খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং খাদ্যের অপচয় রোধ করতে হবে
৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৩০ পিএম | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করে ১ হাজার ১১৯ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। জাতিসংঘের প্রাক্কলন অনুসারে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৩০ লক্ষ। প্রতিবছরই রাস্তাঘাট উন্নয়নের নামে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই চিরচেনা ফসলের ক্ষেত আড়াল করে ফেলছে নতুন নতুন আবাসন, কলকারখানা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ইটের ভাটা। ফলে যে রাস্তার দুপাশে একসময় দেখা যেত কেবলই ফসলের ক্ষেত, সেই রাস্তার দুপাশে এখন দেখা যায় নানান অবকাঠামো। কৃষি জমি সুরক্ষা আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ নেই বলেই চলে। প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণে কৃষি জমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে।
যদিও অধিকাংশ মানুষ মনে করছে, আমাদের কৃষি সঠিক পথেই এগোচ্ছে। একদিকে জনসংখ্যার ঊর্ধ্বগতি অন্যদিকে কৃষি জমির কমে যাওয়া এই দুই বৈপরিত্যের মাঝে থেকেও দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার অসামান্য কাজটি প্রায় করে ফেলেছে আমাদের কৃষক ও কৃষিবিদরা। কিন্তু কথা হলো, আগামী দিনে কেমন হবে আমাদের কৃষি? কারণ, আমাদের অর্থনীতি এখনো নির্ধারিত হয়ে থাকে কৃষি উৎপাদনের হ্রাস-বৃদ্ধির উপর। অথচ, কৃষক এবং তাদের আবাদযোগ্য জমির পেছনের খবর নিয়ে আমাদের কারো কোনো মাথাব্যথা দেখা যায় না।
মনে আছে, একটা সময় চালের দাম ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী থাকার কারণে ‘ভাতের ওপর চাপ কমান, বেশি করে আলু খান’ এই রকম একটা স্লোগান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। আবার গরিব মানুষের খাবারের মূল উপাদান ছিল গমের আটার রুটি, আর সচ্ছল মানুষ ভাত খেত। কিন্তু পরে পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করে। পুষ্টি বেশি বিবেচনায় রুটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। আর বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনতা, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব, রুচির পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আসছে। গবেষকেরা দাবি করেছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং ক্যান্সার বেশি হচ্ছে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সেই হার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ব্যয় জরিপ-২০২২ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মানুষের মাঝে খাদ্য গ্রহণে পরিবর্তন এসেছে। আমাদের প্রধান খাবার ভাতের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমেছে। তবে, মোট খাদ্যগ্রহণের হার সামান্য বেড়েছে। অন্যদিকে ডাল, শাক-সবজি, মাংস ও ফল খাওয়ার পরিমাণও বেড়েছে। জরিপে দেখানো হয়, ২০১৬ সালে ভাত গ্রহণের পরিমাণ ছিল ৩৬৭ দশমিক ০২ গ্রাম, যা ২০২২ সালে কমে দাঁড়ায় ৩২৯ গ্রাম। ২০১৬ সালে আটা গ্রহণের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৮ গ্রাম, যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ গ্রাম। এর ফলে খাদ্য ক্যালরি এবং প্রোটিন গ্রহণের হারও কিছুটা বেড়েছে। ২০১৬ সালে মোট ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ছিল দৈনিক ২২১০ দশমিক চার কিলো ক্যালরি, যা ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে ২৩৯৩ কিলো ক্যালরি। প্রোটিন গ্রহণের হার ২০১০ এ ছিল ৬৬ দশমিক ২৬ গ্রাম, ২০১৬ সালে ৬৩ দশমিক ৮০ গ্রাম এবং ২০২২ সালে ৭২ দশমিক ৫ গ্রাম।
আমরা প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিনশত গ্রাম ভাত খাচ্ছি, যেখানে পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ ২০০ গ্রামের বেশি ভাত খায় না। জাপানিদের প্রধান খাবার ভাত হলেও তারা আমাদের চেয়ে অনেক কম ভাত খায়। অনেকে আবার শাকসবজি খেয়ে সারাজীবন কাটিয়ে দেয়, যা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করা একেবারেই অসম্ভব। আমাদেরও ভাতের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ধীরে ধীরে আলু বা অন্য কোনো ধরনের শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত হতে হবে। চালের বিকল্প হিসেবে ভুট্টা, গম এবং আলুর বিকল্প ইয়াম, কাসাভার চাষে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
দেশের কৃষক সম্প্রদায়কে এসব কৃষিপণ্যের আবাদে উদ্বুদ্ধ করে তুলতে হবে। দিতে হবে ঋণ সহায়তা। বিকল্প খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ব্যয় চালের উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম না পড়লে মানুষ ভাতের বিকল্প খাদ্য হিসেবে সহজে তা গ্রহণ করবে না। সবচেয়ে বড় কথা, প্রধান খাদ্য হিসেবে দেশের জনগণ ভাত, আলু বা অন্য যা কিছু গ্রহণ করুক না কেন, তা থাকতে হবে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ক্রয়সীমার মধ্যে। আর দেশের মানুষকে ভাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। যখন চালের চেয়ে আটার দাম কম থাকে তখন ভাতের বদলে আটার রুটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। ভাতের বিকল্প না হলেও সম্পূরক খাদ্য হিসেবে আলু পেতে পারে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্যতা।
আমাদের দেশের বাজারগুলো সয়লাব হয়ে আছে মিনিকেট, নাজিরশাইল কিংবা মোটা চালে। বাস্তবতা হলো এসব নামের কোনো ধানের আবাদ যেমন দেশের কোথাও হয় না, তেমনি এগুলো কেউ আমদানিও করে না। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশের ধানের মাঠ আর বাজার সয়লাব থাকে ব্রি ধানে। কিন্তু বাজারে ব্রি চাল নামে কোনো চালের অস্তিত্ব নেই। আবার দেশে এখন বিপুল পরিমাণ হাইব্রিড ধান উৎপাদিত হলেও বাজারে হাইব্রিড ধানের চাল বা হাইব্রিড চাল বলে কিছু পাওয়া যায় না। যেহেতু মিনিকেট আর নাজিরশাইল চালে বাজার সয়লাব, তাই এইগুলো দিয়ে খাদ্যাভাস কীভাবে পরিবর্তন করা যায় সে দিকেও দৃষ্টিপাত দিতে হবে।
মিনিকেট, নাজিরশাইল চাল নিয়ে মোহাম্মদপুরে চাল ব্যবসায়ী কবিরুল হোসেনের সঙ্গে আমার দীর্ঘ কথা হয়। আলাপচারিতায় তিনি জানান, অধিকাংশ ক্রেতা এসে সর্বপ্রথম মিনিকেট কিংবা নাজিরশাইল চালের কথা জিজ্ঞাসা করে। তারপর তার চাহিদা অনুযায়ী চাল কিনে থাকে। যে বিষয়টির ব্যাপারে তিনি বেশি গুরুত্ব দিতে চাচ্ছেন তাহল, যে ক্রেতা মিনিকেট কিংবা নাজিরশাইল চাল কিনে, সে সারা বছরই মিনিকেট কিংবা নাজিরশাইল কিনে থাকে। এর ফলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে সারাবছরই মিনিকেট কিংবা নাজিরশাইল চাল বাজারজাত করে থাকে। আবার বেশি দামের আশা অনেক বড় বড় কোম্পানি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত গুদামজাত করেও রাখে। এ ব্যবসায়ী বলেছেন, এর ফলে চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চালের ব্যাপারে তিনি বলছেন, একজন ক্রেতা যদি বোরো মৌসুমে মিনিকেট, আমন মৌসুমে নাজিরশাইল আর আউশ মৌসুমে অন্য চাল ক্রয় করে তাহলে বিক্রেতা এক মৌসুমের চাল অন্য মৌসুমে বিক্রি করতে পারবে না। ফলে বিক্রেতা এক মৌসুমের চাল এক মৌসুমে বিক্রি করবে। এতে চালের দাম অনেকাংশে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট’-এ ৩৬ জন বিজ্ঞানীর একটি দল, যেখানে কৃষি থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেইসঙ্গে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা ছিলেন, বাড়তি জনগোষ্ঠীর খাবারের জোগান নিশ্চিত করতে একটি গবেষণা করে তারা চাইছিলেন, যেন সব জায়গায় এই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনা যায়। টানা দু’বছর গবেষণা করে তারা বলেছেন, আমরা যেসব খাবারে আমাদের প্লেট ভরিয়ে রাখি, সেখানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ হলো, মাংসের পরিমাণ কমিয়ে বিকল্প প্রোটিনের উৎস খোঁজা। যেসব পুষ্টিকর খাবার আমরা এড়িয়ে যেতে চাই, সেগুলোর প্রতি আগ্রহ জন্মানোর ওপরও তারা জোর দেন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কেউ যদি প্রতিদিন মাংস খায় তাহলে তার ডায়েটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা জরুরি। তার মানে এই না যে, সে আর মাংসই খাবে না। মাংস খাবে, তবে পরিমিত হারে। যেমন, লাল মাংসের কোনো খাবার যেমন বার্গার যদি খেতেই হয় তাহলে সেটা সপ্তাহে একদিন খাবে। এছাড়া সপ্তাহের অন্য আরেক দিন মাছ বা মুরগির মাংস দিয়ে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে। আর বাকি দিনগুলোতে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে হবে বিভিন্ন উদ্ভিদজাত খাবার খেয়ে। এক্ষেত্রে গবেষকরা প্রতিদিন বাদাম, দানাশস্য বা ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া নানা ধরনের ফল এবং সবজি খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধির কথাও জানান তারা। শ্বেতসারযুক্ত খাবার যেমন: আলু বা কাসাভাও যুক্ত করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের দেওয়া ডায়েটের তালিকা: বাদাম দিনে ৫০ গ্রাম, সিমের বিচি, ছোলা, বিভিন্ন ধরনের ডাল দিনে ৭৫ গ্রাম, মাছ দিনে ২৮ গ্রাম, ডিম একটি অথবা দুটির বেশি নয়, লাল গোশত দিনে ১৪ গ্রাম, মুরগীর গোশত দিনে ২৯ গ্রাম, রুটি এবং চাল দিনে ২৩২ গ্রাম, আলুর মতো অন্যান্য শ্বেতসার সবজি দিনে ৫০ গ্রাম, দুগ্ধজাত খাবার দিনে ২৫০ গ্রাম, শাকসবজি দিনে ৩০০ গ্রাম এবং ফল ২০০ গ্রাম। এছাড়া এই ডায়েটে চাইলে ৩১ গ্রাম চিনি এবং ৫০ গ্রাম তেল যেমন জলপাই তেল যোগ করা যাবে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অক্সিজেনের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাবার। সেই প্রাচীনকাল থেকেই একমুঠো খাবারের আশায় সকাল থেকে সন্ধ্যা কাজ করে অসংখ্য মানুষ। তবে অর্থনীতি আর সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে খাবারের ধরনেরও পরিবর্তন এসেছে। আগে দরকারের বাইরে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত খাবার কথা চিন্তাই করত না, অথচ আজকাল প্রায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষই রেস্টুরেন্টের খাবার খায়। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি রেস্টুরেন্টের বদৌলতে নানা দেশের নানা স্বাদের খাবারও আজকাল খাবার সুযোগ মিলছে। কিন্তু এসবের সাথে যুক্ত হয়েছে খাবার নষ্ট আর অপচয় হওয়া। অথচ, বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাড়ছে খাবারের চাহিদা, প্রচুর খাবার নষ্ট হবার পরেও অভুক্ত থেকে যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, খাবার নষ্ট বা অপচয় বাসা-বাড়িতেই বেশি হয়। কিন্তু বাস্তবে খাবার ভোক্তার হাতে পৌঁছানোর অনেক আগে থেকে নষ্ট হওয়া শুরু হয়। খাদ্য উৎপাদন থেকে ভোক্তার হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত বেশ লম্বা একটি প্রক্রিয়া কাজ করে। আর সবচেয়ে বেশি খাবার নষ্ট হয় এই পর্যায়েই। তবে যেসব দেশ প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে তাদের এই ক্ষেত্রে নষ্ট হবার পরিমাণ অন্যান্য দেশগুলোর থেকে কম স্বাভাবিকভাবেই।
শুধু খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই যথেষ্ট নয়, একই সঙ্গে বাড়াতে হবে খাদ্যের উৎপাদন এবং কমাতে হবে খাবারের অপচয়ও।
লেখক: কৃষিবিদ, উপ-পরিচালক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: সিলেটে এড. এমরান আহমদ চৌধুরী
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
২০২৫ সালে নিম্নমাধ্যমিক-মাধ্যমিকে ৭৬ দিনের ছুটির তালিকা প্রকাশ
খুলনা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকার পথে যুক্ত হচ্ছে ট্রেন জাহানাবাদ
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিন
আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং এর হামলায় আহত ৩
মাদারীপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম
তোমাদের হাতে উড়তে থাকবে সমৃদ্ধ স্বনির্ভর বাংলাদেশের বিজয় কেতন - সাভার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোঃ মঈন খান
দৌলতপুরে পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান : গ্রেফতার-২
ব্রাহ্মণপাড়ায় বোরো ধানের বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা
পাকিস্তানে সামরিক আদালতে ২৫ বেসামরিক ব্যক্তির সাজায় উদ্বিগ্ন ইইউ