রাজনীতিতে মুখোশধারীদের আবির্ভাব, সুপ্রিম কোর্টের জাস্টিস বিতর্কিত : দেশ কোন পথে?
২১ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম
ঠিক করেছিলাম বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষ করে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে ভারত আমেরিকাকে নোট ভারবাল বা কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছে বলে কলকাতার বহুল প্রচারিত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় যে খবর বেরিয়েছে সে সম্পর্কে লিখবো। এই খবর সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে দুই রকমের মতামত শোনা যাচ্ছে। এক ধরনের মতামত এই যে, যদি খবরটি সত্য হয় তাহলে সেটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন সম্পর্কে হতাশাব্যাঞ্জক। আরেক ধরনের মত হলো এই যে, এই খবরটির সত্যতা দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। কোন মতামতটি সঠিক বা বেঠিক সে সম্পর্কে আলোচনা করার সময় রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন অনলাইন দৈনিক পত্রিকার খবর দেখলাম। এসব খবর দেখে লেখার বিষয়বস্তু চেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এসব খবর পড়ে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমত চিন্তিত হয়ে পড়েছি। কারণ, দেখতে পাচ্ছি, সরকার হঠাৎ করে অত্যন্ত হার্ড লাইন নিয়েছে। বিগত ২৯ জুলাইয়ের পর বিএনপি বা জামায়াত তেমন বড় কোনো রাজনৈতিক তৎপরতা চালায়নি বা বড় কোনো ঘটনা ঘটায়নি। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ করে ঢাকা মহানগরীতে বিএনপি, বিশেষ করে এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে। ঐ দিকে কয়েক দিন আগে বিএনপির অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার পতœী জোবায়দা রহমানকে একটি মামলায় যথাক্রমে ৯ বছর ও ৩ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এর তাৎপর্য হলো এই যে, তারা দুই জন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। অর্থাৎ তারা ইলেকশনের ব্যাপারে ডিসকোয়ালিফায়েড। এর আগে ১৭ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া অলরেডি ডিসকোয়ালিফায়েড। এছাড়া বিএনপির শীর্ষ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনও ডিসকোয়ালিফায়েড। সম্প্রতি স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগরী বিএনপি উত্তরের প্রেসিডেন্ট আমানউল্লাহ আমানও দ-প্রাপ্ত হয়ে ডিসকোয়ালিফায়েড। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চ অর্থাৎ ৭ জন বিচারপতিই শ্রম আইন লংঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত নোবেল প্রাইজ বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, শ্রম আইন লংঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে গত ৬ জুন অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার শ্রম আদালত। অভিযোগ গঠনের বৈধতা প্রশ্নে গত ২১ জুন হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন অভিযোগ গঠন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে ২৩ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত ৮ আগস্ট জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। হাই কোর্টের রুল খারিজ করার বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে গত ২০ আগস্ট রবিবার সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের রায় খারিজ করে মামলা চালানোর সিদ্ধান্ত দেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার প্রসঙ্গটি একারণেই প্রাসঙ্গিক যে, তাকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। ঐসব মহল বলে যে, যদি গণআন্দোলনের মুখে এই সরকারের পতন হয় তাহলে পরবর্তী অন্তবর্তীকালীন সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিরোধী দলের অন্যান্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যেভাবে পুরাতন মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে এবং যে রকম দ্রুত গতিতে শুনানি করে তাদের কারাদ- দেওয়া হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও যদি ইলেকশনের আগেই দ- দেওয়া যায়, তাহলে তিনিও আগামী সরকারের কোনো পদে অধিষ্ঠানের অযোগ্য হয়ে যাবেন।
॥দুই॥
ওই দিকে দেশের উচ্চ আদালত নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নি¤œ আদালত সম্পর্কে একটি জেনারেল পার্সেপশন হলো এই যে, ওই সব আদালত ইতোমধ্যেই সরকারের অঙ্গুলি হেলন ছাড়া চলে না। এখন উচ্চ আদালতও বিতর্কিত হয়ে পড়লো। গত ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার ইংরেজি ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণে এবং দৈনিক মানবজমিনের অনলাইন সংস্করণসহ অধিকাংশ দৈনিকে ফলাও করে যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তার শিরোনাম, ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের’। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠনটির মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ১৭ আগস্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮-এর মতো করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈতরণী পার করার স্বপ্ন দেখছে এই অনির্বাচিত সরকার। গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কয়েকজন বিচারপতি বক্তব্যের মাধ্যমে শাসক দলের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন বলে দেশের সচেতন মহল মনে করছে। এটি বিচার বিভাগ ও জাতির জন্য অশনিসংকেত। সেই সঙ্গে এটি দেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। তিনি আরও বলেন, অনেকেই বিশ্বাস করেন, বিচারপতিরা তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। এজন্য তারা আইনগত ও নৈতিকভাবে বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার হারিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে কায়সার কামাল বলেন, আলোচনা সভায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম স্পষ্টতই দেশের চলমান রাজনৈতিক বিষয়ে শাসক দলের নেতাদের মতো রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়। বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর বক্তব্য প্রসঙ্গে কায়সার কামাল বলেন, প্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তিনি (বিচারপতি) বলেছেন, সারা বিশ্বে নির্বাচন হয়, কিন্তু কেউ সেদিকে তাকায় না। বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব মনোযোগ কেন?
সোজা কথায়, বিচারপতি এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বিচারপতির উর্দি পরে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন বলে আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন। এর আগে হাইকোর্টের অপর এক বিচারপতি জনাব জমাদার ১৫ আগস্টের আইনজীবীদের সমাবেশে প্রধান বিচারপতিকে প্রশ্ন করেন যে, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার জন্য হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে আপিল করা হয়েছে সেটি আজ ৫/৬ বছর হলো ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কেন? তিনি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা কি এই মামলা চূড়ান্তভাবে ফয়সালা করতে ভয় পান?
হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের এই ধরনের প্রকাশ্য উক্তির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম অতি শীঘ্রই অ্যাকশনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সিটিং বিচারপতির বিরুদ্ধে দলীয় রাজনীতি করার অভিযোগ এই প্রথম। এর মাধ্যমে বার (আইনজীবী সম্প্রদায়) এবং বেঞ্চ (উচ্চ আদালতের বিচারকবৃন্দ) এই প্রথম মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ালো। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত অশুভ সংকেত।
॥তিন॥
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি পশ্চিমা দেশের যেমন চাপ রয়েছে, তেমনি এই সরকারও একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি জ্ঞাপন করেছে। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের অপরিহার্য পূর্ব শর্ত হলো, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। এর অর্থ হলো এই যে, রাজনৈতিক প্রচারণা ও কর্মকান্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ছোট, সরকারি দল, বিরোধী দল নির্বিশেষে সকলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু গত কয়েক দিন যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো থেকে দেখা যায় যে, বড় দুটি বিরোধী দল অর্থাৎ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ওপর প্রচন্ড দমননীতি চালানো হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে সারাদেশে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়েছে। স্থানাভাবে অতি সংক্ষেপে সেগুলোর বিবরণ দিচ্ছি।
গত ১৯ আগস্ট ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দেয়। এই নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হলে পুলিশ প্রথমে ব্যাটন চার্জ, পরবর্তীতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং সবশেষে নির্বিচারে রাবার বুলেট চালায়। মানবজমিনের অনলাইন সংস্করণের রিপোর্ট মোতাবেক, এই রাবার বুলেট নিক্ষেপের ফলে দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে বলা হয়। হবিগঞ্জ ছাড়াও নাটোর, নারায়ণগঞ্জ এবং নেত্রকোণা জেলায় পুলিশ বিএনপির পদযাত্রায় বাধা দেয়। ফলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এই তিনটি জেলায় পুলিশের রাবার বুলেট বর্ষণে দুই শতাধিক লোক আহত হয় বলে বিভিন্ন পত্রিকার খবরে বলা হয়। প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণের ১৯ আগস্টের রিপোর্টে বলা হয় যে, নাটোরে পুলিশ নয়, একদল মুখোশধারীর দফায় দফায় সশস্ত্র হামলায় বিএনপির পদযাত্রা ভন্ডুল হয়ে যায়। বিএনপির দাবি, এই মুখোশধারীরা আওয়ামী লীগের মাস্তান এবং পুলিশের সামনেই তারা গুলি চালিয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, কক্সবাজারের চকরিয়ায় মওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা উপলক্ষে সমবেত জনতার ওপর ৩০ থেকে ৪০ জন মটরসাইকেল আরোহী মুখোশ পরে সমাবেশের ওপর গুলি চালায়। এর ফলে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জামায়াতের তরফ থেকে দাবি করা হয়। এবার মুখোশধারীদের দেখা গেল নাটোরে। অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল বলে যে, রাজনীতিতে মুখোশধারী মাস্তানদের আমদানি একটি ভয়াবহ বিপদ সংকেত।
॥চার॥
গত ৩/৪ দিন আগে থেকে ঢাকা মহানগরীতে বিএনপির তরুণ কর্মী বিশেষ করে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীদের প্রথমে সাদা পোশাকধারীরা উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং পরে তাদেরকে গ্রেফতার দেখায়। এ ব্যাপারে ২০ আগস্ট দুপুরে ঢাকা মহানগরী বিএনপি দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম এবং বিকালে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুইটি সংবাদ সম্মেলন করেন। ইতোমধ্যেই মেইন স্ট্রিম পত্রপত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছে যে, এর আগের দুই দিনে ছাত্রদলের ১৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের তিন জনের কাছে অস্ত্র পাওয়া গেছে। ডিবি অফিস এসব অস্ত্র সংবাদ কর্মীদের দেখান এবং সেগুলোর ছবিও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। ডিবির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, আগামী নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি এসব অস্ত্র জমা করছে।
মির্জা ফখরুল পুলিশের এই অভিযোগকে বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করছে। তিনি বলেন, ডিবি যেসব অস্ত্র দেখিয়েছে, সেগুলো প্রাগৈতিহাসিক যুগের অস্ত্র। দেখেই বোঝা যায়, এগুলো ডিবি নিজেদের কাছে মজুদ রেখেছে। তিনি বলেন, এই ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে, সরকার সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরিয়ে আবারও ক্ষমতা দখলে রাখার চেষ্টা করছে।
ওপরে যেসব ঘটনা বর্ণনা করা হলো সেগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা এই মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, দেশকে এক ভয়ঙ্কর সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এর পরিণতি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যই অশুভ নয়, সমগ্র দেশের জন্যও অশুভ।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা ফুয়াদ হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তার কারাগারে
বাংলাদেশে আইওটি ইকোসিস্টেম উন্মোচন করেছে ওয়ানপ্লাস
শীতার্তদের মাঝে উষ্ণতা ছড়ালো ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সড়কে ছয় লেনের কাজ এগিয়ে চলছে গাড়ি চলবে ১০০ কি.মি গতিতে
আটঘরিয়ায় ঘন কুয়াশায় বিনা চাষে রসুনের জমি পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত কৃষক
সীমান্তে বিজিবির গুলি ১৬ বস্তা ভারতীয় ফেনসিডিল ফেলে পালালো চোরাকারবারীরা
সখিপুরে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু
রামগড়ে ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা
আমতলীর ইউএনও’র বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন
নবীনগর ও কসবায় বিভিন্ন রকমের মাদকসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার
মণিপুর গৃহযুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে মিয়ানমার, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে
চাঁদপুর মেঘনায় জাহাজে মিলল ৫ জনের মরদেহ
বরিশালে মাহমুদিয়া মাদ্রাসার ৭৮তম মাহফিল ও ইসলামী মহাসম্মেলন শুরু
বিনা খরচে কৃষকের দেড়’শ ধানের চারা রোপন করে দিল কালীগঞ্জ কৃষি আফিস
সিরিয়ার নেতার সঙ্গে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান
আরাফাত রহমান কোকো ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে উদ্দীপন যুব সংঘ চ্যাম্পিয়ন
সাতক্ষীরার নলতায় চার দফা দাবিতে ছাত্র -ছাত্রীদের আন্দোলন, ক্যাম্পাসের নাম বদল
অর্থনৈতিক সংকটে আফগান রুটি, ঐতিহ্য ও জীবনের অংশ
আশুগঞ্জে গ্যারেজ মালিককে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা