শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা
৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম | আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
বেসরকারি অলাভজনক সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২১ সালে ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এদের মধ্যে ৬২ জন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ক্রমান্বয়ে এই সংখ্যা বাড়ছে। তার বড় প্রমাণ ২১ আগস্ট ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। তাছাড়াও মেডিকেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও আত্মহত্যা করতে দেখা যায়। আবার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলেও আত্মহত্যা করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। আত্মহত্যার এ ক্রমবর্ধমান মিছিল কি থামবে না? শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ কী হতে পারে তা খতিয়ে দেখা জরুরি। পড়াশোনা নিয়ে হতাশা, আর্থিক সংকট, বেকারত্ব হতে পারে তাদের আত্মহত্যার প্রধান কারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কিছু অংশ গ্রাম থেকে আসার পর নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারাও তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করে। পড়াশোনা শেষ করেও যখন চাকরি পাওয়া যায় না তখন পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক চাপে হতাশ হয়ে পড়েন কেউ কেউ। শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পেছনের দায় কি সমাজ এড়াতে পারে? অনেক সময় দেখা যায়, প্রযুক্তিতে অধিক সময় ব্যয় করা বা আসক্তি সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে যে বিষণœতা দেখা দেয়, তা থেকেও আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকছে তারা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জীবনের মহত্ত্ব সম্পর্কে অনুধাবন করা একান্ত জরুরি। কেননা, ইসলামসহ প্রত্যেক ধর্মেই আত্মহত্যাকে অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই, প্রত্যেকেই যদি তাদের জীবনে নিজ নিজ ধর্মীয় মূল্যবোধ ধারণ করেন তাহলে আত্মহত্যা কমে আসবে অনেকাংশেই। তাছাড়া, জীবনের সবক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখা জরুরি। সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম বলেন, ‘যারা সমাজের সঙ্গে অতিমাত্রায় সম্পৃক্ত এবং যারা সমাজ থেকে অতিমাত্রায় বিচ্ছিন্ন, তারা উভয়েই আত্মহত্যা করে।’ শিক্ষার্থীদেরও তাদের কাজ ও পড়াশোনার প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা জরুরি। সমাজ ও দেশের ভবিষ্যৎ যাদের হাতে তাদের কাপুরুষুচিত মৃত্যু কাম্য নয়। জীবনকে ভালোবাসতে হবে সবার আগে। সমাজ ও রাষ্ট্রেরও এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে হবে শিক্ষার্থীদের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেন্টাল হেলথ কেয়ার বা কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থার উপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি পরিবার ও প্রিয়জনরা যদি প্রত্যেকে প্রত্যেকের চাপ না হয়ে সহায়কশক্তি হয়ে উঠেন, তাহলে আত্মহত্যা অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
মহিমা ইসলাম রিমি
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র
স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?
চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১
পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি
যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত
১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান
জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
২০২৫ সালে নিম্নমাধ্যমিক-মাধ্যমিকে ৭৬ দিনের ছুটির তালিকা প্রকাশ