাহফিল ও ইসলামী মহাসম্মেলন শুরু
বিনা খরচে কৃষকের দেড়’শ ধানের চারা রোপন করে দিল কালীগঞ্জ কৃষি আফিস
সিরিয়ার নেতার সঙ্গে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান
আরাফাত রহমান কোকো ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে উদ্দীপন যুব সংঘ চ্যাম্পিয়ন
সাতক্ষীরার নলতায় চার দফা দাবিতে ছাত্র -ছাত্রীদের আন্দোলন, ক্যাম্পাসের নাম বদল
অর্থনৈতিক সংকটে আফগান রুটি, ঐতিহ্য ও জীবনের অংশ