সাজানো প্রশাসন দিয়ে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
সরকারি কর্মচারীরা হচ্ছে দেশের চাকর। তাদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধিত হয় জনগণের কষ্টার্জিত টাকায়। তাই সরকারি কর্মচারীদের চলতে হয়, কাজ করতে হয় অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য এবং তা সমানভাবে। সেভাবেই বিধান তৈরি করা হয়েছে। যেমন: সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ (১) ধারায় (রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ) সরকারি কর্মচারীরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে কিংবা কোনো দলের পক্ষ হয়ে কথা বলতে পারে না। এছাড়া, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারা মোতাবেক সরকারি কর্মচারীরা অবসর গ্রহণের তিন বছরের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে কিংবা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এসব বিধানের ব্যত্যয় হলেই শাস্তি নির্ঘাত।
কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে সরকারি কর্মচারীরা শতভাগ দলদাসে পরিণত হয়েছে। সেটা করতে বাধ্যও করা হয়েছে। নতুবা স্বাধীনতা বিরোধী ট্যাগ লাগিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে অনেককে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি দলের লোকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি ও প্রাইজ পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও তাই। এ ক্ষেত্রে একটি গোষ্ঠিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের সব কি পয়েন্টে তাদের বসানো হয়েছে। সেখান থেকে তারা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই সরকারি কর্মচারীরা এখন স্বীয় দায়িত্ব ফেলে সরকারি দলের মিটিং-মিছিলে যোগদান ও উন্নতির ডঙ্কা বাজাতে ব্যস্ত!
দেশ ঋণের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে, যা থেকে মুক্তি মিলবে না এ শতকেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত জুলাই পর্যন্ত দেশের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬.১৪ লাখ কোটি টাকা, যার ৪৩.৫% বিদেশি। ঋণ-জিডিপির অনুপাত ৪২.১%। মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৯৫,০১৯ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, পণ্যমূল্য আকাশচুম্বি হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের জীবন আজ দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে! মূল্যস্ফীতি নিয়ে ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক উদ্বেগ জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, মাদকের ব্যবহার, সব ধরনের দূষণ ও প্রতারণা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, ডেঙ্গুর প্রকোপে দেশব্যাপী মরণাতংক সৃষ্টি, শিল্পখাতে ধস, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, ভয়াবহ বেকারত্ব, রিজার্ভ সংকট, বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি, বিনিয়োগে ভাটা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল খেলাপি ঋণের ভারে ডুবতে বসেছে, ন্যায়বিচার সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। এসব সংকট দূর করার দিকে সরকারি কর্মচারীদের বিন্দুমাত্র নজর নেই! নবরং তারা বিরোধী মতের লোকদের দমনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। তাই মিথ্যা মামলা, হামলা, খুন, জখম, জেল ইত্যাদির অন্ত নেই! এ ক্ষেত্রে সাবেক ডিজিটাল হালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাপকভাবে।উদ্দেশ্য বিরোধী মত শূন্য করে সরকারকে মাঠ ফাঁকা করে দেওয়া। মাঝখানে ক্রসফায়ার ব্যাপক বেড়েছিল। তাতে জনমনে মহাতংক সৃষ্টি হয়েছিল। তাই দায়ীদের উপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে ক্রস ফায়ার বন্ধ হয়েছে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া ভিসানীতি চালু করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। তবুও, বিরোধী মত দমন কমেনি। বরং সম্প্রতি বেড়েছে, যার বিরুদ্ধে দেশ বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সর্বশেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইইউ’র পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। উপরন্তু তাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ এখনই নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। পিটিআই›র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে’। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড জুরিস্ট প্রজেক্ট’-এর আইনের শাসন সূচকে ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৭তম। বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম সূচকে বাংলাদেশ ১৬৩তম। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসাবে ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ২০১৮ সাল থেকে ৬০০টি বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-ে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ রাজনৈতিক হয়ে উঠেছে। দেশে লাখ লাখ বিরোধী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিচার চলছে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৯৮টি মামলা চলছে আদালতে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘ড. ইউনূসের মামলা বাংলাদেশের মানবাধিকারের বিপর্যস্ত অবস্থার প্রতীক’। জাতিসংঘ সম্প্রতি বলেছে, বাংলাদেশে এখনো ৭০টি গুমের ঘটনা নিস্পত্তি হয়নি! অধিকারের আদিলুর ও নাসিরকে কারাদ- দেওয়ায় তাদের মুক্তি দাবি করেছে আন্তর্জাতিক ৭২টি মানবাধিকার সংগঠন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মান ও দেশের বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক হাইব্রিড গণতন্ত্র, কর্তত্ববাদী শাসন ইত্যাদি বলে খ্যাত হয়েছে অনেক বার। এসব খবরে দেশের ভাবমূর্তি, বৈদেশিক বাণিজ্য, অনুদান ও বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে! অপরদিকে, চীন ও রাশিয়া সরকারের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে। ফলে দেশ বৃহৎ শক্তিগুলোর টানা-হেঁচড়ার মধ্যে পড়েছে! এসব দিকে সরকারের কোন ভ্রক্ষেপ নেই। সরকার ঋণের টাকায় অবকাঠামো ভিত্তিক উন্নতির ভেঁপু বাজাচ্ছে লাগাতার! এতে হালে যুক্ত হয়েছে বাইডেনের সেলফি। আর ক্ষমতার উৎস ভারত তো রয়েছেই। তাই সরকার কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না।
সরকারি দমনের প্রধান হাতিয়ার হয়েছে সরকারি কর্মচারীরা।তারা এখন বড় আওয়ামী লীগার বনেছে নানা সুবিধা পাওয়ায়। এমনকি পদ না থাকা সত্ত্বেও বহুজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাতে প্রশাসনে জগাখিচুড়ী সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ, দুদক ইত্যাদি সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। উপরন্তু তাদের অনেকেই ব্যাপক দুর্নীতি, অর্থ পাচার, মাদক, দখল, চাঁদাবাজি ইত্যাদিতে সম্পৃক্ত হয়েছে। ঘুষ এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষকে তারা মানুষই মনে করছে না। অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীরা এখন ভৃত্য থেকে মুনিবে পরিণত হয়েছে এবং যা ইচ্ছা তাই করছে। নৈতিকতা, শৃংখলাবোধ বিলীন হয়েছে। ফলে তাদের মূল কাজ লাটে উঠেছে। তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, মাদকে দেশ সয়লাব, দখল, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি ব্যাপকতর হয়েছে। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি বলেছেন, দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রীও সম্প্রতি সংসদে বলেছেন, দুর্নীতি বেড়েছে। অর্থাৎ বিএনপির আমলে একটি হাওয়া ভবনের স্থলে আওয়ামী লীগ আমলে দেশব্যাপী অসংখ্য খাওয়া ভবন তৈরি হয়েছে। যার লোকরা যেখানে যা পাচ্ছে, তাই লুটেপুটে খাচ্ছে। লুটের মালের সিংহভাগ পাচার করছে। সর্বোপরি প্রশাসনের লোকদের অনেকেই এখন নারীঘটিত কর্মেও সম্পৃক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি ঘটনা টক অব দি কান্ট্রিতে পরিণত হযেছে। বিষয়টি এতদূর গড়াতো না, যদি ভিকটিম বিরোধী দলের হতো। কারণ, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা অহরহ ব্যাপক নির্যাতিত হচ্ছে। তাতে কোনো শোরগোল পড়ছে না। এ বিষয়ে তোলপাড় বাঁধার কারণ হচ্ছে, ভিকটিম সরকারি দলের মহাপরাক্রমশীল সংগঠনের নেতা। পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে পিটিয়ে দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। অন্যদিকে, এক এসিল্যান্ডের ঘুষের পরিমাণ নির্ধারণের নির্দেশের খবর ভাইরাল হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীরা এখন যা ইচ্ছে, তাই করছে। জবাবদিহি না থাকায় এবং অবাধ দলীয়করণের কারণেই এসব হয়েছে। উপরন্তু তাঁদের অনেকেই রাজনৈতিক কর্মকা-ে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চাইছে। অনেকেই নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার কথা বলছে। এভাবে আমলারা রাজনীতিতে ঢুকে পড়ছে। এভাবে ব্যবসায়ীরাও রাজনীতিতে ঢুকেছে ও ঢুকছে। ফলে অরিজিনাল রাজনীতিবিদরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। মেধাবানরা রাজনীতির প্রতি নিরাসক্ত হয়েছে। ফলে রাজনীতি মেধাহীন ও অরাজনৈতিক লোকের দখলে চলে গেছে ও কলুষিত হয়ে কমার্শিয়াল হয়ে পড়েছে। মিডিয়া এবং ব্যবসায়ীসহ সব সংগঠনকেও সরকারিকরণ করা হয়েছে। তাই তারা সরকারের গুণকীর্তনে সদা মশগুল। অর্থাৎ দেশের সব কিছুই সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণাধীন করা হয়েছে।
যা’হোক, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই হবে। ইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এ নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য গণতান্ত্রিক বিশ্ব অনেক দিন থেকে বলছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ করেছে। কিন্তু গণতন্ত্র, অবাধ নির্বাচন ও মানবাধিকার কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এসব বিশ্বজনীন বিষয়। তাই গণতান্ত্রিক বিশ্ব এ ব্যাপারে ব্যাপক সোচ্চার। এটা শুধু যে তারা বাংলাদেশেই করছে তা নয়, যেখানেই গণতন্ত্রের ঘাটতি হচ্ছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেখানেই তারা সোচ্চার হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন গত ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র রক্ষা ও প্রচারে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়েছে। একই দিনে মুখপাত্র মিলার বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের পদ্ধতিগত ও নিপীড়নে আমরা উদ্বিগ্ন! সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে দেশের পররাষ্ট্র সচিবকে। দ্বিতীয়ত: ভারতে গিয়ে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য যা যা করার দরকার তা করার জন্য অনুরোধ করার বিষয়টি কি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান নয়? নিশ্চয়। এদিকে, দেশের ইসির প্রতি বেশিরভাগ বিরোধী দল অনাস্থা জানিয়ে পুনর্গঠনের দাবি করেছে। উপরন্তু তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। নতুবা তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং নির্বাচন হতেও দেবে না বলে জানিয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাতে সরকারি দল ও তার মিত্রদের লজ্জাজনক ভরাডুবি ঘটবে। তাই সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজেদের অধীনেই পূর্বের দু’টি নির্বাচনের ন্যায় তামাসার নির্বাচন করে পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভোট প্রাপ্তির হিসাবে আ’লীগ ও বিএনপি সর্ববৃহৎ দল। তাদের যেকোন একটিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে তা অংশগ্রহণমূলক বলে বিবেচিত হবে না। ভোটাররাও ভোট কেন্দ্রে যাবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই কেলেঙ্কারির নির্বাচন হবে, যা দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। অবশ্য, সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ তা বিশ্বাস করছে না। কিন্তু সরকার তা কর্ণপাত করছে না। পুনরায় একতরফা নির্বাচন করার এবং তাতে বিজয়ী হওয়ার দিকে এগুচ্ছে। সে লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের নতুন করে বদলী করে মাঠ অনুকূল করছে। উপরন্তু বিরোধীদের কর্মসূচীর পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠ দখলে রাখছে। কিন্তু জোর করে পুনরায় একতরফা নির্বাচন করা হলে দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
যা’হোক, নির্বাচন কন্ডাক্ট করার মতো জনবল নেই ইসির। তাই সরকারের অন্য দপ্তরের জনবল দিয়ে নির্বাচন কন্ডাক্ট করতে হয়। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বড় আওয়ামী লীগার বনে গেছে। ফলে তাদের ব্যাপারে জনমনে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ তারা মানুষের আস্থাহীনতার মুখে পড়েছে। তাই তারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনের কাজ করলেও মানুষ তা বিশ্বাস করবে না।তাই আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কন্ডাক্ট করার ব্যাপারে সরকারি কর্মচারিদের বিকল্প খুঁজতে হবে। দ্বিতীয়ত: সরকারি কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক কাজ করতে বাধ্য করতে এবং নির্দলীয় করতে হবে। নতুবা তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। নিয়ন্ত্রণ করা দুরূহ হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা