যেভাবে আ.লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায় করে সেভাবে বিএনপিকেও আদায় করতে হবে
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩০ পিএম
গত শনিবার ২ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইনকিলাবের তৃতীয় পৃষ্ঠায় একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরটির শিরোনাম, ‘মানুষ এখন বিএনপির অ্যাকশন চায়/ চট্টগ্রামে আব্দুল্লাহ আল নোমান’। খবরের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘মানুষ এখন বিএনপির নেতৃত্বের কাছে অ্যাকশন চায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। গত শুক্রবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ির নূর মোহাম্মদ সড়কে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত র্যালির আগে এক সমাবেশে তিনি কথা বলেন। মানুষ নিজের ভোট নিজেই দিতে চায় উল্লেখ করে নোমান বলেন, মানুষ এখন আর বক্তৃতা শুনতে চায় না। মানুষ এখন অ্যাকশন চায়। সেই অ্যাকশন তারা চায় জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বের কাছে। আজ মানুষ চায় আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। এই অধিকার বিএনপি আদায় করবে বলে জনগণ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।’
আব্দুল্লাহ আল নোমানের এই বক্তব্যের মধ্যে অতিশয়োক্তি বিন্দুমাত্র নাই। এর আগে একাধিকবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেছেন যে, আমরা বহু মার সহ্য করেছি। আর মার খেতে চাই না। এখন যেখানেই হামলা হবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে উঠবে। এসব কথা মানুষ অনেক দিন হলো শুনছে। কবে বিএনপি তাদের সমমনাদের নিয়ে এই সরকার পতনের জন্য ফাইনাল পুশ দেবে, সেই অপেক্ষায় জনগণ বসে আছে। গত অক্টোবরে বিএনপি দীর্ঘ ৭ বছর পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে দলটি দেশ জুড়ে, বিশেষ করে বিভাগীয় সদরে জনসভা করেছে। প্রতিটি জনসভায় অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। লাখ লাখ মানুষ শত বাধা এবং শত বিপত্তি অতিক্রম করেও এসব জনসভায় যোগ দিয়েছে। অবশেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় জনসভা করেছে। সেই জনসভা উপলক্ষে বিএনপির ওপর হামলা-মামলা অনেক কিছু হয়েছে। তার পরেও জনসাধারণই শুধু নয়, শিক্ষিত সচেতন রাজনৈতিক মহলও মনে করেছিল ১০ ডিসেম্বর একটা কিছু ঘটে যাবে। গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর কথা বিএনপি ২ বছর আগে থেকেই বলে আসছে। ১০ ডিসেম্বর সেই বহু আকাক্সিক্ষত গণঅভ্যুত্থানের বাস্তব ও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল।
১০ ডিসেম্বরের জনসভাটি হওয়ার কথা ছিল বিএনপির নয়াপল্টন অফিসের সামনে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় পুলিশের কথা মোতাবেক দলটি গোলাপবাগে জনসভা করে। কিন্তু সেখানে পরবর্তী উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি।
॥দুই॥
এদেশে সেই ১৯৫৪ সাল থেকেই অনেক গণআন্দোলন হয়েছে। মানুষ ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৬ সালে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ৬ দফা আন্দোলন এবং এসব ধারাবাহিক আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান দেখেছে। এই গণঅভ্যুত্থান চূড়ান্ত পরিণতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রামে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজনৈতিক দৃশ্যপটে সম্পূর্ণ নতুন চিত্র দেখা যায়। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৩টি আসন লাভ করলেও (মোট আসন ৩০০) ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মন্তুদ পট পরিবর্তনের পর রাজনীতিতে নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হয়। ১৯৭৫ সালে যে একদলীয় বাকশাল শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন হয় সেটি পরবর্তীতে আমূল পরিবর্তিত হয়ে বহু দলীয় কিন্তু প্রেসিডেন্সিয়াল শাসন ব্যবস্থা চালু হয়। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসন জারি করেন। পরবর্তীতে এরশাদ যদিও সামরিক শাসন প্রত্যাহার করেন, তারপরেও তার সরকার যে সাড়ে ৯ বছর শাসন করে সেটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন হিসেবে ইতিহাসের পাতায় চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ দেখতে পায় দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থান (প্রথমটি জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে)। সেই গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে ১৯৯১ সালে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে দেশে সর্ব প্রথম অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করা ভালো। অনেকে সাহাবুদ্দিনের সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে গুলিয়ে ফেলেন। সাহাবুদ্দিনের সরকার ছিল ঐক্যমতের সরকার। এটি ছিল অন্তর্ববর্তীকালীন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং সরকার গঠন করে। অতঃপর এরশাদ বিরোধী তিনটি জোটের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ঐকমত্যের ভিত্তিতে বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকারের পরিবর্তে বহুদলীয় পার্লামেন্টারি সরকার গঠন করা হয়। তখন বিরোধী দলে ছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
আমি লম্বা ইতিহাসে যাবো না। কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে ১৯৯৫ সালে যে আন্দোলন শুরু হয় সেটি ১৯৯৬ সালের প্রথমার্ধে ঢাকাভিত্তিক মিনি গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরিত হয়। জাতীয় সংসদ থেকে বিরোধী দলের পদত্যাগ, ১৭৩ দিনের হরতাল ইত্যাদির ফলে বেগম জিয়ার বিএনপি সরকার নির্ধারিত মেয়াদের ৩ মাস আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপর ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোটামুটি এক দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ২ তৃতীয়াংশেরও বেশি মেজরিটি নিয়ে পার্লামেন্টে ফিরে আসে। আবার শুরু হয় ঐ নির্বাচনের বিরুদ্ধে এবং কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে আন্দোলন। এই আন্দোলনের পরিণতিতে বিএনপির সরকার সংবিধানের ১৩নং সংশোধনীর মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে বাধ্য হয়।
॥তিন॥
আমি অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে অতীতের ঘটনাবলী অতি সংক্ষেপে বর্ণনা করলাম। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। ২০০১ সালে প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসে। বিএনপির কোয়ালিশন পার্টনার হিসেবে জামায়াতে ইসলামী প্রথম বাংলাদেশের সরকারে ২ জন মন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।
বেগম জিয়ার সরকারের মেয়াদ ২০০৬ সালে শেষ হয়। কিন্তু তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পুনরায় দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন হয়। বেগম জিয়া সেই টার্বুলেন্সের মধ্যে মেয়াদ শেষ করার পর ২০০৬ সালের লগি বৈঠার হামলা নামক কুখ্যাত এক হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে ৭ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে একদিকে বিদেশি শক্তি এবং অপরদিকে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রকট হয়। বিদেশি বলতে প্রকাশ্যে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জাতিসংঘ এবং নেপথ্যে ছিল ভারত। আর সামরিক বাহিনীতে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার লে. জে. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী প্রকট হন। বিদেশি এবং দেশি সামরিক বাহিনীর প্রকাশ্য হস্তক্ষেপের ফলে দেশে নেমে আসে এক এগারো নামের দুই বছরের এক কৃষ্ণ অধ্যায়।
এই দুই বছরে বুড়িগঙ্গার নিচ দিয়ে অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। সেগুলো প্রয়োজন হলে অন্য কোনো এক সময় বিস্তারিতভাবে আলাদা কলামে বর্ণনা করবো। যাই হোক, এক এগারোর চূড়ান্ত পরিণতিতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সেনাপতি মইন নিয়ন্ত্রিত ফখরুদ্দিনের সরকার যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে।
পরের ইতিহাস ঘটনাবহুল। যে আওয়ামী লীগের দাবির মুখে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করা হয়, সেই আওয়ামী লীগই ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের একটি চরম বিতর্কিত রায়কে যুক্তি হিসেবে খাড়া করে জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ (১৫ নং) সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্বলিত ত্রয়োদশ (১৩ নং) সংশোধনী বাতিল করে। তত্ত্বাবধায়ক বাতিল সম্পর্কিত বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যেমন চরম বিতর্কিত, তেমনি পঞ্চদশ সংশোধনীও চরম বিতর্কিত। প্রয়োজন হলে এই উভয় রায় যে চরম বিতর্কিত সেসম্পর্কে আমি আলাদা কলাম লিখবো।
যাই হোক, এরপর অনুষ্ঠিত হয় দুইটি চরম বিতর্কিত নির্বাচন। একটি ২০১৪ সালে এবং অপরটি ২০১৮ সালে। কথায় বলে, History repeats itself, অর্থাৎ ইতিহাস নাকি চক্রাকারে ঘোরে। ২০২২ সাল থেকে আজ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনপি সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তারা বিরোধী ছিল। আর আজ আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরত আনার বিরুদ্ধে ধণুর্ভঙ্গ পণ করেছে, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৯৯৫/৯৬ সালে অনেক আন্দোলন এবং অনেক রক্ত ঝরেছে।
॥চার॥
কঠোর নিরপেক্ষতা এবং বস্তুনিষ্ঠতার স্বার্থে আমি স্পষ্ট বলতে চাই, বিএনপি এবং তার ৩৬টি সমমনা দলের দাবি মোতাবেক আওয়ামী লীগ খাঞ্চা বা ট্রেতে করে তাদের হাতে তত্ত্বাবধায়কের নৈবদ্য অর্পণ করবে না। যেমন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়কের দাবি গ্রহণ করতে বিএনপিকে বাধ্য করেছিল, তেমনি বিএনপিকেও তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ফেরত আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে বাধ্য করতে হবে। এর মাঝখানে আর কোনো বিকল্প নাই। বিএনপি এবং তার মিত্রদের হাতে আছে আর মাত্র দুই মাস সময়। এই সময়ের মধ্যে তাদের সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরত দিতে আওয়ামী সরকারকে বাধ্য করতে হবে। একজন গুণীজনের ভাষায় বলতে চাই, ‘সময় বহিয়া যায়’। সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়।
ড. ইউনূস ইস্যু, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং কোটি কোটি মানুষের জনমত নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূলে প্রবাহিত। বিএনপির চূড়ান্ত কর্মসূচি এখনো অজ্ঞাত।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা