আগামী নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করা নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দড়জায় কড়া নাড়ছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের শুরুতে ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। এর পূর্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ততই অস্থিরতা, উত্তাপ, উত্তেজনা দেশী-বিদেশী কুটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের নির্বাচন অনুষ্টানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী ডান, বাম, মধ্যমপন্থী প্রায় ৪০টি রাজনৈতিক দল আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে জাতীয় পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছে। এই দলগুলোও নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে সক্রিয়। এই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সেই পুরনো রাজনৈতিক বিরোধ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। হুসাইন মুহাম্মাদ এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯০ সালে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল। তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী, মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনকে মূল ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। বিএনপি সরকার গঠন করে। পরবর্তী ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজেকে নির্বাচিত সরকার দাবি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে অস্বীকৃতি জানান। ওই সময় প্রধান বিরোধীদল আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের মাঝেই বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি একটি একতরফা নির্বাচন স¤পন্ন করে এবং ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত করে এবং ষষ্ঠ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। ওই অধিবেশনে ২১ মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল সংসদে উত্থাপন করে এবং ২৬ মার্চ ষষ্ঠ সংসদের প্রথম অধিবেশনে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাশের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান দেশের সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়। ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর এটি আইনে পরিণত হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমেপ্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ৩০ মার্চ রাষ্ট্রপতি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয় এবং খালেদা জিয়ার সরকার পদত্যাগ করে। রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন। সংবিধানের এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে চতুর্থ ভাগে ‘২ক পরিচ্ছদ : নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ নামে নতুন পরিচ্ছদ যুক্ত হয়। এতে ৫৮ক, ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ ও ৫৮ঙ নামে নতুন অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হয়। এছাড়া সংবিধানের ৬১, ৯৯, ১২৩, ১৫৭, ১৫২ অনুচ্ছেদসহ তৃতীয় তফসিলের বিধান সংশোধন করা হয়। এই অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ তৃতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নেতৃত্ব দেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ মোট ৩০০ টি আসনের মধ্যে ৫৮ টি আসনে জয়লাভ করে। দেশে-বিদেশে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা লাভ করলেও আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে স্থূল কারচুপির অভিযোগ তোলে। সরকারের মেয়াদের ২০০৬ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করলে দেশে ফের রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সংকট ঘনীভূত হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দল ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে। ফলশ্রুতিতে দেশে জরুরী অবস্থা জারী করা হয়। দেশে সেনা সমর্থিত একটি সরকার গঠিত হয়, যা এক এগারো সরকার নামে পরিচিত। এই পর্যায়ে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। গঠিত হয় ফখরুদ্দীন ও মঈন উ আহমেদের সরকার। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রায় ২ বছর এই সরকার দায়িত্ব পালন করেন। জরুরি সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জেট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এরপর ক্ষমতাসীন দলের অধীনে ২০১৩ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালে রাতের ভোট নামে পরিচিত দুটি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়, যা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য বিরোধীদলগুলো তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবী করে আন্দোলন করছে। বিদেশী বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোও আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য সরকারকে তাগিদ দিচ্ছে।
সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সক্রেটারি মিরা রেজনিক বাংলাদেশ সফরে এসে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অণুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এর সাথে নবম নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল নিরাপত্তা সহায়তা, প্রতিরক্ষা ও বানিজ্য সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলাসহ পার¯পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে জানতে চান। এর আগে ২২ আগস্ট রাতে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের কৌশলগত পরিকল্পনা ও নীতিবিষয়ক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টমাস জে জেমস। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে সংলাপ করেছেন। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) অপারেশন ও পরিকল্পনা অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মাদ মাসীহুর রাহমান। সংলাপে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মোতায়েন, কর্মশালা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর কয়েক দিন আগে মার্কিন ২ কংগ্রেসম্যান রিচার্ড ম্যাককরমিক এবং এড কেস বাংলাদেশ সফর করেন। তাদের একজন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেইস এবং অপরজন রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাকরমিক। গত ৬ থেকে ৮ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ বাংলাদেশ সফর করে গেছেন । এর আগে ১১ থেকে ১৪ জুলাইয় যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অঞ্জলি কৌর সহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করেন। এ সময় উজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং কক্সবাজারে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের সদস্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী, মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের আরও অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করেন। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, ইউরোপিয় ইউনিয়ন সহ পশ্চিমা বিশ্ব এমনকি জাতিসংঘ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে কুটনৈতিক ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনেও এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে।
বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতার পাশাপাশি বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো বিভিন্ন সংবাদ ও প্রবন্ধ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এ প্রকাশিত একটি বিশেষ প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘নীরবে ধ্বংস করা হচ্ছে একটি গণতন্ত্রকে, বাংলাদেশে কাঠগড়ায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ।’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের জনাকীর্ণ আদালত কক্ষগুলোতে দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে পদ্ধতিগতভাবে শ্বাসরোধ করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা, সদস্য ও সমর্থক বিচারকের সামনে দাঁড়ান। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সাধারণত অ¯পষ্ট এবং এর পক্ষে সামান্যই প্রমাণ পাওয়া যায়। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিরোধীদলকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার চেষ্টা এখন বেশ ¯পষ্ট। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৫০ লাখ সদস্যের প্রায় অর্ধেক (২৫ লাখ) নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এসব নেতাকর্মীকে আন্দোলনের চেয়ে কোর্টে হাজিরা ও মামলা চালানো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে।
এই অবস্থায়, সরকার জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে জাতীয় ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের চাপে রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে বিরোধীদলগুলোর সরকার পতনের এক দফার চলমান আন্দোলন, বিদ্যমান সাংবিধানের আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের অনড় অবস্থান এবং সরকারের পক্ষ থেকে ভারত, চীন ও রাশিয়ায় কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের একটি প্রতিনিধি দল ভারত ও অপর একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করেছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। এদিকে পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে অব্যাহত চাপ আমাদেরকে কি বার্তা দিচ্ছে এবং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে ধাবিত হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচনের বল এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গণে। তবে দেশের মানুষের কাছে নির্বাচন একটি উৎসব। ভোটের সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আগ্রহী। গত ১৫ বছরে অনেক নতুন ভোটারসহ সাধারণ ভোটাররা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দেশ ও জাতির স্বার্থেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য।
লেখক : আইনজীবী।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা